মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় থানার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উপজেলা ইমাম পরিষদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আখাউড়া উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও থানা মসজিদের খতিব মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আসাদুজ্জামান, মুহিসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আসাদ আল হাবিবসহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালরা।
মতবিনিময় সভায় আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন আরো বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। মাদক ব্যবসায়িদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি আখাউড়াকে মাদক মুক্ত করতে উপস্থিত সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন। এছাড়াও তিনি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ বন্ধে তথ্য প্রদান করতে সকলকে অনুরোধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে পেঁয়াজগুলো বন্দর থেকে খালাস করবে বলে জানা গেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিডিএস কর্পোরেশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে একটি ট্রাকে করে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ২৫০ মার্কিন ডলার। ধাপে ধাপে এলসির বাকি পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর আবারও সচল হলো আখাউড়া স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য। সর্বশেষ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৩৮ টন ভাঙা পাথর আমদানি হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার তন্তর এলাকায় মো. হেবজু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে তার প্রতিবেশি পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটানোর পর ওই প্রতিবেশি পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল জানান, প্রতিবেশি শাহ আলম মিয়ার বাড়ির একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
অভিযোগ তোলা হয়, হেবজু মিয়ার স্ত্রীর বিরদ্ধে। বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে চাইলে প্রতিবেশি বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কাঠের বস্তু দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বৃদ্ধের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় ৪’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ কামাল পাটোয়ারি (৩৮) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি নবীনগর উপজেলার শিবপুর এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে। মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থানার এসআই আবু ছালেক সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মনিয়ন্দ চেয়ারম্যান অফিসের সামনে রাস্তা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম জানান, নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতের বিরুদ্ধে পূর্বে ও একটি মাদক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নেতাদের আটক ও জামিন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এরমধ্যে কৃষিমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার উনার (কৃষিমন্ত্রীর) ব্যক্তিগত অভিমত। তা আমাদের দলের নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এটা দলের অভিমত নয়। আইনমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিএনপির নেতা যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার এবং তাদের জামিনের ব্যপারে শুধু আদালত কথা বলতে পারে। আর কেউ নয়।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সড়ক বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
‘গণভবনের নির্দেশে আইন চলে আদালতের নির্দেশে নয়’ বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী’র এমন অভিযাগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, উনি (রিজভী) কোথায় বসে বসে বাণী ছাড়েন। উনার বাণীগুলো সম্পূর্ণ অসত্য, তথ্যভিত্তিক নয়। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, যখন বিএনপি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারকে হত্যা করে এই দেশে স্বৈর শাসক চালাচ্ছিল তখন যেমন বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন আর নাই।
কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, কসবা-আখাউড়ার জনগণের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে, তাদের ভালোবাসা। আমি গত ১০ বছর তাদের সেবা করেছি। তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা কিছু করতে হয় তাই আমি করবো।
ষ্টেশনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, যুবলীরে যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ করে লিফলেট ও ফুল দেন। গণনসংযোগ শেষে সেখান থেকে মন্ত্রী খড়মপুর কল্লা শাহ (র.) মাজার জিয়ারত করেন।
এর আগে তিনি বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন।
এসময় ষ্টেশনে সহস্রাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগস অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীলা তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি অপেক্ষমান নেতাকর্মীদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।