অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সেফ জোন তৈরিতে জার্মানের সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটের সাইডলাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথে বৈঠকে এমন সমর্থন চান তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলরকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চার্টারে স্বাক্ষর করা হবে। এ সময় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে জার্মান সরকার।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান দেশটির জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
গতকাল ২০ জানুযারি সোমবার দিবাগত রাতে চার দিনের সফরে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরকালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এ ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা দাভোসে ফোরামের সাইডলাইনে বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ছাড়াও কয়েকটি সংস্থা প্রধান, বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা রয়েছে তার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে ঢাকা থেকে নিজ সংসদীয় এলাকায় আসেন।
এদিকে দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আলবদরদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত। এখন যে সময়ে জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ হয়েছে।’ বিএনপির আমলে ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বেশি ছিলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূইয়া, গোলাম সামদানি ফেরদৌস, আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুর শহরের উপশহর এলাকার এক বাড়ি থেকে বিষধর একটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি মাছুয়া সাপ। কৌশলে সাপটিকে বয়ামে ভরে রাখেন বাড়িওয়ালা। শনিবার সাপটি দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বনবিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এটি বিষধর পদ্ম গোখরা সাপ।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বনে উন্মুক্ত করতে সাপটি হস্তান্তর করেছেন শিক্ষক রাশিদুল হাসান কচি।
কলেজের প্রভাষক রাশিদুল হাসান কচি জানান, শুক্রবার নিজ বাড়ির দরজার পাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময় সাপটি দেখতে পান। ভয়ে সাপটির মাঝখানে আঘাত করলে সাপটি একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে তিনি ও তার ছেলে তানজিরুল হাসান আবির সাপটিকে লাঠি দিয়ে কৌশলে প্লাস্টিকের বয়ামে ভরে রাখেন। দেখে মনে হয় এটি বিষধর পদ্ম গোখরা।
তিনি আরো জানান, সাপটিকে তিনি মারতে চান না। এ কারণে সাপটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। সেখান থেকে তিনটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করলে তিনটি নম্বরের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা হয় এবং তারা এসে সাপটি নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর বনবীট কর্মকর্তা ও রামসাগর উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নান জানান, শনিবার বিষয়টি জেনেছি। সাপটি দেখে মনে হচ্ছে বিষধর পদ্ম গোখরা। সাপটি নিয়ে আমরা বনে উন্মুক্ত করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়ে বাড়তি দামে খেজুর বিক্রির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে আদালত পরিচালনার সময় ফল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জালিয়তির বিষয়টি ধরা পড়ে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিতে উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্নমানের খেজুর দেখিয়ে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সে খেজুর আবার ফলমণ্ডিতে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো। ফলমণ্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি দরে খেজুুরসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করছেন।
অভিযানের সময় আমদানি নথি যাচাই করে দেখা যায়, ফলমণ্ডিতে ১২ জন আমদানিকারক গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছেন। এগুলো কেজিপ্রতি গড়মূল্য ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। এরমধ্যে আমদানিকারক ‘আল্লাহর রহমত স্টোর’ গত চার মাসে ৩৩টি এলসির মাধ্যমে ২ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা ১৪ পয়সা দরে। ‘আলী জেনারেল ট্রেডিং’ ১৬৮ মেট্রিক টন খেঁজুর কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা দরে আমদানি করে।
অথচ ফলমণ্ডির ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে প্রতি কেজি আজওয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাবরুম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, মরিয়ম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জাহিদি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মেজডুল খেজুর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও আলজেরিয়া খেজুর ২৫০ থেক ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।
অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ভোটার দিবস আজ ২ মার্চ শনিবার উদযাপন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নানা আয়োজনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
ইসির জনসংযোগ শাখা সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। তিনি বলেন, সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব- স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের দিবসটি পালন করা হবে।
এদিন বিকেল তিনটায় নির্বাচন ভবনের আয়োজন করা হবে আলোচনা সভা। ভোটার দিবসে প্রকাশ করা হবে হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী দেশের ভোটার এখন ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় ভোটার কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭, নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯২৪ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভঙ্গা আম পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আজ ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩০০ কেজি আম পাঠানো হয়। ৬০টি কার্টনে করে ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কার্গোওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার উপহার হস্তান্তর করা হয় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের প্রতিনিধির কাছে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সকল প্রকার ফি ও আদায়যোগ্য কর মওকুফ করে আমগুলো ছাড়করণ করা হয়।