সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৮ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈগলভেল, সিডনির মেরি ইম্যাকুলেট স্কুলের অডিটোরিয়ামে মহাআনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বড়দিন উৎসব ২০২৪।
সংগঠনের সকল সদস্যসহ সিডনির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানটি ছিলো সত্যিই উপভোগ্য। সভাপতি এ্যালেক্স তুহিন গাইনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর প্রার্থনা ‘অভাবনীয় উপহার’ পরিবেশন করেন এলেন জোসেফ গমেজ।
সংগঠনের ম্যাগাজিন “জল” এর উদ্বোধন করা হয়। এ বছর সম্পাদনা করেছেন হারবার্ট বিশ্বাস। অলংকরণ ও বিন্যাসে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। চিত্রগ্রাহক অশোক অধিকারীর একটি চিত্র প্রচ্ছদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু হয় আনন্দময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জুলিয়েট রয়’র উপস্থাপনায় এই পর্বে গান, নাচ, নাটক সবই ছিল চিত্তাকর্ষক। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন উষ্ণতা, ভিওলা, আরভিন, রোনান, এবিগেল, অরা, রুশা, এড্রিয়ানা, চেরী সরকার, নোয়েল চৌধুরী, সঙ্গীনি কোড়ায়া, দীপা বিশ্বাস, মরিয়ম ফ্রান্সিস,জেনেট শিল্পী, ইন্দিরা বাড়ৈ। শিশুদের পর্বটির দায়িত্বে ছিলেন জেনিফার চৌধুরী ও লিন্ডা এমি মন্ডল।
গান পরিবেশন করেন অমিয়া মতিন, অশোক অধিকারী, এলেন জোসেফ প্রমুখ। বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন অনাদী বিশ্বাস, থিওফিল বৈদ্য ও তপন ডি’কস্তাসান্তার ভুমিকায় ছিলেন দেবব্রত মন্ডল। তিনি নিজ হাতে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কয়েকটি বাচ্চাকে অবশ্য তাঁর দীর্ঘ সফেদ দাড়ি দেখে ইতস্তত করতে দেখা যায়।
দুপুরের আহার ও বিকেলের ‘পিঠা পর্ব’ ছিল অনন্য। ছোট্ট নাটক ‘আমাদের হীরক রাজা’ ছিল এ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। স্ক্রিপ্ট ও অভিনয়ে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল, জুলিয়েট গাইন, ইন্দিরা বাড়ৈ এবং থিওফিল রনি বৈদ্য। শেষ আয়োজন ছিল রাফেল ড্র।
অনুষ্ঠানটি সাজসজ্জায় ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। সাউন্ড পরিচালনায় এলেন জোসেফ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ন্যান্সী লীনা ব্যারেল। কার্যকরী সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনুষ্ঠান স্বার্থক করে তোলে।
আরিফুর রহমান আরিফ ২০ জানুয়ারি সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ শুরু। আরিফুর রহমান আরিফ আশা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বের সকল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করবেন। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপর সকল ভ্যাট ও টাক্স পরিহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য এক মাইলফলক স্থাপন করবেন। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণের এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিশ্বে মানবতার কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল আল্লাহর/ স্রষ্ঠার সৃষ্টি সকল মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি লক্ষ্যে সকলে একসাথে কাজ করলে আল্লাহ রহমতে বিশ্ব শান্তি বয়ে আনবে। পরিশেষে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ব নেতাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Brahmanbaria2usa.com এর সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুর রহমান আরিফ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।