অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে কুপোকাত হলো ব্রাজিল। সেলেসাওদের ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিলো লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার দলকে জয় এনে দেয়ার পথে জোড়া গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্লওদিও এচেভেরি। একটি করে গোল করেছেন ইয়ান সুবিয়াবরে, অগাস্টিন রুবের্তো ও সান্তিয়াগো হিদালগো। অপর গোলটি আত্মঘাতী।
ভেনেজুয়েলার মাটিতে ১০ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে নেমেছে দক্ষিণ আমিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ শনিবার মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
দুই দলের মধ্যে সমর্থকরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করলেও ম্যাচটা ছিল একপেশে। এস্তাদিও মিসায়েল দেলগাদোতে এদিন পাত্তাই পায়নি জুনিয়র সেলেসাওরা। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় মেসির উত্তরসূরীরা। যার মধ্যে ৮টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে ৯টি শট নিয়ে মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ব্রাজিল।
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ বলিভিয়ার বিপক্ষে আগামী ২৭ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়। তার আড়াই ঘণ্টাপর কলম্বিয়ার মোকাবিলায় মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে সেলেসাওরা। ভ্যালেন্তিনো অ্যাকুনার থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ইয়ান। এক মিনিট না যেতেই প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন এচেভেরি।
লড়াইয়ে ফেরার বদলে উল্টো ১১তম মিনিটে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করে বসে ব্রাজিল। ইগোর সেরেতোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০’তে। বিরতির আগে অবশ্য সেলেসাওদের আর দুঃখ বাড়ায়নি জুনিয়র আলবিসেলেস্তেরা।
বিরতির পর প্রতিপক্ষের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেন এচেভেরিরা। ৫২তম মিনিটে রুবের্তো, ৫৪তম মিনিটে এচেভেরি আর ৭৮তম মিনিটে শেষ গোলটি করেন হিদালগো।
চলারপথে রিপোর্ট :
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উদ্যাগে ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ ৬ জুলাই রবিবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন।
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সভাপতি হাজী মোঃ আবদুস সালাম সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফায়েজুর রহমান (ফয়েজ) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি এডভোকেট আমিনুল হক, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা হাদিম মিয়া, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৭.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। কাইল মায়ার্সের করা ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারার পর দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফে। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে।
শুরুর সেই বিপর্যয়ের পর দ্রুতই হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্দশ ওভারে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে সে জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমন।
ইমনের বিদায়ের পর একাই লড়াই করেছেন শামীম। দলীয় ১৪৪ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। চিটাগাং কিংসের হয়ে এদিন ৫ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। এর চারটি উইকেট নিয়েছেন ১৯তম ওভারে। দুই উইকেট পেয়েছেন কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।
জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই শুরু করে বরিশাল। দলীয় ৫৫ রানে তামিমের উইকেটের পতন হয়। তিনি ২৯ রানে আউট হন। পরে বাকি পথ ডেভিড মালানকে নিয়ে পারি দেন আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মালান ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৩-২৪ এর হকি ও দাবা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ ৯ জুন রবিবার সকাল ১০টায় অন্নদা স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মেড্ডা আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমানসহ অনন্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকৃ বৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের ক্রীড়ামূখী করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদপক্ষে গ্রহণ করছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা, সংস্কৃতি চর্চা, নৈতিক শিক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ প্রেমিক নাগরিক করে গড়ে তুলতে হবে। হকি ও দাবা প্রতিযোগিতায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মডেল গালর্স হাই স্কুল, মেড্ডা আলীয়া মাদ্রাসা, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে নেপালকে ৫২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৫৩ রান। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভার শেষে ৫২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।
টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারায় নেপালের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ সানা প্রবীণের ১৯ রানের সুবাধে নেপাল ৫২ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে দু’টি উইকেট লাভ করেন জান্নাতুল মাওয়া। একটি করে উইকেট লাভ করেন নিশি, ফাহমিদা ছোঁয়া ও আনিসা আক্তার সোবা। এছাড়া নেপালের ৫ ব্যাটার রান আউটের শিকার হয়।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা, মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমীন, আনিসা আক্তার সোবা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, লাকী খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
নেপালের স্কোয়াড :
পূজা মাহাতো (অধিনায়ক), সনি পাখরিন, তিরসানা বিকে, রচনা চৌধুরী, সাবিত্রী ধমি, কৃষ্ণা গুরুং, কুসুম গোদার, সীমানা কেসি, অনু কাদায়ত, কিরণ কুনওয়ার, স্নেহা মহারা, জ্যোৎস্নিকা মারাসিনি, সানা প্রবীণ, রিয়া শর্মা ও আলিশা যাদব।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের এই দলে নেই কোনো চমক। যথারীতি বাবর আজমের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন অবসর ভেঙে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
এর আগে ২ মে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। এক বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি তখন জানিয়েছিল, এই ১৮ জন থেকে ৩ জন কমিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজানো হবে।
১৮ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়া তিনজন হাসান আলী, মোহাম্মদ ইরফান ও আগা সালমান। এর মধ্যে হাসানকে গত ২২ মে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাইম আইয়ুব, আব্বাস আফ্রিদি, উসমান খান, আজম খান, আবরার আহমেদ-এই পাঁচজন এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালের পর আমির এই প্রথম আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। ইমাদ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দলের বাকি ৮ জন সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ভারত, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, উসমান খান, আজম খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ।