অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন। এর মধ্যে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত আদেশও রয়েছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সইয়ের পর বলেন, ওহহ, এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এতো দিন অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অন্যায্য পরিমাণে’ অর্থ প্রদান করেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে এনেছিল। ওই সময় বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি অপ্রত্যাশিত নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যত ২০২০ সাল থেকেই ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। সেসময় তিনি করোনভাইরাস মহামারি নিয়ে সংস্থাটিকে আক্রমণ করেছিলেন এবং এই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
এরই জেরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার জন্য আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চলারপথে ডেস্ক :
রাতেই হবে চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণটি শুরু হবে রাত ৯টা ১২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।
আর শেষ হবে রাত ১টা ৩৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। এরমধ্যে মধ্যবর্তী গ্রহণ হবে রাতে ১১টা ২৩ মিনিটে।
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আকাশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার কিম্বলটন শহর হতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ হবে আজ ৫ মে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। অস্ট্রেলিয়ার কোকাস আইল্যান্ড হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ভারত মহাসাগরে রাত ১১টা ৫৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে হবে মধ্যবর্তী গ্রহণ।
উপচ্ছায়া হতে চাঁদের নির্গমন হবে মরিশাসের মাথুরিন বন্দর হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারত মহাসাগরে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪২ সেকেন্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি সোমবার শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অভিষেক অনুষ্ঠানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার মেলোনির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচের মার–এ–লাগোর বাসভবনে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন মেলোনি। বৈঠকের পর মেলোনির বেশ প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি তাকে ‘একজন চমৎকার নারী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার
তাই আশা করা হচ্ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে মেলোনি যোগ দেবেন। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক আরো মজবুত করবেন ইতালির রক্ষণশীল ঘরানার এই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে সাধারণত বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকেন না, বরং তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কূটনীতিকদের পাঠান। কিন্তু ট্রাম্প বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাকে তার অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রথা ভেঙেছেন। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে।
আজ ৩ মে শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
নিহতরা হলেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী(২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ(২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব(১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪), একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।
এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। যেহেতু এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল ঘটনা, দেশের বাইরে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্বনির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম। যেভাবে বাইরের থেকে আসছে ইনটেক। দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্ডাম হয়েছে তা দেখলাম। সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাস্ট।
তিনি বলেন, ‘ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
উপ-পরিদর্শক জানান, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন যুবরাজ ও কামাল। তাদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র। এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে ও দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের বিহার রাজ্যে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামের ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় কয়েকজন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তাঁকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।
গৌতমের আরো অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে কাজ হয়নি।
তার পরই তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে।
এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও সরকারি চাকুরে এক যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে রায় দেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দুই বন্ধুর হাতে। তাঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠি। এমন ঘটনা ভারতে এই প্রথম।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি গত ১ মে নৌবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর আগামীকাল (১ জুলাই) সোমবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
দুজন ১৯৭০–এর দশকের প্রথম দিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সৈনিক স্কুল রেওয়ায় লেখাপড়া করতেন। ওই স্কুলে তাঁরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে এ-লেভেল পর্যন্ত একসঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। তাঁদের দুজনের রোল নম্বরও কাছাকাছি ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদীর রোল নম্বর ছিল ৯৩১ এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠির রোল নম্বর ছিল ৯৩৮।
স্কুলের প্রথম দিকে তাঁদের দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। স্কুলের পরেও দুই বন্ধু একে অন্যের খোঁজ নিতেন। যোগাযোগ রাখতেন। দুজনকেই চেনেন এমন একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীতে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দুই বাহিনীর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
দুই বন্ধুর দুই বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময়ও প্রায় কাছাকাছি। ব্যবধান মাত্র দুই মাসের।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী দীর্ঘদিন ভারতের সেনাবাহিনীর নর্দান আর্মি কমান্ডার ছিলেন। এএনআই এর তথ্য মতে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী ১৯৮৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসে যোগ দেন।