অনলাইন ডেস্ক :
জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের একটি গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বুধাইরহাট বাজারের সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ তাজুল গ্রুপ ও স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির বেপারী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এ সময় বুধাইরহাট বাজার এলাকায় দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে দুজন পথচারী আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে একটি বালতিতে লুকিয়ে রাখা সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নাসির বেপারী জানান, আমি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। পরে এসে জানতে পারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ছোটভাই সাব্বির লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির দিকে হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পেছনে গরুর খামারের কাজ চলছে। সেখানে কারা বোমা রেখেছে আমার জানা নেই। তদন্ত করলেই এটা বেরিয়ে আসবে।
জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমরা উদ্ধারকৃত বোমার বিষয়ে তদন্ত করছি। যারা এরসাথে জড়িত তাদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উৎসুক জনতার ধাওয়া খেয়ে চোলাই মদ অটোরিক্সাতে রেখে পালিয়েছেন এক মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি। এ সময় মদ উদ্ধারের পর অটোরিক্সাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অটোরিক্সা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ভূঞাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদক ব্যবসায়ী ওই দম্পতি হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা। তারা দীর্ঘদিন ধরে মদ ও গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের প্রত্যেক্ষদর্শী ইউসুফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আনোয়ার ও খালেদা মিলে দেশি চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা অস্বীকার করে আসতো। তারপর হাতে-নাতে ধরার জন্য তাদের ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি করে আসছিলাম। আজ আমাদের মসজিদের সামনে একটি অটোরিক্সা দাঁড় করানো অবস্থায় দেখি এবং তা সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে সমবেত হন। পরে অটোরিক্সা থেকে ১০ ব্যাগ পলিথিনে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মদ উদ্ধার করে। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা অটোরিক্সাটি পুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল। এ ছাড়া দেশব্যাপী নারীদের উপর সহিংসতা, নিপীড়ন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদ এবং বিচার করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিও জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আজ ১০ মার্চ সোমবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন ছাড়াও যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, মনিরুল হক, সদস্য সাব্বির, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, সৌরভ, উল্লাস, মুক্তাদির, সাক্ষর প্রমুখ।
ছাত্রদলের নেতারা বলেন, দেশব্যাপী ধর্ষণের সিরিজ চলছে। ধর্ষণের বিচার দেখছি না। স্বাধীন বাংলাদেশে কোন নারী, কোন মা, কোন বোন যেন আর ধর্ষণের শিকার না হয় সেজন্য দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, দেশব্যাপী নারীদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আমরা আজ এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আছিয়ার মতো বোনেরা কেন ধর্ষণের শিকার হবে? তাদের বিচার হতে এতো বিলম্ব হবে কেন? আমরা দাবি জানাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এছাড়া বিচার কার্যক্রম আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনারা পদত্যাগ করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় শারমিন বেগম (৫০) নামে এক নারীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আটক ফারহান রনি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শারমিন বেগম মেয়ে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি গ্রাস করতে চাওয়ায় হত্যা করেছে বলে দাবি রনির। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূইয়ার রহিমপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শারমিন বেগমের মাথাবিহীন আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিচ্ছিন্ন করা মাথা উদ্ধার করা হয় পাশের একটি পুকুরের কাছে জমি থেকে। মাথাটিও গর্তে পুঁতে রাখা হয়। ঘাতকের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
ওই দিনই শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে ফারহান রনি (৩০) কে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শারমিন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার ফারহান রনিকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শারমিন বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম গত ৪০ বছর ধরে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার হীরাপুর গ্রামের একটি জায়গায় মাটির ঘর করে বসবাস করতো। আগে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বাড়ির কাজকর্ম করতো। এখন ভিক্ষাবৃত্তি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করে। তাদের তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে সন্তান নাই। মঙ্গলবার রাতেও শারমিন বেগম ঘরেই ছিল। ভোরে পুলিশের হাতে আটক ফারহান রনি তার মা অসুস্থ বলে শারমিন বেগমকে ডেকে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ‘ফারহান মাদকাসক্ত। একই সাথে সে চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িত। পরিবারও তার জ্বালায় অতিষ্ঠ। গত কয়দিন ধরে ফারহানের পিতা যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূইয়া বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।’
নিহত শারমিন বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে গাঁও করতে (ভিক্ষা) যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী ঘরেই ছিল। বিকালে ফিরে শুনি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। কেন হত্যা করেছে কিছু বুঝতে পারছি না।’
এদিকে, মামলার বাদী রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘রনি হাঁস চুরি করে রান্না করে দিতে বলেছিল তার মাকে। হাঁস রান্না করে না দেওয়ায় মাকে হত্যা করেছে রনি।’
আজ বুধবার সকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আটক ফারহান রনি প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছে শারমিন বেগম তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। আজ ১ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকার বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাড়ির বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধের জেরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের লোকজন রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি, লাঠিসোঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন-আলমগীর হোসেন (৩৬), সোলেমান মিয়া (৩৯), সোহরাব হোসেন (৪৫), রাসেল মিয়া (৩২), রফিক মিয়া (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৭), সনি মিয়া (২৭), রাসেল মিয়া (৩১), সামীর মিয়া (৩৬), ইসমাইল হোসেন (৪৪), ইমরান হোসেন (২৯), হক মিয়া (৪৩), মাসুদ মিয়া (৪০), শাহিন মিয়া ৩৯), লালু মিয়া (৪৩), রাব্বি মিয়া (২৬), হোসেন মিয়া (৪৫), শাহ পরান (২৮), শাহজালাল (৩৪), শাহিন মিয়া (৪৫)। তাদের পাশের নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার বলেন, দুই মাস ধরে আজগর আলী সরকার বাড়ির মো. সুলতান মাস্টারের পক্ষের লোকজন রাতের বেলা তাদের বাড়িঘর ও লোকজনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে আসছেন। আজ সকালে হঠাৎ সুলতান মাস্টারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। তখন তারা আত্মরক্ষার জন্য তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হন।
আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে মতিউর রহমান ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছিলেন। তখন তাদের পক্ষের অনেক লোকজন আহত হয়েছিলেন। তার পর থেকে তারা গ্রামে যেতে পারেন না। মঙ্গলবার তারা গ্রামের বাড়িতে গেলে পূর্ববিরোধের জেরে আজ মতির লোকজন তাদের ওপর হামলা করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। এতে তাদের পক্ষের অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, শান্তিপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।