অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট-রোম থেকে ঢাকায় আসা একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি পাওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফ্লাইটটি আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটের ২৫০ জন যাত্রী ও ১৩ ক্রুকে প্লেন থেকে বের করে টার্মিনালে আনা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমান থেকে জানানো হয় ওই বিমানের কেউ বা কোনো যাত্রী বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
অবতরণের পর বিমানটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি পুরো বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা বিমানের রোম থেকে ঢাকায় আসা একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি পাই। সেই ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। তাতে ২৫০ জন যাত্রী এবং ১৩ জন বিমান ক্রু ছিল। আমরা সকল যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সেই ফ্লাইটটিতে টার্মিনালে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে আবহাওয়া ঠাণ্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ ও আশ্রাফুন নেছা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আনতে ‘বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর’ এবং ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠকে ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে চাচি ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক নারী আহত হয়েছেন। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলঘর গ্রামে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ছাতিয়াইন গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা আক্তার (৩২) ও ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (১০) মৃত্যু হয়। এ সময় এই পরিবারের শারমিন আক্তার নামে এক নারী আহত হন। তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মাধবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে নিবন্ধন। আগামী ১ মার্চ থেকে এনআইডি না দেখিয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে না। কালোবাজারি বন্ধে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে এ পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
টিকিটে যাত্রীর নাম, এনআইডি নম্বর ও ফোন নম্বর থাকবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে যাত্রীদেরকে এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। পরিচয়পত্রে ও টিকিটে থাকা নামের অমিল থাকলে, বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য করে জরিমানা করা হবে।
আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয় অ্যাপে ও অনলাইনে। অনলাইনে এনআইডি ও ফোন নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে টিকিট কাটতে হয়। তবে এনআইডি সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। এখন থেকে যাচাই হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে, অনলাইনে টিকিট ফেরত দিয়ে অনলাইনেই টাকা ফেরত পাবেন যাত্রীরা।
রেলের অতিরিক্ত মহাসচিব সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে জীবনে একবারই অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই। ভুয়া এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করলে, ভ্রমণের সময় ধরা পড়বে। একটি এনআইডি দিয়ে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
রেল সূত্র জানিয়েছে, অন্যের এনআইডি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, প্রমাণ দিলে যাঁর এনআইডি তাঁকে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হবে।
রেলমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, সব বিভাগীয় শহরে এবং আন্তঃনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনে নিবন্ধনের জন্য থাকবে হেল্প ডেস্ক। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে টিকিটিং ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখতে হবে জন্ম নিবন্ধনের সনদের ফটোকপি। টিকিট চেকিংয়ে পয়েন্ট অব সেল (পস) মেশিন ব্যবহার করা হবে। জাল টিকিট শনাক্ত করা হবে পস মেশিনে। বিনা টিকিটের যাত্রীদের জরিমানা করে টিকিট ইস্যু করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়ে বাড়তি দামে খেজুর বিক্রির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে আদালত পরিচালনার সময় ফল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জালিয়তির বিষয়টি ধরা পড়ে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিতে উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্নমানের খেজুর দেখিয়ে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সে খেজুর আবার ফলমণ্ডিতে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো। ফলমণ্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি দরে খেজুুরসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করছেন।
অভিযানের সময় আমদানি নথি যাচাই করে দেখা যায়, ফলমণ্ডিতে ১২ জন আমদানিকারক গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছেন। এগুলো কেজিপ্রতি গড়মূল্য ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। এরমধ্যে আমদানিকারক ‘আল্লাহর রহমত স্টোর’ গত চার মাসে ৩৩টি এলসির মাধ্যমে ২ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা ১৪ পয়সা দরে। ‘আলী জেনারেল ট্রেডিং’ ১৬৮ মেট্রিক টন খেঁজুর কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা দরে আমদানি করে।
অথচ ফলমণ্ডির ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে প্রতি কেজি আজওয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাবরুম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, মরিয়ম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জাহিদি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মেজডুল খেজুর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও আলজেরিয়া খেজুর ২৫০ থেক ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।
অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন বছরে প্রবাসী আয়ে শুভ সূচনা হয়েছে। বছরের প্রথম মাসের ১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৯১ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)। এই প্রবাসী আয় আগের মাস ডিসেম্বর বা আগের বছরের জানুয়ারি মাসের চেয়ে বেশি।
আজ ১৪ জানুয়ারী রবিবার এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির ১২ দিনের প্রতি দিন প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৩ মার্কিন ডলার। বিদায়ী ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ৬ কোটি ৬৩ লাখ ২৯ হাজার ডলার। আর আগের বছরের জানুয়ারি মাসের একই সময়ে প্রতি দিন এসেছিল ৬ কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসার পর প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম বৃদ্ধি, প্রণোদনা বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার পর থেকে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে।
জানুয়ারি মাসের ১২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশে ব্যবসারত বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রবাসী আয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. জায়েদ বখত বলেন, গত বছরে নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে সরকার রেমিট্যান্সসহ অর্থনীতিতে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারেনি। নীতি গ্রহণ করলেও তা কার্যকর করা হয়নি। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকার যেমন মনোযোগ দেবে, সরকারের মনোভাবও অংশীজনদের মাঝে প্রতিফলিত হবে। এর ফলে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক সাড়া পড়বে।