অনলাইন ডেস্ক :
চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুইদিন ধরে অভিযান চালিয়ে ‘হানি ট্রাপ’ চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আটককৃতরা হলেন, চৌগাছা পৌর এলাকার জনৈক সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেনের স্ত্রী রূপালী খাতুন (৩৫), চৌগাছা উপজেলার উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে নান্নু মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা (২৯), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৯), যশোরের চৌগাছা উপজেলার মনমতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৯) ও একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে হৃদয় মহিফুল (৩৯)। মঙ্গলবার ও বুধবার দুইদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
যশোর ডিবি পুলিশ এক প্রেসনোটে জানান, আটককৃতরা চৌগাছা উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আবদুর রহমানকে ‘হানি ট্রাপের’ মাধ্যমে আটকে রেখে পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ চাচ্ছিল। এ ব্যাপারে আবদুর রহমানের ভাই মোস্তাক হোসেন চৌগাছা থানায় অভিযোগ করে। যশোরের পুলিশ সুপার এ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, দায়িত্ব পেয়েই ডিবি পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার চৌগাছা থানার চাঁদআফরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ‘হানি ট্রাপের’ শিকার আবদুর রহমানকে উদ্ধার করে। পরে বুধবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হানি ট্রাপ টিমের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা সবাই আবদুর রহমানকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে আবদুর রহমানের ভাই মোস্তাফ হোসেন বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ডিবি পুলিশের এসআই বিপ্লব জানান।
চলারপথে রিপোর্ট:
ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক ফায়ার ফাইটার মো. সজিবুল ইসলাম (২৩)। এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৪ মে রবিবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায়।
সজিবুল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন তিনি। নিহত সজিবুলের পাঁচদিন বয়সী সন্তান রয়েছে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে কুমিল্লাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল চালক সজিবুল নামে একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নেত্রকোনা-মদন সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে কামরুজ্জামান কামাল (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা চৌরাস্তা কৃষ্ণপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান কামাল আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের শ্রীরামপাশা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা পাঁচজন যাত্রী নিয়ে মদন দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় মদন থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।
আটপাড়া থানার ওসি মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে, চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ৪২ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পরেছে। মাছটি ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর কাজীহাট এলাকায় মাছটি ধরা পরে। দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসলে মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে মোট ৭১ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয় করেন ঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
এ সময় বিশাল আকারের এই বাগাড় মাছটি এক নজর দেখতে স্থানীয় জনতা ভিড় জমায়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে সিলেট জেলায় একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পদ্মা ও যমুনা নদীতে জেলেরা অন্যান্য মাছের সাথে বাগাড় মাছও প্রকাশ্যে শিকার করছেন। বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে শিকার করা হয়, বিক্রি হলে আমাদের কিনতে দোষ কীসের?
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, রাজবাড়ী ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা ভাসান জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা মাছের পাশাপাশি বাগাড় শিকার করছেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. নাজমুল হুদা জানান, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ ধরা পরার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বাগাড় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২–এর আওতাভুক্ত হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারি না। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি উত্থাপিত হচ্ছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
খুলনার পাইকগাছার দীপ্তি সরকার নামে এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। গত ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে তালা উপজেলার গুনালী নলতা এলাকার বিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ওই কলেজ ছাত্রী। সে পাইকগাছার দেবদুয়ার মালো পাড়ার সুব্রত সরকার ও রঞ্জিতা সরকারের মেয়ে। দীপ্তি দরগাহপুর কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তালা ও পাইকগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
কলেজ ছাত্রীর সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। প্রেম ঘটিত কারণে নিখোঁজ হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে অনেকেই। কলেজ ছাত্রীর পিতা সুব্রত সরকার বলেন প্রায় মাস খানিক আগে মেয়ে দীপ্তি তার মামার বাড়ি ডুমুরিয়ার শোভনায় বেড়াতে যায়।
এরপর ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গুনালী নলতায় তার মামার বিয়েতে যায়। বিয়ে শেষে রাত দুইটার দিকে ফিরে আসার সময় দীপ্তি কে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাতভোর খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকালে বরপক্ষের লোকজন বাড়ি ফিরে আসে। মামা উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন দীপ্তি বিয়ে বাড়িতে মামা জয় বিশ্বাসের মোবাইল ব্যবহার করেছিল এছাড়া তেমন কোন সূত্র নাই।
বিয়ের অনুষ্ঠান তালা উপজেলা হওয়ায় এ ঘটনায় তালা থানায় কলেজ ছাত্রীর পিতা সুব্রত সরকার লিখিত অভিযোগ করেন। কলেজে লেখাপড়া করলেও তার মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জ্ঞান কিংবা বুদ্ধি তার নাই এজন্য কেউ তাকে ফুসলাইয়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যেতে পারে তবে যেকোনো ভাবে তার পিতা মাতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রতিবেশি গৃহবধূ অনিতা রাণী রায়। গত দুই তিন দিনেও মেয়ের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পাগল প্রায় কলেজ ছাত্রীর মাতা রঞ্জিতা সরকার।
সহজ সরল মেয়ে কে কেউ প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অসৎ উদ্দেশ্যে তার হেফাজতে রাখতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। তালা থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ ছাত্রীর সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা থানার এসআই হাফিজুর রহমান হাফিজ। এ ঘটনায় উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে কলেজ ছাত্রীর পিতা মাতা। তারা দ্রুত মেয়ের সন্ধান চেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নালা ভরাট করার দায়ে ২ জনকে কারদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ ৫ এপ্রিল শনিবার দুপুর ৩টার দিকেসরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে অভিযান চালিয়ে এই সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার সূর্যকান্দি গ্রামের আল-আমিন খাঁন ও উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ গ্রামের আশিক মৈশান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কিছু প্রভাবশালী ভূমিখেকু চক্র সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন। এ নিয়ে ভূমিখেকু চক্রের সদস্যদের বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। পওে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দুইজনকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযানকালে মাটি ভর্তি তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, বড্ডাপাড়া খাদ্যগুদামের পাশে একদল মানুষ কৃষি জমি ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কর্তন করে রাস্তার পাশে পানি চলাচলের নালা ভরাট করার সময় ২ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ জনকে ছয় দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রদান করা হয়। সেখান থেকে তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরিবেশ রক্ষার্থে খাল, বিল, নালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো ভরাট করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।