চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে তিন মণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার ভোরে কসবা পৌরসভার শাহাপুর এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় আরো দুই মাদক কারবারী পালিয়ে গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কসবা পৌরসভার কালিকাপুর গুচ্ছ গ্রামের সোহরাব মিয়া (২২), খাড়পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (২৯) এবং নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের রাজা মিয়া (২৭)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আবদুল কাদের বলেন, মাদক পাচার করার সময় ১২০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই মাদক কারবারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্ত্রী ও শ্যালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামিউল কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জামতলী এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক সামিউলকে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
গরুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। এই রোগে আক্রান্ত গরুর গায়ে গুটি বের হতে দেখা যায়। পরে গায়ে প্রচণ্ড ব্যথায় গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা।
কসবার গরু পালন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন গরু পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরু পালন অনেকের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে। পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নতুন এই রোগের কারণে শঙ্কিত গরু পালনকারীরা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হয়েছে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হচ্ছে। এই রোগে গরুর গায়ে গোটা উঠতে দেখা যায়।
গরু পালনকারী সৈয়দাবাদ গ্রামের আলিম মিয়া জানান, গাভী গরুগুলো বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে প্রয়োজনীয় দুধ না পাওয়ায় বাছুর পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর শরীরে ব্যথা ও শরীরে ঘা’র স্থলে মশা-মাছি বসে অস্থির করে রাখছে।
একই গ্রামের গরু পালনকারী বিল্লাল মিয়া বলেন, এ রোগ হলে চিকিৎসা কী হবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। প্রাণীসম্পদ হাসপাতালেও কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু জ্বর ও ব্যথার ইনজেকশন দিচ্ছে। এতে আক্রান্ত গরুর ফোলা ও গুটি সারতে অনেক সময় লাগছে। অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
কসবা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, মশা-মাছির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। মশা বা মাছি আক্রান্ত গরুর শরীরে বসে। অন্য একটি সুস্থ গরুর শরীরে বসলে সেটিও আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই এই রোগ প্রতিরোধে গরুগুলোকে মশারির ভেতরে রাখা ও বাড়ির আশপাশ (গোয়াল ঘর) পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। এছাড়া এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসজনিত এই রোগের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ছাগলের বসন্ত রোগের মিল থাকায় প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার সুস্থ গরুকে ‘গোট পক্স’ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ প্রাণীসম্পদ দপ্তর বা ভেটেরিনারি সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মামুনুর রহমান, ইন্সট্রাক্টর কসবা উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এএসএম ইকবাল, কসবা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তুহিন কান্তি দাস ও কসবা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন। বর্তমান সময়ের জন্য মোবাইল ফোনকে অপরিহার্য আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, মোবাইল যেমন আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন তথাপি তার অধিক মাত্রা ব্যবহার মস্তিকের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ। বিশেষ করে যেসব শিশু অধিক পরিমান সময় মোবাইল ব্যবহার করে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ দুটোই ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, বহু প্রতিকুলতার শর্তে ও আমাদের দেশে শতকারা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটনকরতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। নারী সমাবেশে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় তিন শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো কুখ্যাত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের পুনর্বাসন করেন। তিনি তাদের চাকরি ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কসবা সরকারি পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন, এই স্বাধীনতা দিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম এবং জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি। তাঁর ডাকে আমরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি।
আনিসুল হক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও বিশ্ববাসীর চাপে তারা তা করতে পারেনি। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্যরা সপরিবারে হত্যা করে তাঁকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। দেশটাকে আবারও মিনি পাকিস্তান বানাতে তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনির পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র এমজি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।