অনলাইন ডেস্ক :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে শেরপুরের নকলায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সারে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্র।
এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, একাডেমিক সুপারভাইজার ফারজানা শিরাজী, সহকারি প্রোগ্রামার সাইমুন শাহনাজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা পক্ষে ও বিপক্ষে স্কুল পর্যায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান ও কলেজ পর্যায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার এক নারী বিয়ের দেড় বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায় মুক্তা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে মুক্তার লাশ শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থেকে বাবার বাড়িতে এনে দেওয়া হয়।
সকালে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেছে। এর আগে ভোর চারটার দিকে নিহতের লাশ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই আত্মীয়কে লাশের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত মুক্তা বেগম আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর (কুড়ের পাড়) গ্রামের গোলাম মিয়ার মেয়ে। তার ৭ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের শ্বশুর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও শাশুড়ি খোশনাহার বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী খোশনাহার বেগম মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত মুক্তা ও তার স্বামী আব্দুল্লাহর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী আব্দুল্লাহ মুক্তাকে মুখে হাত চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা আড়াল করতে মুক্তার লাশ তার পরিবারের কাছে অসুস্থতার খবর দিয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করলে খায়েশ মিয়া নামে আত্মীয়কে দিয়ে সিএনজিতে লাশটি মুক্তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মুক্তার বুকের ব্যথার কথা বলে তারা ওই আত্মীয়কে সহযোগিতা করতে সঙ্গে নিয়েছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। আব্দুল্লাহ মিষ্টির দোকানের কারিগর। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন মিষ্টির দোকান দেয়ার জন্য মুক্তার বাবার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ অন্যান্যরা প্রতিনিয়ত মুক্তাকে মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিগত এক বছরে বেশ কয়েকটি সালিশ হয়েছে। মুক্তার বাবা গোলাপ মিয়া মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও অক্ষমতার জন্য ব্যবস্থা করতে না পারায় দিতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে মুক্তার একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। যার বয়স বর্তমানে ৭ মাস। গোলাপ মিয়া মেয়ের জামাইকে মিষ্টির দোকান দিতে টাকা দিতে না পারলেও তার মেয়ের ও নাতির চিকিৎসা, সিজারিয়ান অপারেশনের খরচ প্রদানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুক্তার শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে তারা বাবা গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে গোলাপ মিয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছার আগেই তার লাশ নিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে এসে তার মেয়ের লাশ দেখতে পান। এদিকে সকালে নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি মুক্তার লাশ দেখতে এলে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাস বলেন, নিহতের লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল নরসিংদী উপজেলার রায়পুরায় তাই নিহতের স্বজনদের রায়পুরা থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের স্বপ্ন ছায়া কমিউনিটি সেন্টারের মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জয়পুরহাট সদর শাখা আয়োজনে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে ২২ জন শিক্ষক অবসর নেন। এসব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তাদেরকে ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৃপ্তি কণা মন্ডল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিম উল ফারুক ডলার, আইন সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জয়পুরহাট সদর শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ গনি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকুরিচ্যুৎ বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর এর নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহী আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের দায় বিডিআর সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করার জন্য এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার সুবিধা দেয়াসহ গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি যুবকবৃন্দের উদ্যোগে বিরাসার দক্ষিণপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার পবিত্র ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ দাঃ বাঃ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন উজানী পীর হযরত মাওলানা মুফতী এহতেরামুল হক (উজানী)। প্রধান বক্তা থাকবেন হযরত মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ঢাকা। বিশেষ অতিথি থাকবেন নাটাই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওঃ মুফতি বদরুল আলম, বিরাসার দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা ফায়জুর রহমান, বিরাসার ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ। এছাড়াও উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে আরো বহু উলামায়ে কেরামগণ তাশরীফ আনিবেন। উক্ত মাহফিলে উপস্থিত হয়ে দ্বিন ও আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিল ও দোয়ায় শরীক হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি মাহফিল পরিচালনা কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।