চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সমরাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল মতিন, জেলা জামায়েত ইসলামের আমীর গোলাম ফারুক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের তরুণ সমাজরা হচ্ছে আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা রটনা করছে আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। এটা একবারেই অপবাদ। আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, অন্যায় করে তাদেরকে আমি পছন্দ করিনা।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয় ও ভূমি অফিস ভাংচুর করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আমি মনে করি তারা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া পুলিশের কাজ। তিনি বলেন, আমার বিরোধ আলেম ওলামাদের সাথে নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের কারণে কিছু লোকের সাথে আমার বিরোধ আছে। তবে ওলামা হিসেবে কারো সাথে বিরোধ নেই। যারা মিথ্যা বলেন, তারা যদি তওবা করেন তাহলে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক রাখতে কোনো সমস্যা নাই। এই জেলায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি আলেম-ওলামা রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই আমার কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার জানাযা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে নাকি আমি মোবারকউল্লাহ হুজুরকে আসতে বাঁধা দিয়েছি। তবে আমি তাকে বাঁধা কেন, এ বিষয়ে কিছুই বলিনি। তানভীর ভূঁইয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা তার ভাগিনা পরিচালনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কলাপাতার পানির মধ্যে ধানের শীষ দেখা গেছে, এই রাজনীতি আবারো শুরু হতে পারে। তিনি এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান।
তিনি জেলার প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবার সময় মাদক, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বয়ান করার জন্য ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখরা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ৩ শতাধিক আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
আগামী পহেলা নভেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২৩ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী পরামর্শ সভায় কর্মসূচির বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে অভিমত প্রকাশ করেন উপদেষ্টা এবং বিগত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ এর পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কর্মকর্তা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মো. আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সংগ্রহ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, বশির আহমদ, হারুন অর রশিদ, সমবায় মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ রকিব প্রমুখ।
পরে নেতৃবৃন্দ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব অ্যাড. হারুন আর রশিদ এর বাসভবনে যেয়ে উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুর কদর বা শবেকদর। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এ রাতটি জিকির-আজকার, নফল ইবাদতের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অতিবাহিত করেন।
শবেকদর মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদে গতকাল তারাবি নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। রাতে মুসল্লিরা জিকির-আজকার করেন।
এ ছাড়া গতকাল তারাবির নামাজের পর সারাদেশে মসজিদে মসজিদে বয়ান ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে নানা বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ মে শনিবার সকালে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ লতিফুর রহমান আল আমিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার।
দুর্নীতিকে না বলে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার, শোভা আক্তার ও লামিয়া মেহজাবিন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি কবি আব্দুল মান্নান সরকার দুর্নীতি বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারটি চোরাই গরুসহ মো. কাউসার (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ ৩ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক কাউসার ওই এলাকার মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে বাড়িতে জমা করছিলেন কাউসার ও তার এক সহযোগী। গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে কাউসারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে চারটি চোরাই গরু পাওয়া যায়। গরুগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি কাউসারকে আটক করা হয়।
ওসি আরো বলেন, কাউসার পেশাদার গরু চোর। তিনি বিভিন্ন সময় গরু চুরি করে বিক্রয় করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।