চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে নতুর বই প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে “শিক্ষার্থী মঞ্চ” নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ আলম পালোয়ান, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, অন্বেষা বিদ্যাপীঠ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ জয় প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষের উপর ভ্যাট আরোপেরও তীব্র সমালোচন করেন।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি শুভ সূচনা হয়। একই সময়ে শহরের ফারুকী পার্কে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রথমেই স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
পরে পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।
এর পর স্মৃতিসৌধ উম্মুক্ত করে দিলে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংণাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। পরে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, কারাতে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৩০ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া থেকে লেনিন গ্রেফতার হয়।
আজ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
লেলিন শহরের কাজীপাড়া এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে লেনিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা ও একটি নাশকতা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তাহার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল—মামুন সরকার ও পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
টুর্ণামেন্টে জেলার জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল অংশ নিবে। স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। খেলার রেফারি আনা হবে ঢাকা থেকে। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় বাছাই উম্মুক্ত হওয়ায় যে কোন ফুটবলার যে কোন দলে খেলতে পারবেন।
উদ্বোধনী খেলায় পৌরসভার একাদশের সাথে নবীনগর উপজেলা একাদশ অংশ নিবে। উদ্বোধনী দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল সোয়া তিনটায় খেলা শুরু হবে। খেলার মোট সময় ৯০ মিনিট। বিরতির জন্য সময় বরাদ্দ ১০ মিনিট। খেলা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক দল ৫জন করে খেলোয়ার পরিবর্তন করতে পারবে। কোনো খেলোয়াড় যদি পর পর দুই বার হলুদ কার্ড পান, তাহলে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী খেলায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। খেলা হবে নকআউট পদ্ধতিতে।
তিনি বলেন, খেলায় যে কোনো আপত্তি থাকলে খেলা শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে পাঁচ হাজর টাকা আপত্তি ফিসহ (অফেরতযোগ্য) লিখিতভাবে সরাসরি আপিল কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। আপিল কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। প্রতিটি খেলা শুরুর পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রুপ ছবি তুলে রাখা হবে। যাতে প্রতিটি দলের খেলোয়াড় চিহ্নিত করা যায়। এক দলের খেলোয়াড় যাতে অন্য দলে খেলতে না পারে। টুর্ণামেন্টে ১৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ফাইনাল খেলায় চট্টগ্রামের বিভাগী কমিশনার তোফায়েল ইসলাম এবং পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ—মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূর ই ইসলাম অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ক্রীড়া অফিসারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক সংবাদপত্র সমতট বার্তা’র ৩৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক সমতট বার্তার আয়োজনে ৭ পর্বের সমতট উৎসবের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুধী সমাবেশ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
দৈনিক সমতট বার্তার উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও কবি জয়্দুল হোসেন। প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতাম তখন কুসুমকুমার চক্রবর্তী নামে একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি আমাকে কালো মেঘ ঔষধ খাওয়াতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে দিনে দিনে গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতো না। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ পার্কে আমার ফুফুর বাসায় রাত্রিযাপন করতে হতো। তখন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমি শুনতে পেতাম ঘরে ঘরে সুরের মূর্ছনা, ঝংকার। প্রায় সবার বাড়ি থেকে হারমোনিয়াম এর আওয়াজ ভেসে আসতো ওই সময়টাতে। এটি ছিল নিতান্তই তখন সুরের শহর। আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন নামে যেখানে আমরা আজকে দাঁড়িয়ে আছি এই বাড়িটি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ক্রয়কৃত বাড়ি। এ বাড়িটিতে তিনি নিজে এই সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগের যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা দেখেছি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন আর নেই। কিন্তু আমি আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে খুঁজে পেতে চাই। আমি যখন এখানে রাজনীতি করতে এসেছি তখন আমি এই শহরকে ভালোবাসি বলেই এসেছি। কারণ, সমৃদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণীজনদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিল অনেক উপরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আরও ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব শামসুল হুদা, মলয়া সংগীতের মনমোহন দত্ত, আফতাব উদ্দিন খাঁ, লব পাল এর মত অনেক গুণীজন। এখন আর সেই দিন নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে এসে এখানে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি সহমর্মিতা পেয়েছি। তাঁদের কথাতো আমি ভুলতে পারবো না। এরমধ্যে রয়েছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। আর সেই জন্যেই এখানে আসার ব্যাপারে তার যে আহ্বান সেটাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর এসব প্রচার যখন উপর মহলে যায় তখন আমরা অবহেলার শিকার হই। করোনাকালীন সময়ে একজন জনপ্রিয় মাওলানার মৃত্যুতে তাঁর জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। এটি নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে শফি নামে একজন আলেম সাহেবের মৃত্যু হয়। তার জানাজায়ও আরো অনেক বেশি মানুষ হয়েছিল। সেটিও ছিল করোনাকালেই। অথচ চট্টগ্রামের এ বিষয়টি নিয়ে কোন বিরূপ প্রচারণা কেউ করেনি। উপরন্ত চট্টগ্রামবাসীরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একজন মহিলা দু’দুবারে মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কথাটা কেউ বলে না। কিছু লোক সংঘবদ্ধ হয়ে, অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এই আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কিছু স্থানে বর্বর হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করলো, এ ব্যাপারে কেউ কিন্তু আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে এত এত সাংস্কৃতিক সংগঠন, বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন’ তারা কিন্তু এই তান্ডবের বিপক্ষে একটি মানববন্ধন করেননি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। এ সত্যেও এখানে কেউ আসেননি। আমি এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। তাও হলোনা। এখানেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে নেতিবাচকতা হয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বাড়ি, এমন সাংবাদিকও ওই ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে লিখেছেন। তাদের কেউ একবার এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, মিউনিসিপ্যালিটি সহ অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসরূপ দেখে যাননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা রয়েছে। এখানে রাজনীতিতে এসে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার এ প্রচেষ্টায় আমার পাশে আছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। এখানকার অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সমতট বার্তা কিছুটা ব্যতিক্রম। জেলার শিল্প সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রগতিশীল ভাবনাগুলোকে মর্যাদা দিয়ে তাঁরা পত্রিকাটি চালাচ্ছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ, একদিন অতীতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা অবশ্যই ফিরে পাবো। এ ব্যাপারে আমি আবারো আপনারা সকলের সহযোগিতা চাই।’ অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মুখ্য আলোচক বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দৈনিক সমতট বার্তা পাঠক ফোরাম এর সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিরউদ্দিন চৌধুরী রনি। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের জীবনচরিত ও কর্মকৃতি পাঠ করেন ফারিয়া বিনতে আলম ও ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা। সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নুসরাত জুহুরী প্রান্তি, পাপিয়া চৌধুরী, ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা, মায়া চক্রবর্তী। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক যে আমিন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগীত সংগঠক আনিসুল হক রিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় এবং বিকেলে পৃথক অভিযানে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড এবং কসবা পৌর এলাকার টি.আলী বাড়ির মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আকছান চৌধুরী ও মোঃ রাসেল মিয়া।
গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে, আকছান চৌধুরী সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের পাঘাচং গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে এবং রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কান্দারপাড় গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি মোটর সাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় অপর মাদক ব্যবসায়ী আকছান চৌধুরী পালিয়ে যায়। পরে মোটর সাইকেল থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে মনির হোসেনের দেয়া তথ্য মতে আকছান চৌধুরীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে প্লাষ্টিকের পাইপের ভেতরে করে গাঁজা পাচারের সময় কসবা টি.আলীর বাড়ির মোড় থেকে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।