অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথগ্রহণ করেছেন। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণের পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশও জারি করছেন তিনি। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প অংশ নিয়েছেন। তাদের সাথে রয়েছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দম্পতিও। এই অনুষ্ঠান প্রেসিডেনশাল ইন্যাগিউরাল বল নামেও পরিচিত। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন মেয়াদের শুরু উদযাপন করতেই এই আয়োজন করা হয়।
এদিকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া প্রায় এক হাজার পাঁচশ জনকে ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প যখন ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ঘোষণা করেন যে ওভাল হাউজে পৌঁছেই তিনি ৬ জানুয়ারির ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন।
ক্যাপিটল হিল আক্রমণের জন্য কারাবন্দিদের ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ক্ষমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিধ্বংসি দাবানলের মধ্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী জোলি সম্প্রতি জানান, তিনি এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকা থেকে সরে যাওয়া বন্ধুদের জন্য তার বাড়িটিকে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। সেইসাথে তিনি সবাইকে এই বিপর্যয়ে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
একটি সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানায়, অ্যাঞ্জেলিনা খুবই দুঃখিত হয়েছেন বাড়ি হারিয়েছেন যারা তাদের জন্য। অনেকে আছেন যারা নিঃস্ব হয়েছেন। দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন সবার পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
৭ জানুয়ারি প্যাসিফিক পালিসেডস থেকে শুরু হওয়া দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজারেরও বেশি স্থাপনা, যার মধ্যে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত- ধ্বংস হয়ে গেছে। এই দাবানল ৮০ হাজারেরও বেশি বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদের মধ্যে আছেন লেইটন মিস্টার, প্যারিস হিলটন, জেমস উডস, অ্যাডাম ব্রডি, ম্যান্ডি মুর, আন্না ফ্যারিস, রিকি লেকের মতো সেলিব্রিটি।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দাবানলের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমন সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই মহানুভবতা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এছাড়াও জানা গেছে, অনেক সেলিব্রিটিই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সে তালিকায় আছেন হ্যালি বেরি, শ্যারন স্টোনরা। তারা আর্থিক সহায়তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। জেমি লি কার্টিস এবং তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দান করতে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কানাডার স্থানীয় সময় ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুই দফা ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার যে সময়সীমা ছিল তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার ধার্য করেন। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপের আদেশ জারি করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে।
ইতোমধ্যে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছিল। এতেই নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত রবিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সোমবার ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই আলোকে গতকাল সোমবার সকাল ও মধ্যাহ্নের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে দুইদফা ফোন করে শুল্কারোপ স্থগিত করেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এক সফল ফোনালাপের অর্থ হল, আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি, যা সীমান্তের উভয় পাশে শ্রমিক এবং ব্যবসায়িকদের বড় অর্থনৈতিক যন্ত্রণা মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি করেছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি এখনও কানাডার সাথে কাজ করেননি, কানাডার সাথে এক ধরণের ‘চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চুক্তির’ পথ খুঁজছেন।
ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা ১.৩ বিলিয়ন-এর সীমান্ত সুরক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন হেলিকপ্টার, প্রযুক্তি, কর্মীদের সাথে শক্তিশালী করা এবং ক্র্যাক ডাউন করার জন্য আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে তার সমন্বয় বাড়ানো। কিন্ত ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ছিল অবৈধ মাদক এবং অভিবাসীরোধে পাশ্ববর্তী দেশের সাহায্য চাওয়া।
ট্রুডো বলেন, সীমান্তকে নিরাপদ করার জন্য ১০,০০০ ফ্রন্ট-লাইন কর্মী কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একাধিক নতুন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি নতুন ‘ফেন্টানাইল জার’ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এবং তিনি মেক্সিকান কার্টেলকে তালিকাভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের শীর্ষ বিক্রেতাদের একজন, যিনি কানাডার আইনের অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত ।
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডা-মার্কিন যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স’ চালু করছে, যাকে সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন অর্থায়ন শুরু করেছেন।
মধ্যাহ্নের পর ট্রাম্পের ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করার জন্য প্রস্তাবিত শুল্ক কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য বিরতি দেওয়া হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে, তিনি ‘খুব খুশি’ কানাডার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প এটিকে শুধুমাত্র একটি ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, প্রথম ফোনালাপের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে টুইট করে লিখেন, আমেরিকার ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডায় ব্যাপক হারে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন কথা বলেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট-রোম থেকে ঢাকায় আসা একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি পাওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফ্লাইটটি আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটের ২৫০ জন যাত্রী ও ১৩ ক্রুকে প্লেন থেকে বের করে টার্মিনালে আনা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমান থেকে জানানো হয় ওই বিমানের কেউ বা কোনো যাত্রী বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
অবতরণের পর বিমানটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি পুরো বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা বিমানের রোম থেকে ঢাকায় আসা একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি পাই। সেই ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। তাতে ২৫০ জন যাত্রী এবং ১৩ জন বিমান ক্রু ছিল। আমরা সকল যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সেই ফ্লাইটটিতে টার্মিনালে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন নাজমুন নাহার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ১৬৭টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন। সর্বশেষ ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ সেন্ট লুসিয়া ভ্রমণের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন নাজমুন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জোসেফ পিয়ের এক বিশেষ সাক্ষাতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘সুপার ব্রেভ গার্ল’ আখ্যা দেন।
ভ্রমণের নতুন রেকর্ড গড়ার পর নাজমুন নাহারকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট লুসিয়ার অন্যতম প্রধান পত্রিকা ‘দ্য ভয়েস’। খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্বেলা অ্যান্থনির লেখায় তাঁর স্বপ্ন, সংগ্রাম ও বিশ্ব অভিযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে। নাজমুন নাহার দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে এভাবেই গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। এর পর থেকে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশ। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ওপর। ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে তিনি এবার অভিযাত্রা শুরু করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম ও গায়ানা থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, বার্বাডোস ও সেন্ট লুসিয়া পর্যন্ত।
২২ বছর ধরে এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন জনপদের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরছেন নাজমুন নাহার। এ ছাড়া তিনি পরিবেশ রক্ষা ও বাল্যবিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন। নাজমুন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু ও তরুণদের উৎসাহিত করেন।
বেশিরভাগ দেশ সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন নাজমুন। ২২ বছরের বিশ্ব অভিযাত্রার মাঝে তিনি বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। মৃত্যুমুখে পড়েছেন বহুবার। তবুও একের পর এক দেশ ভ্রমণ করছেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে। শিরোনাম হয়েছেন বিশ্ব গণমাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদরে জন্ম নেওয়ায় নাজমুন নাহার সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। নাজমুন নাহারের আশা, বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের সব দেশে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই প্রক্রিয়া আরো বিস্তৃত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রশাসন। এতে করে দূতাবাসগুলোকে নতুন করে শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন ও পোস্টে পাঠানো মেমোতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত- এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। মেমোতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থী এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ আরো গভীরভাবে যাচাই করা হবে, যার ফলে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর কার্যক্রমে ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ মেমোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসগুলোকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের শিডিউল বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে তাঁরা সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে পারবেন।
এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ এল যখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ও অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর মতে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিমাত্রায় বামপন্থী এবং ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ও বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতি অনুসরণ করছে।
সাধারণত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে আমেরিকান দূতাবাসে ইন্টারভিউয়ের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-এর ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কারণ বিদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত বেশি হারে টিউশন ফি দিয়ে থাকে।
শিক্ষার্থী ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, কারা দেশে প্রবেশ করছে, সেই যাচাই প্রক্রিয়াকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখি এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত কোটি কোটি ডলারের (যেমন হার্ভার্ডের জন্য আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার) তহবিল স্থগিত করেছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করার কারণে শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং হাজার হাজার ভিসা বাতিল করেছে। যদিও এর অনেকগুলোই আদালতের নির্দেশে আটকে গেছে।