অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের স্কি রিসোর্টের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ৫১ জন। বলুর এলাকায় আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়ার জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়ার জানিয়েছেন, ১২তলা বিশিষ্ট গ্র্যান্ড কার্টাল হোটেলে স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৭ মিনিটে আগুন লাগে। ছুটির মৌসুমে হোটেলটিতে ২৩৪ জন লোক অবস্থান করছিলেন।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, জানালা দিয়ে ঝুলন্ত দড়ি দেখা গেছে যা জ্বলন্ত ভবন থেকে পালানোর চেষ্টাকারীরা ব্যবহার করেছিলেন।
বোলুর গভর্ণর আব্দুল আজিজ আইদিন জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে হোটেলের চতুর্থ তলার রেস্তোরাঁ অংশে আগুন লেগেছে এবং তা উপরের তলায় ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে অতিথিরা তাদের কক্ষে আটকা পড়েছিলেন কিনা তা তদন্ত করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
গভর্ণর সাংবাদিকদের জানান, কার্তালকায়ায় অবস্থিত হোটেল এবং বলুর কেন্দ্রস্থলের মধ্যে দূরত্ব এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে দমকল বাহিনীর ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাইকা সদর দপ্তরে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি মডেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আবাসন খাত ও নগর উন্নয়নে জাপানের এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচি জাইকার সদর দপ্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে স্বাগত জানান। তিনি নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশে জাইকার চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের আটজন সৈন্য মারা গেছে। দক্ষিণ লেবাননে সংঘর্ষে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আটজন সেনা নিহত হয়েছে। আইডিএফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইগোজ কমান্ডো ইউনিটের তিনজন এবং গোলানী ব্রিগেডের দুজন রয়েছেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন হারেল ইটিঙ্গার (২৩), ক্যাপ্টেন ইটাই আরিয়েল গিয়াত (২৩), সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস নোয়াম বারজিলাই (২২), সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস ওর মেনজুর (২১), সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস নাজার ইটকিন (২১), স্টাফ সার্জেন্ট আলমকেন তেরেফ (২১) এবং স্টাফ সার্জেন্ট ইডো ব্রয়ার (২১)।
ইগোজ কমান্ডোর সদস্যরা হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সাথে একটি গ্রামে তীব্র যুদ্ধে নিহত হন। সেখানে তাদের সাথে ক্যাপ্টেন ইটান ইটঝাক ওস্টারও মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়াও, এই সংঘর্ষে একজন অফিসার ও চারজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্য একটি ঘটনায়, গোলানী ব্রিগেডের দুই গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্য নিহত হন এবং আরো একজন সেনা গুরুতর আহত হন। আরেকটি ঘটনায় গোলানী ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটালিয়নের একজন চিকিৎসাকর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
বুধবার দু’বার মুখোমুখি লড়াই হয়েছে বলে জানায় তারা। সংগঠনটির বক্তব্য, এগুলো যুদ্ধের প্রথম পর্যায়। সংঘর্ষে মোট আটজন আইডিএফ সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর বোমা হামলা থেকে ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনও রক্ষা পাইনি নিরিহ ফিলিস্তিনিরা। তাদের লাগাতার বোমা হামলায় ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে হাজার হাজার যুবককে। আর আহত হয়ছেন অসংখ্য মানুষ। বাস্তহারা হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই ইসরায়েলি বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল ও আল জাজিরা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলে ২০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে হামাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবের দিকে ২০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত করা হয়। এ সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সতর্কসংকেত (সাইরেন) বাজানো হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের ছোড়া একটি রকেটের টুকরো ইসরায়েলের স্থানীয় এক হাসপাতালে গিয়ে পড়লেও, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের সাবেক ধর্মমন্ত্রী ইউসুফ সালামা (৬৮) নিহত হয়েছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রবিবার ইউসুফ সালামার বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায় বলে জানায় ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। এছাড়া হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিয়ষটি নিশ্চিত করেছে।
ওয়াফা বলছে, ইউসুফ সালামার বাড়ি গাজার মধ্যাঞ্চল আল-মাঘাজি শরণার্থী ক্যাম্পে। ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইউসুফ। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ইমামও ছিলেন ইউসুফ সালামা। তবে, ফিলিস্তিনের সাবেক এই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।