অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক :
তানজিদ তামিমের ব্যাটে ভড় করে চিটাগাং কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্ণামেন্টে টিকে রইলো ঢাকা ক্যাপিটালস। আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে বন্দর নগরীর দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের হার না মানা হাফ সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৩ বলে ৮৮ রানে।
আরেক ওপেনার লিটন দাস অবশ্য শুরুটা একটু ধীর গতিতেই করেছিলেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২৫ রান। মুনিম শাহরিয়ারও ১৮ বল খেলেও ১২ রান করে আউট হন।এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তানজিদ তামিম। ১১ বল বাকি হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৬ রানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি চিটাগাং কিংস। নাইম ইসলাম ও জুবাইদ আকবরির উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলে এসেছে ৪০ রান। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে আউট হন জুবাইদ। গ্রাহাম ক্লার্ক ১৮ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন। আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা নাইম ইসলাম ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রান করে আউট হন।
শামিম হোসেনও ১৬ বলে মাত্র ১৫ রান করে ফেরেন। হায়দার আলি ১১ বলে ১৬ রান করে মেহেদী রানার শিকারে পরিণত হন। শেষদিকে অধিনায়ক মিঠুন ৮ বলে ১২ এবং খালেদ ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার হয়ে মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুলও। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী রানা ও বেটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের উদ্ভোধনী খেলায় আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টসে হেরে ১ম ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭৬ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে মুলত অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ১৩৭ রান ৯৫ বলে ২০ চার ২ ছক্কায় উদ্বোধনী আর এক ব্যাটার সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান এর ব্যাট হতে আসে ১৫৭ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস ১০ চারের সাহায্যে। তপু দত্ত ৩৮ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় করেন ৫০ রান।
বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে বান্দরবান ৩৬.৩ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটিং এর সময় ডেঞ্জার জোনে বার বার ব্যাটার রা ঢুকে পড়ায় দুই আম্পায়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপক্ষে ৫ রান পেনাল্টি দেয় এইজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৮৭ রানে জয়লাভ করে। বোলিংয়ে অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ৩টি আতিকুল ও তোফাজ্জল ইসলাম সুজন ২ টি করে উইকেট পায়।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের ২য় ম্যাচ চাঁদপুর জেলার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: ইশতিয়াক আহমেদ ভুইয়া (অধিনায়ক), ইশান বনিক, তপু দত্ত, শেখ সিহাব আহমেদ, মো: মাহিম চৌধুরী, রাশিদ শাবাব চৌধুরী, নুর আলম রাফি, মো: আশরাফুল ইসলাম মাহিন, সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান, মো: মেহেদী হাসান, তোফাজ্জল ইসলাম সুজন, সাকিব আল জামান আনন্দ, দীপু সুত্রধর ও মো: আতিকুল ইসলাম, কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহকারী কোচ শামীম ভূঁইয়া, ম্যানেজার মো: আজিম।
অনলাইন ডেস্ক :
ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল জয়সূচক গোলটি পেয়েছে ম্যাচের ৩০ মিনিটে। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার পর এটাই ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠল ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে দরিভালের দল। সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় উরুগুয়ে। তৃতীয় কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। স্থানীয় সময় রবিবার ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন খবরটি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে গাত্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু পরে তার নিউমোনিয়া, কিডনি ও হৃদযন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গাত্তির ডাকনাম ছিল ‘এল লোকো’ অর্থাৎ ‘পাগল’, আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন—৭৬৫টি ম্যাচ।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের মূল গোলরক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছিটকে পড়েন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ (অনূর্ধ্ব-১৭) ফুটবল প্রতিযোগিতার (অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো.সায়েদ মিয়া, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির,সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন,উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা মো.মাহবুবুল হক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় সরাইল সদর ইউপি একাদশ বনাম কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ।
খেলায় কালিকচ্ছ ইউনিয়ন একাদশ সরাইল সদর ইউনিয়ন একাদশ দলকে ট্রাইবেকারে ৩-২গোলে পরাজিত করে।
খেলার রেফারি ছিলেন, মো. শফিক মিয়া, সহকারী ছিলেন, আব্দুলাহ মতিন ও খন্দকার মাসুম বিল্লাহ। খেলার সার্বিক পরিচালনা করেন, সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ।