অনলাইন ডেস্ক :
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারাল ফরচুন বরিশাল। ১৬৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে পারে খুলনা। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার রাতে চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান এসেছে মাহমুদউল্লার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রিশাদ হোসেনের ১৯ বলে ৩৯ রানের বর করে ১৬৭ রানের লিড নেয় বরিশাল।
জবাবে খুলনার খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি। শূন্য রানে আউট হন ইমরুল কায়েস। তবে আরেক ওপেনার নাঈম ও তিনে নামা মেহেদি মিরাজ দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও পারেননি। ৬৫ রানে ভাঙে তাদের জুটি। ৩৩ রানে আউট হন মিরাজ। এ ছাড়া আফিক হোসেন করেছেন ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত খেলতে থাকেন নাঈম। জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। রিপন মন্ডলের করা ওভারের প্রথম তিন বলে দুই ছক্কায় ১২ রান তোলেন নাঈম শেখ। তাতে কিছুটা হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। কিন্তু চতুর্থ বলে নাঈম ৭৭ রানে আউট হলে ম্যাচ থেকে খুলনা ছিটকে যায়। শেষ পর্যন্ত ফরচুন বরিশাল ৭ রানের জয় পায়।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব শুরুর আগে প্রতিযোগী দেশগুলো নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। বাংলাদেশও আজ ২৮মে মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল। কিন্তু একটি বলও মাঠে গড়ানোর আগে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ম্যাচটি। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের ভেন্যু ডালাস প্রেইরি স্টেডিয়ামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে ম্যাচ পরিত্যক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারা জানিয়েছে, ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বনির্ধারিত ওয়ার্মআপ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় আক্রান্ত হয়েছে পুরো এলাকাটি।
এর আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা টর্নেডো ও বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘টর্নেডো, মারাত্মক বজ্রবৃষ্টি, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। সকাল থেকে ডালাস ও গ্র্যান্ড প্রেইরি এলাকায় বৃষ্টির কারণে বন্যা সতর্কতা চলছে। স্টেডিয়ামে সাময়িকভাবে বসানো জায়ান্ট স্ক্রিন, গ্রাফিক্স সরঞ্জামসহ মাঠের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই খেলাটি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে টাইগাররা টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার কারণে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়। তবে নতুন ভেন্যু ডালাসে বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ব্যাটারদের ফর্মে ফেরার সম্ভাবনাও ছিল। তা হাতছাড়া হলো বৈরি আবহাওয়ার কারণে।
আগামী ১ জুন ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরদিন ২ জুন শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ৮ জুন। সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ (বোডিং মাঠ) সংলগ্ন পুকুরে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদার আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মোঃ আবুল কাসেম।
উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠান পরিচালনায় করেন সিনিয়র ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান পলাশ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গড়লেন ইতিহাস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে লাল-সবুজের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডবুকে নাম তুললেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তিন দিনের নারী বিসিএলের ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জ্যোতি। ২০ চার ও ২ ছক্কার মারে ২৫৬ বলে ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জ্যোতির সেঞ্চুরিতে বড় লিড নিয়েছে মধ্যাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল সোবহানা মোস্তারির উত্তরাঞ্চল। দলটির হয়ে ২৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি। মধ্যাঞ্চলের নাহিদা আক্তার ৪৮ রানে শিকার করেছেন ৭ উইকেট।
জবাবে দুই ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা আক্তারের জোড়া ফিফটিতে ব্যাট হাতে ভালো জবাব দেয় মধ্যাঞ্চল। দুই ওপেনারের ভালো শুরুর পর জ্যোতি সেঞ্চুরিতে রাঙানো ইনিংস খেললেন। ৮ উইকেটে ৩৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ১১৩ রানে ৬ উইকেট নেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
২১ ডিসেম্বর রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুরু হয় নারীদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। এর আগে নারী ক্রিকেটারদের দুই দিনের ম্যাচ আয়োজন হতো। প্রথমবারের মতো এবার তিন দিনের ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ছেলেদের মতোই চার দল নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে নারীদের বিসিএল। দলগুলো হলো-উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে নেপালকে ৫২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৫৩ রান। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভার শেষে ৫২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।
টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারায় নেপালের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ সানা প্রবীণের ১৯ রানের সুবাধে নেপাল ৫২ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে দু’টি উইকেট লাভ করেন জান্নাতুল মাওয়া। একটি করে উইকেট লাভ করেন নিশি, ফাহমিদা ছোঁয়া ও আনিসা আক্তার সোবা। এছাড়া নেপালের ৫ ব্যাটার রান আউটের শিকার হয়।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা, মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমীন, আনিসা আক্তার সোবা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, লাকী খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
নেপালের স্কোয়াড :
পূজা মাহাতো (অধিনায়ক), সনি পাখরিন, তিরসানা বিকে, রচনা চৌধুরী, সাবিত্রী ধমি, কৃষ্ণা গুরুং, কুসুম গোদার, সীমানা কেসি, অনু কাদায়ত, কিরণ কুনওয়ার, স্নেহা মহারা, জ্যোৎস্নিকা মারাসিনি, সানা প্রবীণ, রিয়া শর্মা ও আলিশা যাদব।