অনলাইন ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উৎসুক জনতার ধাওয়া খেয়ে চোলাই মদ অটোরিক্সাতে রেখে পালিয়েছেন এক মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি। এ সময় মদ উদ্ধারের পর অটোরিক্সাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অটোরিক্সা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ভূঞাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদক ব্যবসায়ী ওই দম্পতি হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা। তারা দীর্ঘদিন ধরে মদ ও গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের প্রত্যেক্ষদর্শী ইউসুফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আনোয়ার ও খালেদা মিলে দেশি চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা অস্বীকার করে আসতো। তারপর হাতে-নাতে ধরার জন্য তাদের ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি করে আসছিলাম। আজ আমাদের মসজিদের সামনে একটি অটোরিক্সা দাঁড় করানো অবস্থায় দেখি এবং তা সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে সমবেত হন। পরে অটোরিক্সা থেকে ১০ ব্যাগ পলিথিনে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মদ উদ্ধার করে। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা অটোরিক্সাটি পুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
খুশির বন্যা বইছে এক প্রবাসীর ঘরে। পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সুমী আক্তার। এদের মধ্যে দুইটি ছেলে আর দুটি কন্যাশিশু। একসাথে নতুন চার অতিথি পেয়ে খুশিতে যেমন আত্মহারা গোটা পরিবার, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও শেষ নেই ভাবনার। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দেন টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের সুমী আক্তার। বর্তমানে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই রয়েছে চার নবজাতক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. রীনা নাসরিনের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই চার নবজাতকের জন্ম হয়। চারটি নবজাতকই সুস্থ আছে। তবে তাদের মধ্যে দুজনের ওজন অপেক্ষাকৃত কম। প্রত্যেকেই রাখা হয়েছে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘চার নবজাতকের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা চলছে।
৩১ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় শিশুদের ওজন থাকে ১১০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রামের মধ্যে। এদের মধ্যে দুজনের বেশি অক্সিজেন লাগছে। এখানকার সবাই বেশ যত্নবান।’
নবজাতকদের মা সুমী আক্তার সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, ‘হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রের খরচ বহনের মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। ওষুধ আর বিল পরিশোধের দুশ্চিন্তা সব আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। ওদের বাবা সাত মাস দেশ থেকে কিছুদিন আগেই রুমানিয়া গেছেন।’
রুমানিয়া থেকে নবজাতকদের বাবা আব্বাস খান বলেন, ‘একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম নেওয়ার খবরে আমি এত খুশি হয়েছি যে মনে হচ্ছে এক্ষুনি বাংলাদেশে ছুটে যাই। কিন্তু ইচ্ছে হলেও আমার সেই উপায় নেই। সংসারের অভাব ঘোচাতে আমি রুমানিয়া এসেছি। অভিবাসন ব্যয় উঠাতে এখানে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তার ওপর আইসিইউতে চারটি নবজাতকের চিকিৎসা বিল কোথা থেকে পরিশোধ করব সেই টেনশনে আছি।’
নবজাতকদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে থাকা এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসমাঈল হোসেন বলেন, অপরিপক্বতাজনিত বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো অতিক্রম করতে পারলে সুস্থ অবস্থায় আমরা তাদের মায়ের কাছে স্থানান্তর করব। একটি সুস্থ-সবল নবজাতকের বয়স হতে হবে ৩৭ সপ্তাহ। আর ওজন হতে হবে ২৫০০ গ্রাম। ওরা হয়েছে ৩১ সপ্তাহে। তাই নতুন করে ওজন কম ও অপরিপক্বজনিত কোনো সমস্যা না হলেও আমরা আশা করছি ওদের দ্রুত ছাড়পত্র দিতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মাদকসহ নারীকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তের গৌরাঙ্গলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি জানান, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তের গৌরাঙ্গলা এলাকা থেকে ৬ কেজি গাঁজা এবং ২ বোতল ইস্কাফ সিরাপসহ নারী মাদক চোরাকারবারি রোকসানাকে (৪২) আটক করা হয়েছে। আটক নারীর বাড়ি বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ শাহ দৌলতপুর গ্রামে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজশাহী ব্যুরোতে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুরে। ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীসহ কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি অটো রিকশা ঠিক করার সময় একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি অটো রিকশা চালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমার মরদেহ রাজধানীর বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গোসল শেষে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নাটোরের গুরুদাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
চার প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় নুরুল আবছারও ছিলেন স্কুুল কর্মচারী। তার প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, দাদা ছেরাজুল হক, বাবা মুন্সি মিয়া, এরপর নুরুল আবছার কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর বয়সে যোগ দেন মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৪৮ বছরের পথচলায় নুরুল আবছার বিদ্যালয়ের শেষ ঘণ্টা বাজিয়ে কর্মজীবনের সম্পাপ্তি ঘটান। শিক্ষার্থীরা তাকে ‘আবছার কাকু’ বলে সম্বোধন করেন, অন্যদিকে শিক্ষকরা ডাকতেন ‘আবছার ভাই’ বলে।
প্রায় পাঁচ দশকের কর্মজীবন শেষে অবসরজনিত কারণে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেন তিনি। একজন কর্মচারীর বিদায় অনুষ্ঠান রাজকীয় হয়ে উঠল বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সবার মায়া, মমতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়। বিদায় সব সময়ই বেদনার। সেই বিদায় বেদনা ছাপিয়ে কখনো কখনো স্মরণীয় হয়ে ওঠে।এই স্কুুলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক বিদায় সংবর্ধনা পেলেন নুরুল আবছার।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, আছিউর রহমান, রেজাউল করিম, তারেক নিজামী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, মারিয়া আক্তার, কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস হাবিবা, মেহেদী হাসান, তাহসিনা তাবাচ্ছুম তানিশা, বিবি ফাতেমা, ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত স্কুল কর্মচারী নুরুল আবছারও। তিনি তার বক্তব্যে এমন আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবর্ধনার পূর্বে ঘণ্টা বাজিয়ে নিজের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান তিনি।
এরপর স্কাউট দলের সদস্যরা তাকে কাঁধে তুলে সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যান। এক সময় শিক্ষকদের পাশাপাশি এক সারিতে অনুষ্ঠানে বসার সুযোগ না হলেও আজ অনুষ্ঠানের মধ্যমনির আসন অলংকৃত করেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনায় সহকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অনেকে তার কর্মময় জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন, সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
নানা উপহার সামগ্রী, অর্থ সহায়তা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে সবার মুখে মুখে একটি কথাই ফুটে উঠে, নুরুল আবছার একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো আমানতকারী ছিলেন। যুগযুগ ধরে তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কাজের ক্ষেত্র যতই ছোট হোক না কেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে মানুষের অপার ভালোবাসা লাভ করা যায় সেটাই প্রমাণ করলেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনা শেষে অনেকটা বরের সাজে নুরুল আবছার ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নেন প্রিয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। স্কাউট দলের সদস্যরা বাদ্যের তালে তালে এবং বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে তাকে জোরারগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাড়ি পৌঁছে দেন। এ সময় অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়।
সকলের ভাষ্য, একজন কর্মচারীর বিদায়ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আবরণে রাজকীয় হতে পারে। তা তার নিজ কর্মগুণেই তিনি অর্জন করেছেন। সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সেই নুরুল আবছাররা আজীবন বেঁচে থাকুক আমাদের সমাজে।
সংবর্ধিত স্কুুল কর্মচারী নুরুল আবছার বলেন, ‘১৬০ টাকা বেতনে এই স্কুুলে চাকরি শুরু করি। এরপর এক পর্যায়ে ৩ মাস মিলে সরকারিভাবে ৩৬০ টাকা বেতন পেতাম। আজ আমার বিদায়ের মধ্যদিয়ে আমাদের ৪ প্রজন্মের কর্মচারী হিসেবে চাকরি জীবনের সমাপ্তি হলো। আমার চাকরি জীবনে অনেক শিক্ষক, কর্মচারী এই স্কুলে চাকরি করেছেন, চাকরি ছেড়েছেন। তবে আমাকে যেভাবে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে তা আমি আগে কখনো দেখিনি। আমি বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের সকলের প্রিয় নুরুল আবছার ভাই তার জীবনের বেশির ভাগ সময় এই স্কুুলের জন্য দিয়ে গেছেন। তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই স্কুুলের প্রতিটি ধূলিকণা নুরুল আবছারের অবদানকে স্মরণ করবে। তার অবসরকালীন সময় ভালোভাবে কাটুক এ কামনা করি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্মচারী নুরুল আবছার তার জীবনের মূল্যবান সময়টুকু এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানের মাঝেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে শেখার আছে যে বিষয়টি সেটা হলো ভালো কাজ করলে সততার সাথে চললে তার কখনো না কখনো স্বীকৃতি মেলে। অবশেষে নুরুল আবছারও তার ভালোভাবে কাটানো কর্মজীবনের স্বীকৃতি পেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে নুরুল আবছার এই স্কুলে কর্মচারী পদে যোগ দেন। আমার খুবই বিশ্বস্ত তিনি। তিনি এতটাই বিশ্বস্ত যে বিদ্যালয়ের সব লেনদেন তিনিই করতেন। অনেক সময় ৮-১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতেন আবার বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ৮-১০ লাখ টাকা তুলে আনতেন। আমি এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করছি প্রায় ১৮ বছর। এর মধ্যে তিনি কখনো ১ টাকাও এদিক-সেদিক করেননি। এ রকম বিশ্বস্ত কর্মচারী আমরা আর পাব কি না জানি না। তিনি বেশি শিক্ষিত না হলেও প্রতিটি ফাইলপত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেখভাল করতেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।