অনলাইন ডেস্ক :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে শেরপুরের নকলায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সারে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্র।
এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান সুমন, একাডেমিক সুপারভাইজার ফারজানা শিরাজী, সহকারি প্রোগ্রামার সাইমুন শাহনাজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’ বিষয়ক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা পক্ষে ও বিপক্ষে স্কুল পর্যায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান ও কলেজ পর্যায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদী বন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবারও চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদীপথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আজ ১৪ মে বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিমের বাড়ির গোষ্ঠীর মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। নিহত মিয়াজুল চান্দের গোষ্ঠীর তোতা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। এ সময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভপক্ষের ১০/১২টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
এরই জেরে আজ বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষ জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০/১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি গ্রামের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চান্দের বাড়ি মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গোষ্ঠীগত বিরোধ ও দ্বন্দ্বের জের ধরে চান্দের বাড়ির গোষ্ঠী ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে আহত একজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইভটিজিংয়ের দায়ে মো. মাঈনুদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের রাবেয়া মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মাঈনউদ্দিন বায়েক ইউনিয়নের ধোপাখলা গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাঈনুদ্দিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঈনুদ্দিন উল্লিখিত বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা প্রশাসনকে অবহিত করে। স্থানীয় লোকজন মাইনুদ্দিনকে আটক করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কালিয়া উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা, দেশীয় তৈরি অস্ত্র রামদা, জিআই পাইপ, নগদ টাকা ও ৭টি মোবাইলসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
৯ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের চোরখালী ও খাশিয়াল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, চোরখালী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল মোল্লা (৩০), খাসিয়াল গ্রামের জমির উদ্দিন এর ছেলে আকবর উদ্দিন, হাসমত বিশ্বাস (৩০), হাসমত বিশ্বাসের ছেলে নাঈম বিশ্বাস (২০), হাসমত বিশ্বাসের স্ত্রী বিনা বেগম, ও পুঠিমারী গ্রামের আকাশ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাসিয়াল -জয়নগর এলাকায় নিয়মিত টহল চলাকালে পুটিমারী বাজারের পাশে একটি স্কুলের ফ্যান চুরি করার সময় আকাশ নামের একজন চোরকে গ্রামবাসী ধরে হস্তান্তর করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ জানায় চুরি করা টাকা দিয়ে সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে মাদক ব্যবসায়ী আকবরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৩ পিস ইয়াবা, ৮০ গ্রাম গাঁজা ও চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ ৩৩,২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আকবর জানায়, রফিকুল নামে এক ডিলারের কাছ থেকে সে এই সকল মাদক সংগ্রহ করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আকবর ও তার স্ত্রী এবং ২ সহযোগীকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী চোরখালীতে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা এবং ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, কালিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে ৬ জন আসামি নড়াগাতী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে নড়াগাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাঁদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। আজ ১০ মার্চ সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
এদিকে, রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে এখন পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা।
শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান।
ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।