চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বকতারপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে স্থায়ীভাবে বাসও গেড়েছিলেন। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। সম্প্রতি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসেন। ফেরার পথে ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সত্যটা স্বীকার করেন।
অবশেষে প্রায় ৪৫ বছর পর ভারত থেকে ফিরতে হলো মো. ইদ্রিসকে। আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। একই সময়ে প্রেমের ‘ফাঁদে’ ঘর ছাড়া আরতি দাসকে (ছদ্মনাম) বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইদ্রিস ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের ত্রিপুরায় আটক হন। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আরতি নামে ওই কিশোরী মাস ছয়েক আগে আটক হন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শেষে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
এ সময় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওমর শরীফ, স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম, বিজিবি’র নায়েব সুবেদার মো. মালেকুল ইসলাম, বিএসএফ কম্পানি কমাণ্ডার অভিষেক শিংসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরতির বাবা জানান, তার স্ত্রী বেঁচে নেই। মেয়েকে লালন পালন করবেন বলে বিয়েও করেননি। কখন যে সে সীমান্ত পাড়ি দেয় তা তিনি বুঝতে পারেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভারতে তার মেয়ের অবস্থানের কথা জানতে পারেন। মেয়েকে কাছে পেয়ে তিনি এখন খুশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলেন বৃদ্ধ নাসির মিয়া। রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। আচমকা বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল এসে থাক্কা দেয় তাকে। সড়কে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে ডান পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে নাসির মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। প্রবাস ফেরত নাছির মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পৌরশহরের রেলওয়ে কুমার পাড়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখাউড়া-সুলতানপুর ফোরলেন সড়কের পাশে নাসির মিয়ার বাড়ি। প্রতিদিনের মতো গত ২ জুন খড়মপুর দক্ষিণ পাড়া মসজিদে আছরের নামাজ পড়তে যান তিনি। নামাজ শেষে ফেরার পথে বাসার সামনে সড়কের অপর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পারাপারের জন্য। ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ পশ্চিম দিকে আসা একটি মোটর সাইকেল তাক্কে সজোড়ে থাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তার ডান পা, পাজড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান তিনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে সোমবার বাড়িতে নিয়ে আসেন তাকে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত নাসির মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের আঘাতেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা দরকার। তাহলে এভাবে কারও স্বজনকে অকালে প্রাণ দিতে হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভায় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজলা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরনকারী শিশু জাবিরের বাবা কবির হোসেন ভূইয়া, চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্র সামি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো: হিমেল খান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো: ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারী মো: বোরহান উদ্দিন হান্নান খাদেম, আলহাজ্ব মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ এবং তাদের পরিবারের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন আসলে ‘ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগ জাতির জন্য হলো একটি অনুপ্রেরণা। তাদের স্মরণে আমাদের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির জাতীর কল্যাণে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।
শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদেরই যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ জাবেরের বাবা তুলাই শিমুল গ্রামের কবির হোসেন ভূইয়া তার ছেলের স্মরণে আখাউড়া থেকে তুলাই শিমুল পর্যন্ত শহীদ জাবিরের নামে সড়কের নাম করণ করার দাবি জানান।
পরে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুথানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও আহদদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ।
অনলাইন ডেস্ক :
জার্মানির জোলিঙ্গেন শহরে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ২৩ আগস্ট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে পশ্চিমাঞ্চলের শহরটিতে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি
জোলিঙ্গেন শহরের ৬৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুক্রবার শুরু হয়ে আগামী রোববার ওই উৎসব শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানেই হামলাটি চালানো হয়।
জার্মান সংবাদপত্র ‘বিল্ড’ জানিয়েছে, উৎসবে উপস্থিত লোকজনের ওপর একজন হামলাকারী এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি সৈকত দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলো ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা। তিনি পথে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পান। তার কাছে মনে হয়েছিল, ওই দুইজন ফিলিস্তিনি। ট্রাক থামিয়ে নেমে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি ওই দুই ব্যক্তিকে গুলি করেন। পরে জানা যায়, যে দু’জনকে গুলি করা হয়েছে, তারা আসলে ইসরায়েলি পর্যটক। ভুক্তভোগী দু’জন হলেন অ্যারি রাভে ও তার বাবা। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
খবরে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডার এই বাসিন্দার নাম মর্দেচাই ব্রাফম্যান। বয়স ২৭ বছর। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার ব্রাফম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মিয়ামি বিচ পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন ব্রাফম্যান।
গ্রেফতারের নথি অনুসারে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নজরদারি ভিডিওতে দেখা যায় যে ২৭ বছর বয়সী ব্রাফম্যান তার ট্রাক থেকে নেমে একটি গাড়ির দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। ব্রাফম্যান ১৭ বার গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে একজনের বাম কাঁধে এবং অন্যজনের বাম বাহুতে আঘাত লেগেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউপিএলজিকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুলিতে আহত হওয়া আরি রেভে বলেন, তারা ট্রাকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চালক তাদেরকে লক্ষ্য করে উন্মুক্ত গুলি চালায়।
ব্রাফম্যানের পক্ষের কোনো আইনজীবী বা প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পায়নি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনিবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল