অনলাইন ডেস্ক :
লেবানন থেকে আরো ৪৭ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ফেরত আসা এসব নাগরিকের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে সর্বমোট এক হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখা এসবের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। একসময় এমনও ছিল যে কুয়েতে, কাতারের, সৌদি আরবে, আমেরিকায় কৃষক লীগ ছিল।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ববিকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বিশ্বের যে সংকট। আজকে এ অবস্থায় কৃষির অর্থনীতি হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভ্রমরা এবং এটাই প্রমাণিত হয়েছে কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে।
মহাবিপদে আছে বিএনপি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, যারা আজ কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন, আজকে যারা আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করে। বাংলাদেশকে নিয়ে কথায় কথায় ফখরুল বলে মহাবিপদ। মহাবিপদে আছে বিএনপি। নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ। কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, এই দলকে নিয়ে মাথাব্যথার কারণ একটা আছে। এরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা। এরা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা অর্থ পাচার-দুর্নীতির রাজা। কাজেই এই অপশক্তিকে রুখতে হবে। এ দেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এদের রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই অপশক্তিকে রুখতে হবে একসাথে। এটাই হোক কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়, শপথ, অঙ্গীকার।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
ডেস্ক রিপোর্ট :
শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকালে রাজধানীর লালবাগ হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার বলেন, আগামী ২৯ জুলাই (১০ই মহরম) পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।
হোসাইনী দালান ইমামবাড়া নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাস্তাগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশুরার দিন অনুষ্ঠিত তাজিয়া শোক মিছিলের সামনে পিছনে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। যেকোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পুরা এলাকা ডগ স্কোয়াড ও ম্যানুয়ালি সুইপিং করানো হবে। আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল চলাকালীন সময় পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হবে এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তাজিয়া মিছিল উপলক্ষ্যে উচ্চস্বরে ঢাকঢোল না বাজানো, গায়ে চাদর জড়িয়ে মিছিলে না আসা ও শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম না করার জন অংশ গ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, একইভাবে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব। কর্ম দিবসে জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এসব কর্মসূচি পালন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন, তবে এর কারণে জনগণ যেন কষ্ট না পায়। লোকজনের দুর্ভোগের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্ম ও উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি থেকে আরো অনেকেই চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করলে দেখতে পাওয়া যাবে।
তিনি আজ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকার নয় আরো অনেকেই বিএনপি থেকে চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করুন। কারণ যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যেই দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল তো সবাই করবে না।’
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে -এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে চায়। গতবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, কিন্তু শেষমেষ অংশ নিয়েছিলো। এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। যারা একটু অনুসন্ধিৎসু তারা এটা বুঝতে পারেন।’
‘গতবার যেমন গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিলো, এবার কি করে সেটা দেখার বিষয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কাউকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি তো সরকার, নির্বাচন কমিশন কেউ দিতে পারবে না। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আর মির্জা আব্বাস সাহেবরা গত সাড়ে ১৪ বছর সরকার পতনের কথা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়।’
‘সরকার বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ খন্ডন করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কি করেছিলো সেটা পেছনে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারবেন, দেখতে পাবেন। মির্জা ফখরুল সাহেবরা অগ্নিবোমা হামলার হুকুমদাতা। সেগুলোর অডিও রেকর্ড, তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এরপরও তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার মোটেই নির্যাতন চালাচ্ছে না। বরং তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো থেকে শুরু করে এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এস এম কিবরিয়াসহ আমাদের এমপিদেরকে হত্যা করা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করা, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করাসহ আমাদের নেতাকর্মীদের যে পরিমাণ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত।’
‘সদ্য সমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘন্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশী, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ছিলো, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘কানাডা সফরে সে দেশের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজানের সাথে বৈঠক হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি একইসাথে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এছাড়া কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ার সালমা জাহিদ এমপি’র সাথে বৈঠকে বাংলাদেশীদের সহজতর ইমিগ্রেশন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজতর ভিসার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।’ সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক। এ সময় তিনি ইউনূস সরকারের কাছে জাতিসংঘের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশে হতাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষের আহত হওয়ার জন্য যারা দায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব কি তাদের বিচার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, হ্যাঁ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়ে কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেছেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করে যে ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে। সেখানে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও বিবেচনা করা হবে।
এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন মহাসচিব।
অনলাইন ডেস্ক :
মানবিক কাজ এবং সমাজে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সেরা ১২ যুব সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইউথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়েছে। আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার দুপুরে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সপ্তমবারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
সারাদেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে ছয় ক্যাটাগরিতে এবার প্রদান করা হয় এই অ্যাওয়ার্ড। তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’ এর আয়োজন করে।
এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো হলো- ‘সম্ভাবনা’ ও ‘ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন’, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে ‘অভিনন্দন ফাউন্ডেশন’ ও ‘টং-এর গান’, সম্প্রদায়ের সুস্থতা ক্যাটাগরিতে ‘নপম ফাউন্ডেশন’ ও ‘অলট্রাস্টিক পিপল’স ইউথ অরগানাইজেশন’। সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ক্যাটাগরিতে ‘উইমেন’স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি’ ও ‘ভালো কাজের হোটেল’, জলবায়ু ও পরিবেশ ক্যাটাগরিতে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড সেইক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ ও ‘ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল’ এবং উদ্ভাবন ও যোগাযোগ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ‘ক্লিয়ার কনসেপ্ট’ ও ‘টিম অ্যাটলাস’।
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। দলের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু এবং সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা।