অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১টার দিকে শপথ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। তিনি সংবিধান ‘সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা’ করার শপথ নিয়েছেন।
এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে কামান দাগা হয়েছে, আর বাজানো হয়েছে ‘হেইল টু দ্য চিফ’। পাশাপাশি ট্রাম্পকে তার পরিবার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে উদযাপন করতে দেখা গেছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পর এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করলেন, যিনি একবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। খুব শিগগিরই ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ভাষণ দেবেন।
শপথ গ্রহণের জন্য ট্রাম্পের প্রবেশ
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন অতিথিতে পূর্ণ ক্যাপিটল রোটান্ডা কক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। এই স্থানেই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স কংগ্রেসনাল মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ নেবেন। এরপর সেনা সদস্যদের পর্যালোচনা করবেন ট্রাম্প। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর প্যারেড বা কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। শেষে মোটর শোভা যাত্রা নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন
এদিকে ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউসে এক চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে সাংবাদিকরা চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। আজ প্রথমবারের মতো এই জুটির দেখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইভাংকাসহ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যাবেন।
ট্রাম্পের আগমনের ঠিক আগে, বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হোয়াইট হাউসে তার শেষ দিনে আজ কেমন অনুভব করছেন। উত্তরে ‘ভালো’ বলে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
চায়ের বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। সেখানে কোনো সাংবাদিকের প্রবেশের অনুমতি নেই।
প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন ও অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী চায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল ১৮৩৭ সালে। তবে ২০২১ সালে সেই ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প বাইডেনকে চায়ের আমন্ত্রণ করেননি। সে সময় ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন—এমন মিথ্যা দাবি অনবরত করে গেছেন ট্রাম্প।
কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এটা এখন বেশ স্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় তার ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ ও পদক্ষেপগুলোর মধ্যে কিছু স্বাক্ষর করতে চাইবেন। যে স্টেজে তিনি বক্তব্য দেবেন, সেই স্থানের এক পাশে ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, মঞ্চের অন্য পাশে একটি ডেস্ক, একটি অভিনব চেয়ার, একটি মাইক্রোফোন ও একটি বৃত্তাকার প্লেট রয়েছে। প্রেসিডেন্টের সিল বসানোর জন্য খুব সম্ভবত রাখা হয়েছে।
সেন্ট জন গির্জা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সেন্ট জন গির্জায় পৌঁছন। এ সময় অভিষেকের দিনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে দেখা যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে পৌঁছন। এ ছাড়া নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও উষা ভ্যান্সও গির্জায় ছিলেন।
গির্জায় শপথের এ রীতি ঐতিহ্যবাহী। গির্জায় পরিষেবাটি ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’-এর উপস্থাপনা দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিট পর শেষ হয়। এরপর শিগগিরই শপথ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথেড্রাল ছেড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী অন্যান্য যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও মার্ক জাকারবার্গ। হোয়াইট হাউস পুল জানিয়েছে, অ্যামাজনের জেফ বেজোস ও লরেন সানচেজ, বরিস জনসন, সবাই একই সারিতে বসেছেন। ট্রাম্প, মেলানিয়া ও তাদের ছেলে ব্যারন সামনের সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় সহজে ও কম সময়ে ই-পাসপোর্ট এবং ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।
এসময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
‘কল সেন্টার’ চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী-বান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সই করা চুক্তির আওতায় গত একবছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে।
সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসী-বান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো।
শিগগির ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ করা হয়েছে।
কল সেন্টারের নম্বর- 0392120267। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল দিয়ে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্ঘটনাক্রমে ৩ বছর বয়সী একটি শিশু তার এক বছর বয়সী বোনকে গুলি করে হত্যা করেছে। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির
সান ডিয়েগো কাউন্টির ফলব্রুকে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে ওই শিশু। সোমবার সকালে বোনকে গুলি করার পর ওই শিশুটি স্থানীয় পুলিশে ফোন করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায় তার বাসা রক্তে রঞ্জিত।
পরে মাথায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এক বছরের কন্যাশিশুকে। পুলিশ জানতে পারে বাড়িতে তিন বছর বয়সী শিশুটি একটি অনিরাপদ হ্যান্ডগান হাতে পেয়ে যায়। তা দিয়ে সে গুলি করে বোনকে। আহত শিশুকে পালোমার হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী-শিশুসহ নিহত ২৩২ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। আজ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানায়, উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ২৩২ ছাড়িয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় ১৭ মার্চ সোমবার রাতে গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলের একাধিক স্থাপনায় ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে আবাসিক ভবনসহ বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি হতাহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধবিরতির চুক্তির পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করা হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনেই এই হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করেই ইসরাইল এ হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছিল। তবে বন্দি বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় আলোচনায় সাফল্য আসেনি। এতে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, তারা আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে। স্থল অভিযানেরও হুমকি দিয়েছে তেল আবিব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সংঘাতের এই নতুন ধাপে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে সেনাবাহিনী আতঙ্কিত। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা’ পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তেহরিক-ই–ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান।
২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান খান। মাত্র চার বছরের কম সময় দেশ শাসন করেছিলেন। এরপর গত বছর সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার একটি বড় কারণ ছিল। মূলত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
ইমরান খানের দাবি, তার দল পিটিআই দেশটির একমাত্র দল যারা সামরিক স্বৈরশাসকদের দ্বারা তৈরি হয়নি। এ কারণেই দলটিকে ভেঙে দেওয়ার জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে অনেক সমালোচক বলেছেন, ইমরান খানের ক্ষমতায় উত্থানের সময় সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল।
গত কয়েক মাসে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে জানান, তার দল অক্ষত রয়েছে।
বিবিসির স্টিফেন স্যাকুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেও ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হয়েছি।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আশা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত পিটিআই দলকে দুর্বল করবে। উল্টো আমাদের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
ইমরান আরও বলেন, আমার দলকে ধ্বংস করার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তারা নারী ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীসহ ১০ হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর চেয়ে খারাপ হচ্ছে, তারা জনগণকে নির্যাতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনী ভয় না থাকলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতো।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার মস্কো শহরের পশ্চিমে একটি শপিং মলে আজ ২২ জুলাই শনিবার গরম পানির পাইপ ফেটে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ৭০ জন আহত এবং ২০ জন আটকা পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে।
মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুরো ভবনজুড়ে পানি ও একটি দরজা দিয়ে বাষ্প প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ফুটন্ত পানি মলের একটি অংশ প্লাবিত করেছে। এতে কমপক্ষে ৭০ জন আহত এবং প্রায় ২০ জন আটকা পড়েছে।
পাইপ বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। রাশিয়ান তদন্ত কমিটি মারাত্মক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
২০০৭ সালে চালু হওয়া ছয়তলা শপিং মলটি ভ্রমেনা গোদা (দ্য সিজনস) নামে পরিচিত। এতে ৬২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে দেড় শতাধিক দোকান রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স, আরটি