চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে তিন মণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার ভোরে কসবা পৌরসভার শাহাপুর এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় আরো দুই মাদক কারবারী পালিয়ে গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কসবা পৌরসভার কালিকাপুর গুচ্ছ গ্রামের সোহরাব মিয়া (২২), খাড়পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (২৯) এবং নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের রাজা মিয়া (২৭)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আবদুল কাদের বলেন, মাদক পাচার করার সময় ১২০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই মাদক কারবারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেয়াদোত্তীর্ণ ও সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অন্তগর্ত কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, কর্মিসভার মাধ্যমে খুব দ্রুততম সময়ে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নিজ দলের অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে এখন আবোল তাবোল বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ৮০ জন প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন তার রাজনীতির অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকেন, তখন তারা আবোল তাবোল বলতে থাকে। ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপি এখন আবোল তাবোল বলছে।
হঠাৎ পাহাড় অশান্ত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে জেনে মন্তব্য করবেন। এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। নারীরা এগিয়ে না যেতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে না। তিনি প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নারীদেরকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ৮০ জন নারীর উদ্যোক্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পাচারের সময় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামাল মিয়া (৪০), মোঃ আলমগীর মিয়া (১৯) ও কবির হোসেন ওরফে ফালান (৪২)। তাদের কসবার বাড়ি কসবা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপর এলাকায় একটি যাত্রীবাহি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
পরে তাদের থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।