অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন ১০ জন কবি ও লেখক। আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রস্তাবক কমিটি’র প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪’-এর সিদ্ধান্তক্রমে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ অনুমোদন করে।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এজন্য কমিশনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, সিইসি।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। সেই পরিবেশই থাকবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের আরও বলেন, কোথাও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন ব্যবস্থা নেয়, সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, নির্বাচন সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, সবার প্রয়াসে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু সব সময়ই স্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আপনাদের চেষ্টায়, আমাদের চেষ্টায়, প্রার্থীদের চেষ্টায় এবং ভোটারদের চেষ্টায় এ নির্বাচন সফল হবেই। আজকের মতবিনিময় সভায় আলোচনা শেষে আমরা সবাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও যথেষ্ট আন্তরিক। তবে কিছু সমস্যার কথা এসেছে। আমরা শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন কথা বলেছে। সমস্যাগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, সে গাইডলাইনও আমরা দিয়েছি। আশা করি, তারা আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা তারা আন্তরিকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজশাহী সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় প্রার্থীদের অনেকে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সিইসি এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সার্কিট হাউজে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন (৩৫) নামে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
সাহাব উদ্দিন উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাঁশবাড়িয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বার আউলিয়া আহাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার সিংহ জানান, অটোরিকশা চালক পেট্রোল পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে সড়কে ওঠার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী বাস অটোরিক্সাকে চাপা দেয়।
এসময় চালক সাহাব উদ্দিন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিক্সাটি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। তবে বাসটি আটক করা যায়নি। নিহতের পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আপনি হয়তো অনেক আলোচনা শুনে থাকবেন অথবা এ নিয়ে নানান খবরাখবরও দেখে থাকবেন গণমাধ্যমে।
কিন্তু এই দিনটা আসলে কী জন্য? এর গুরুত্ব আসলে কোথায়? নারীদের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও কী আছে? চলুন জানা যাক।
এটা কিভাবে শুরু হয়?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরুটা হয় শ্রমিক আন্দোলন থেকে, যা একসময় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত বাৎসরিক দিবস হয়ে উঠে।
আর এসব কিছুর শুরুটা হয় ১৯০৮ সালে, যখন এক সাথে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে। এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়।
এখন এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।
এই দিবসের সব কিছু আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ১৯৭৫ সালে, যখন জাতিসংঘ এটা উদযাপন করতে শুরু করে। আর প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ১৯৯৬ সালে। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ এই স্লোগান নিয়ে।
প্রতি বছর এখন এই দিবসে উঠে আসে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতোটা এগিয়েছে সেই বিষয়টা। একই সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিকভাবে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় এ দিনটি ঘিরে।
৮ মার্চ কেন? ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনও নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না, সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে এক আন্দোলন শুরু করে – টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।
যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (কারণ তখন রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ই মার্চ – তারপর থেকেই এই দিনটা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হল বেগুনি, সবুজ এবং সাদা।
‘বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা এবং সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কোনো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কি আছে? অবশ্যই আছে, আর সেটা ১৯ নভেম্বর। কিন্তু এটা অনেক পরে, ১৯৯০ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এখনও এই দিবসটি জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
এ দিনটি পালনের লক্ষ্য থাকে, ‘পুরুষ তাদের পরিবার, সমাজ ও এই বিশ্বে যে ইতিবাচকতা আনে সেটায় নজর দেয়া।’
এর আয়োজকরা বলেন একই সাথে এ দিবসের উদ্দেশ্য হল আদর্শ রোল মডেল তুলে ধরা, পুরুষদের সুস্থতার দিকে নজর দেয়া এবং লিঙ্গ সম্পর্কে উন্নতি আনা।
নারী দিবস কিভাবে পালিত হয়ে থাকে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে, রাশিয়াতেও এদিন সরকারি ছুটি এবং ৮ মার্চ ঘিরে তিন বা চারদিন ধরে ফুল বিক্রি দ্বিগুণ হয়ে যায়। চীনে স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক নারীই ৮ মার্চ অর্ধদিবস ছুটি পেয়ে থাকেন। ইতালিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বলা হয় লা ফেস্তা দেলা দোনা, লজ্জাবতী ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। এই রীতির উৎপত্তি কীভাবে তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় রোমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এর চল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মার্চ মাসকেই নারীদের ইতিহাসের মাস হিসেবে দেখা হয়। প্রতি বছর এ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটা ইশতেহার বের করা হয় বছর জুড়ে আমেরিকান নারীদের অর্জনগুলোকে সম্মান জানাতে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য কী? এ বছর নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হল “নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন”। এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
“সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে”, বলা হয়েছে এই দিবসটি ঘিরে।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে বিশ্ব জুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবেলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে।
তবে অন্যান্য কিছু প্রতিপাদ্যও আছে। নারী দিবসের ওয়েবসাইট বেছে নিয়েছে “অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ” এই প্রতিপাদ্য, আয়োজকদের লক্ষ্য “সকল বাধা ভেঙে ফেলা, প্রচলিত ভুল ধ্যান ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এমন পরিবেশ তৈরি যেখানে সমস্ত নারী সম্মান ও মর্যাদা পায়।”
আমাদের কেন এই দিনটি দরকার? গত বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের নারীরা যুদ্ধ, সহিংসতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে তাদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছে।
সবশেষ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা গাজায় নারী ও শিশুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমন কী ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ-সহ পেয়েছেন।
একই সঙ্গে ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের দ্বারা ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের অঙ্গ কর্তনের প্রমাণও পেয়েছে বিবিসি।
এই সংঘাতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেটার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এক পরিসংখ্যান আগামী মাসের মধ্যেই গাজায় অন্তত ৫৫০০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন কোনও রকম ন্যূনতম চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই।
আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বয়সসীমা পার হলেই তারা স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে তালিবানদের দ্বারা, যা মেয়েদের সমশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
সুদানে সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতেরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সেখানকার নারীদের উপর।
জাতিসংঘ বলছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায়ই নারী ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার খবর আসছে, যেখানে তাদের জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে এবং মুক্তিপণের দাবি করা হচ্ছে।
১২ লাখেরও বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দশ জনে নয় জনই নারী ও শিশু।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মারা যাওয়ার এক বছর হয়েছে, যিনি ইরানের হিজাব পরার কড়া নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপর অনেক নারী এই নিয়মের প্রতিবাদ করেন, যার মধ্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি-সহ অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘ কারাগারবাস ভোগ করছেন।
তবে গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সাবেক ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের এক চুমু কান্ডে; বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খান তিনি।
হারমোসো বলেন তার অনুমতি ছাড়াই তাকে চুমু দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে আইনিভাবে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
রুবিয়ালেস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু তিনি কোনও অন্যায় করেছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে যৌনতার সংস্কৃতির আলোচনা উস্কে দেয়।
বিবিসি ১০০ নারী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দেওয়া যাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জননিরাপত্তা বিভাগের সম্প্রতি জারি করা পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকেও নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সেলে অভিযোগ জানাতে ৯৯৯ এ কল করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সার্বক্ষণিক সেবা দানের জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিশেষ টিম গঠন করে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ওই টিম ভোট সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ বা তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সেল গঠন করেছে। এই সেল যেকোনো অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিমগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য মাঠ পর্যায়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যে কোনো জরুরি মুহূর্তে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করে। এই নাম্বারে বিনামূল্যে ফোন দিয়ে যেকোনো অভিযোগ বা সহায়তা চাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুবকদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হলরুমে এ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজেদুল হাসান, হবিগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাহবুবুল আলম।
সভায় বক্তরা মাদক কি, মাদকের কুফল, মাদকাসক্তের কারণ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের উদ্যোগ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও জঙ্গিবাদ কি, জঙ্গিবাদের কারণ, জঙ্গিবাদের উত্থান, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যুব উন্নয়নের বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীসহ যুব উদ্যোগতারা উপস্থিত ছিলেন।