হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিশ্বখ্যাত স্থপতি এফ আর খান, সেতার বাদক আলী আকবর খান, লেখক রুমানা আলম, কবি শহীদ কাদরি, সাহিত্যিক-লেখক ঝুম্পা লাহিড়ি, বাংলাদেশের মুুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা এনায়েতুর রহিম, বিজ্ঞানী দেবব্রত বসু, মূলধারার লেখক, অমিতাভ ঘোষ, বিজ্ঞানী ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ করিম, সারাবিশ্বের তরুণ-তরুণীকে বিনা ফি-তে অংক শেখানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘খান একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালমান খান, ইন্টেলের চেয়ারপার্সন বিজ্ঞানী ওমর ইশরাকের মত বাঙালিরা বহুজাতিক আমেরিকায় বাংলা ও বাঙালিদের পরিচিতিকে মহিমান্বিত করেছেন। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিরা বিশ্বের রাজধানী খ্যাত উক্ত সিটি তথা স্টেটে বাঙালি সংস্কৃতির ফল্গুধারা বিকাশের নিরন্তর প্রয়াস চালাচ্ছেন।
বাঙালিরা নতুন বছরের প্রথম দিন ‘পয়লা বৈশাখ’ ঘটা করে টাইমস স্কোয়ারসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে উদযাপন করছেন। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন তথা ‘পহেলা বৈশাখ; বরণে এখোন হাজারো নারী-পুরুষের সাথে নতুন প্রজন্মের বাঙালিরাও উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। বাংলাদেশ, ভারত এবং আমেরিকার শতাধিক সংগঠনের শিল্পী-কলা-কুশলিরা হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান করেন। পাশাপাশি মেধা আর শ্রমের বিনিয়োগ ঘটিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট তথা আমেরিকার উন্নয়নেও বাঙালিরা অবদান রেখে চলছেন। তেমন অবয়বকে আরো গৌরব আর অহংকারের সাথে উদ্ভাসিত করতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ‘১৪ এপ্রিলকে নিউইয়র্কে বাংলা নববর্ষ’র স্বীকৃতি প্রদানের জন্যে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ১৫ জানুয়ারি সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
২৩৪ নম্বরের এই রেজ্যুলেশন (Memorializing Governor Kathy Hochul to proclaim April 14, 2025, as Bangla New Year Day in the State of New York) ২২ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে পাশে হয়েছে। অর্থাৎ আসছে ১৪ এপ্রিল ঘটা করে পালিত হবে ‘বাংলা নববর্ষ’ এবং তা স্টেট, সিটি, কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো-সহ সকল পর্যায়ে এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণে আর কোন বাধা থাকবে না। এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্র শীঘ্রই স্টেট গভর্ণর ক্যাথি হোকুল বিতরণ করবেন। স্টেট সিনেট সূত্রে এ সংবাদদাতা আরো জানতে পেরেছে যে, নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিৎ সাহা এমন একটি রেজ্যুলেশনের জন্যে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তা উল্লেখ রয়েছে পাশ হওয়া রেজ্যুলেশনে।
বাঙলা নতুন বছরকে ঘটা করে বরণের অভিপ্রায়ে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের এই রেজ্যুলেশনে উল্লাস প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী-সমর্থক আর শিল্পী-কলাকুশলীরা।
কারণ, সর্বশেষ গত বছরও নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো শতকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলকাতা, ঢাকা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রথিতযশা শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এর পরদিন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। এরও দুই দশক আগে থেকে মুক্তধারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই স্টেটের বিভিন্ন স্থানে ‘পয়লা বৈশাখ’ বরণের বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এসব অনুষ্ঠানে পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছাড়াও বাঙালি পোশাকে জড়ো হওয়া নর-নারী-শিশু-কিশোরের মধ্যে ঐতিহ্যের পরিপূরক খাবার পরিবেশিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঙালির ঐহিত্যবাহী পিঠাকে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’।
জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাপত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেন ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়সহ আরো অনেকে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকদের সংগঠন ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এফবিজেএ) দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের অদূরে পন্তার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ফ্রান্স প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহর পরিচালনায় দোয়া ও ইফতার পূর্ব স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নাগরিক টিভির ফ্রান্স প্রতিনিধি মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন ফ্রান্সের সভাপতি আব্দুল মান্নান আজাদ, স্তা পৌরসভার কাউন্সিলর ও ‘অফিওরা’র নির্বাহী পরিচালক কৌশিক রাব্বানী খান, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ফ্রান্স শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আইছা প্রো প্রফেশনাল সার্ভিস সভাপতি ওবায়দুল্লাহ কয়েস, সলিডারিতে আঁজি ফ্রঁস’র (সাফ) প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে, বিসিএফ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিআরইউ’র সাবেক অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল আহসান রাজু, সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, বিসিএফ’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল কবির, এইড পয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ ফয়সাল আহমেদ, দেশ সার্ভিসের পরিচালক শাহজাহান আহমেদ, আদাপ প্রফেশনাল সার্ভিস সভাপতি ওয়াদুদ তানভীর, অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাডভোকেট মনোয়ার পাটোয়ারী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আজিমুল হক খান, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট খালেদ মাহমুদ, এনটিভি ইউরোপের ফ্রান্স প্রতিনিধি আবুল কালাম মামুন, টাইম টেলিভিশনের ফ্রান্স প্রতিনিধি অনুক্ত কামরুল, বাংলা ভিশন ফ্রান্স প্রতিনিধি ইয়াসির আরাফাত খোকন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক আলোকিত সকালের বিশেষ প্রতিনিধি মামুন মাহিন, সাংবাদিক তানভীর আহমেদ তোহা ও দেশ প্রতিদিনের ফ্রান্স প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি মানবিক ও মননশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সুস্থ ধারার কমিউনিটি বান্ধব সাংবাদিকতার বিকল্প নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
আমরা ক’জন সিডনি অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল ২৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ইস্ট ক্যাম্বলটাউন কমিউনিটি হলে ‘আমাদের বৈশাখ’ শিরোনামে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। সুমনা বড়ুয়া, কুহেলী বড়ুয়া ও দেবযানীর সঞ্চালনায় দুপুর দুইটায় বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত, বাচ্চাদের দলীয় নৃত্য এবং গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দেশীয় সংস্কৃতির রঙে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো বর্ষ বরণের আয়োজনটি। বিকাল ৪ টায় বৈশাখের খাবারে ছিল নানান রকমের ফল, মিস্টি, ফিরনি, নারিকেলের নাড়ু, স্ন্যাকস, পিঠা পুলি ও চা।
বাচ্চাদের ছবি আঁকা, একক গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাচের পর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় স্থানীয় শিল্পীরা নাচ ও গানে অংশ নেয়।
আমন্ত্রিত অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদ, শঙ্খনাদের সভাপতি গণেশ ভৌমিক, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া বুডিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ বড়ুয়া, সন্তোষ বড়ুয়া, নারী সংগঠক জুই সেন পাল। আয়োজক কমিটি অতিথিদের নিয়ে বাংলা বর্ষবরণের কেক কাটেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষে পবিত্র ও হৈমন্তী বড়ুয়া বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তারা সংগঠনের সকল সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে রাতের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে নয়জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। টার্মিনাল ওয়ানে অবৈধভাবে মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রির অভিযোগে আটক করা হয়। ১০ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
দেশটির অস্ট্রো আওয়ানি জানায়, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বয়স ২২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তারা গত দুই মাস ধরে অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রির কাজে জড়িত ছিলেন। তারা মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের লক্ষ্য করেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
তিনি আরো জানান, অভিযানে বিভিন্ন মালয়েশিয়ান টেলিকম কোম্পানির সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে, যা অন্য ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত ছিল। প্রতিটি সিম কার্ড ২৫ রিঙ্গিতে বিক্রি করা হতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত আয় করতেন। অভিযানে চারটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১২১টি সিম কার্ড, আটটি সিম কার্ড খোলার সূঁচ এবং মোট ১ হাজার ৫৫৫ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।
তদন্তে আরো বেরিয়ে এসেছে, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের কাছে কোনও বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছিল না, দু’জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং বাকি দু’জন অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৬(৩) ধারা অনুযায়ী পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থানের জন্য একই আইনের ১৫(৪) ধারা অনুযায়ী দু’জনকে এবং ভিজিট পাসের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৩-এর ৩৯(বি) ধারায় আরো দু’জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চলছে এবং তাদের মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে রাখা হয়েছে। সূত্র: দ্য স্টার, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে