হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে স্টেট বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাদিকের নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এ মাহফিল পরিচালিত হয়। এ সময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ উপস্থাপন করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দেশের স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচির সাথে একাত্ম থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন সিদ্দিকি। আরো বক্তব্য রাখেন মিয়া আলিম পাখি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, দেওয়ান কাউসার।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, রুহুল আমিন, সেলিম আহমদ, মনির হোসেন, মামুন হোসেন বিপ্লব, সাইদুজ্জামান রিঙ্কু, জাকির হোসেন, রাহিমুল আলম প্রিন্স, আব্দুল করিম ও মো. ফয়সাল হোসেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েতে রবিবার ,১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পেশাল মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডে যোগ দেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি, পাশাপাশি স্পেশাল মার্শাল হিসেবে পুরো প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্যারেড উদ্বোধনকালে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বাংলাদেশ সোসাইটি ও এর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি এই পুরো আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এ ছাড়া ছিল হিউম্যানিটি এম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস। প্যারেডে ফ্লোট লাইনআপে ছিল ফুল ট্রাক, পিকআপ ট্রাক ও এক্সোটিক কার। প্যারেডে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকেই পরেন বাঙালি পোশাক শাড়ি আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি। নারীদের অনেকেই সাজেন বাহারি সাজে, মাথায় ছিল ফুল, অনেকে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে পট্টি বাঁধেন, পতাকা হাতে ছিল অনেকেরই। খুবই বড় পতাকা ছিল তিন থেকে চারটি। মাঝারি ও বড় পতাকাও নিয়ে আসেন অনেকেই। প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গান, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রাকে বাজতে থাকে বাংলাদেশের গান, বৈশাখের গান। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জ্যাকসন হাইটসে তৈরি হয় বাংলাদেশের পুরো পরিবেশ।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৮৭ স্ট্রিট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ৬৯ স্ট্রিটের মঞ্চে আয়োজকেরা বক্তৃতা করেন। প্যারেড শেষে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সব জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বাজে তাকদুম তাকদুম বাজে, আজ এলরে এল বৈশাখ। বাংলাদেশ ডে প্যারেড করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা অনেক খুশি। আয়োজকেরাও এ ধরনের অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারায় খুশি ও সন্তুষ্ট।
প্যারেডের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পী নওশীন, রিচি সোলায়মান, এহসান মিলন, নাদিয়া লিখন, জায়েদ খান, প্রতীক হাসান, নোভা, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ প্রবাসের অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। প্যারেডে ৬৫টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়। এ ছাড়া প্যারেডে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের স্টাফদের একাংশ মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশারের নেতৃত্বে অংশ নেন। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানান। ছিল নিউইয়র্ক সিটির অশ্বারোহী বাহিনীর সদস্য, পুলিশের গাড়ি, এনওয়াইপিডির ব্যান্ড দল, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাপা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ফায়ার, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন, নিউইয়র্ক সিটির পোস্ট অফিসে কর্মরত সংগঠনসহ নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্যারেডে আরও অংশ নেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেনিফার রাজকুমার,জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনিটির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ প্যারেডে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন জেলা ও কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন অংশ নেয়। এতে মুলধারার দ্যা ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার মানিক,সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,সদস্য ফাহাদ সোলাইমান ও সদস্য সিমন মানিকসহ অনেকেই অংশ নিয়েছে । অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্যারেডে অংশ নেওয়া মানুষেরা প্যারেড শুরুর মঞ্চে আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে র্যালি শুরু হয়। শেষ হয় দুইটার দিকে। ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ থেকে প্যারেড শুরু হয় আর শেষ হয় ৮৭ স্ট্রিটে। প্রথমে প্যারেড করে সবাই ৮৭ স্ট্রিটে পৌঁছান। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। প্যারেড শুরুর আগে ৬৯ স্ট্রিটকে সমাবেশস্থল ধরা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বাজানো হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গান। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, মেয়র অফিসের প্রধান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গ্র্যান্ড মার্শাল শাহ নেওয়াজ, রানো নেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, আজিমুর রহমান বুরহান, জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ড, ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমদ, মুশরাত শাহীন অনুভা, নুরুল আজিম, শাহ জে চৌধুরী, শাহজাদী পারভিন সারাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সোসাইটির সূত্র জানায়, প্যারেডে অংশ নেয় ৬৫টিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান সেলিম, চিফ অ্যাডভাইজর গিয়াস আহমেদ, কনভেনর মোহাম্মদ আলী, মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এফইএমডি রকি, চিফ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জে মোল্লা সানি, চিফ কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিব, চিফ ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্যারেডের কো-চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কাজী আজম, নুরুল আজিম, হারুন ভুঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, শাহ শহীদুল হক, তরিকুল ইসলাম বাদল, কো-কনভেনর শাকিল মিয়া, শাহ জে. চৌধুরী, তারেক হোসেন খান, নুর আমিন ও আখতার হোসেন।
এদিকে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য আমি আয়োজকদেরকে ধনবাদ জানাচ্ছি। মেয়রকে স্পেশাল মার্শালের উত্তরীয় পরিয়ে দেন গিয়াস আহমেদ।
প্যারেডে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, এস্টোরিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি, প্রবাসী নরসিংদী জেলা অ্যাসোসিয়েশন, পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী মতলব জেলা অ্যাসোসিয়শন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি, সেফ, এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ও প্যারেডকে সফল করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেয়র এরিক অ্যাডামস, মীর বাশারসহ সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৬৫টি সংগঠনের নেতারা এসেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মাদার সংগঠন। এই সংগঠনকে সবার সহায়তা করা উচিত ।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গানে গানে বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি দল। চৈত্র সংক্রান্তি ১৪৩১ এবং বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন করে দলের সক্রিয় দশ জন সদস্য।
পহেলা বৈশাখ শুধুই বাঙালির। এই দিনে সে তার অস্তিত্বের জানান দেয় প্রাণে প্রাণে, উৎসবে। বিশ্বকে বলে দেয়-আমি বাংলাদেশি, আমি বাঙালি; আমার আছে গর্বের ইতিহাস। সংকল্প জানায় এক নতুন আগামীর; অতীত বেদনাকে ভুলে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার। এ জাতির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিগত বছরের জরাকে দূরে ঠেলে আজ বাংলাভাষীদের স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন আলোয় অবগাহনের দিন, আনন্দে মেতে উঠারও দিন।
নতুন বছরে শুভেচ্ছা বাণী এবং মঙ্গল কামনার সাথে, ’এসো হে বৈশাখ-‘ গানটির কোরাস পরিবেশন করে অমিয়া মতিন, শাফিনাজ আমিন, মাহবুবা কান্তা, মাফরুহা আলম, শ্রাবন্তী কাজী, নাইয়ারা কেয়াসী, তনিমা আলী, তনিমা তাবাসসুম, সূচনা চৌধুরী ও দিলশাদ রহমান। অপরাহ্নের এ আয়োজনে ভোজে ছিল বাঙ্গালীর চিরাচরিত ভর্তা-ব্যঞ্জন এবং পিঠা-পুলি-পায়েস- মুড়ি-মুড়কি। ষোলো আনা বাঙ্গালীয়ানায় প্রবাসের রবিবারটি সাদা-লাল এবং নকশী সাজে জমে উঠেছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন ফিরে পেলেন এক টুকরো বাংলাদেশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামি স্কুলের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানায় মোড়া উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারেক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তারাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দেশীয় পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ, শিশুরা অংশ নেয় বিভিন্ন আয়োজনে। মেলায় ছিল ১৬টি রকমারি পণ্যের স্টল, যেখানে পাওয়া যায় পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, রসমালাইসহ নানা রকম মুখরোচক বাঙালি খাবার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অংশগ্রহণ করেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রবাসী শিশু-কিশোর, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
প্রবাসজীবনের একঘেয়েমি ভুলিয়ে আবুধাবিতে এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য ভাগাভাগি করে নেন। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে তোলে বলে আয়োজকেরা মনে করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান এর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি’র পক্ষ থেকে গভীর শোক, শ্রদ্ধা এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান ছাত্র জীবন থেকেই দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গঠনে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে সংক্রিয়ভাবে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে আমৃত্যু পযর্ন্ত তিনি আপোষহীনভাবে সোচ্চার ছিলেন। এসময় ওনার চিরবিদায়ে রাজনীতিতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হলো। যা পূরণ হবার নয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন – জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন, যুক্তরাষ্ট্রে মূল ধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, যুক্তরাষ্ট্র জে এস ডি’র আহবায়ক এনামুল হায়দার, যুগ্ম আহবায়ক সামছুদ্দীন আহমেদ শামীম, তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহাম্মদ রফিক উল্যাহ, তারেক হোসেন সদস্য হারুনুর রশীদ, মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ঐতিহাসিক গ্লোবাল এসএমই সামিট ২০২৫ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্লোবাল এসএমই বিজনেস হোম (জিএসবিএইচ)। আগামী ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল দাভোস কংগ্রেস সেন্টারে সামিটটি অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান জিএসবিএইচ-এর প্রতিষ্ঠাতা আনিস খান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোমান সোমারউ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসার শীর্ষ এই সম্মেলনে থাকছে গ্লোবাল এসএমই-এর সিইও এবং এক্সিকিউটিভদের জন্য সমবয়সীদের সঙ্গে প্রভাবপূর্ণ সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান। ইভেন্টটি এসএমই-এর জন্য মূল ব্যবসার চালকদের সম্বোধন করে এমন বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ এবং সহকর্মীদের একত্রিত করবে, বিনিয়োগ এবং তহবিল সুযোগ, এক থেকে এক মিটিং, বায়ার এবং সেলার মিটিং, অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি সঙ্গে মিটিংয়ের সুযোগ, পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রদর্শনের সুযোগ।
সারাবিশ্বের সবচেয়ে বড় এসএমই এবং ব্যবসায়িক নেতাদের ৫০০ এর বেশি সমাগোম। এই ইভেন্টে স্পিকার হিসেবে থাকবে ৫০টিরও বেশি শীর্ষ কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশ থেকে স্পিকার হিসাবে থাকবেন কসৈয়দ আলমগীর, বিয়াট্রিক্স কিম পরিচালক Car (সেটার অটোমোবাইল), Morethandigital প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বেঞ্জামিন তালিনসহ বিশ্বের অনেক সফল ব্যবসায়ী ও লিডার।
ঐতিহাসিক ব্যবসায়ীক এই সামিটের রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ আগামী ১৫ মার্চ ২০২৫, স্টল এবং স্পন্সরের জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি। রেজিষ্ট্রেশন করতে ভিজিটি করুন www.globalsmesummit.com বিস্তারিত জানতে ই-মেইল করতে হবে অপারেশস চিফ নিয়াজুল ইসলাম রনি (rony@gsbh.ch)। গ্লোবাল এস এমই সামিটি জিএসবিএইচ (সুইজারল্যান্ড) এর সঙ্গে আরও আয়োজক হিসাবে থাকছে Gour International (Germany), IDEAS FOR US (MARTITIUS) LTD, Milvest (Africa)।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর জমকালো আয়োজনে ঢাকায় জিএসবিএইচ এর লঞ্চিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কর্পোরেট ব্যক্তিত্বরা।