আল আমিন, ভালুকা:
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২ হাজার ৫ শত রোগীকে সেবা ও মেডিসিন প্রদানের মাধ্যমে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামে মরহুম আলহাজ্ব আ. হেলিম মন্ডল (হলু) এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী এ সেবা প্রদান করা হয়।
সুফিয়া-হেলিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও হবিরবাড়ী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ওই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত নাঈমা, ডা. রোমানা বারী নিপা, ডা. তাকিয়া, মেডিসিন ও শিশু রোগের চিকিৎসক ডা. হাসান মাহমুদ, ডা. আলিফ আহাম্মেদ, নিউরো মেডিসিন রোগের চিকিৎসক ডা. ক্যাপ্টেন এম এ সালাম আকন্দ, মেডিসিন ও চর্ম রোগের চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় সিকদার, ডা. ফরহাদুজ্জামান, হৃদরোগের চিকিৎকস ডা. রিয়াদু সানী, চক্ষু রোগের চিকিৎসক ডা. আবিদ মজিদ ও দন্তরোগের চিকিৎসক ডা. উমাইয়া সুলতানা উর্মির সমন্বয়ে ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত দুই হাজার পাঁচশ’ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহ মেডিসিন প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য আগতদের মাঝে পাঁচশ’ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ক্যাম্পেইন চলাকালীন অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, সুফিয়া-হেলিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সাঈদ জুয়েল, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো: আব্দুস সালাম, মোস্তফা কামাল, সফিউল্লাহ আনসারী, শফিকুল ইসলাম সবুজ, এম এইচ এম মামুন প্রমুখ।
হবিরবাড়ী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবি সিদ্দিক সোহেল ও সুফিয়া-হেলিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের এমডি এডিশনাল এসপি আবু সুফিয়ান জানান, আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা প্রতি বছরেই এই আয়োজন করে থাকি, আগামীতে আরো বড় পরিসরে করার ইচ্ছে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করতে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার জেলার ১৩টি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল, মুরুং ও মনিপুরী সম্প্রদায়ের ৭৬০ জন অংশ নেন।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালকসহ জেলা কমান্ড্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সংস্কারমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে একজন সদস্যকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নতুন সিলেবাস ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাতে বাহিনীর সামাজিক উন্নয়নের সকল পদক্ষেপের সুফল হতে কোন জনগোষ্ঠী বাদ না পড়ে।
এতে আরো বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশিক্ষণের আওতাধীন সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন থেকে বাহিনীর অন্যান্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক কাজে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ৪২ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পরেছে। মাছটি ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর কাজীহাট এলাকায় মাছটি ধরা পরে। দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসলে মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে মোট ৭১ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয় করেন ঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
এ সময় বিশাল আকারের এই বাগাড় মাছটি এক নজর দেখতে স্থানীয় জনতা ভিড় জমায়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে সিলেট জেলায় একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পদ্মা ও যমুনা নদীতে জেলেরা অন্যান্য মাছের সাথে বাগাড় মাছও প্রকাশ্যে শিকার করছেন। বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে শিকার করা হয়, বিক্রি হলে আমাদের কিনতে দোষ কীসের?
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, রাজবাড়ী ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা ভাসান জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা মাছের পাশাপাশি বাগাড় শিকার করছেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. নাজমুল হুদা জানান, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ ধরা পরার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বাগাড় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২–এর আওতাভুক্ত হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারি না। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি উত্থাপিত হচ্ছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫৮ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ৩দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭০,৬০০ টি বাঁজি, ৯৪৫ কেজি চিনি, ২৭০ কেজি বাসমতি চাউল, ২৫,২০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯৭ বোতল হুইস্কি, ৯৪ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ফরিদপুরের মধুখালীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা গেছেন। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার ঢাকা-ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের শকড়িকান্দি এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর মহল্লার সাধন কুমার দাসের ছেলে বাঁধন কুমার দাস (২৮) ও তার শ্যালক ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত দাস (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শকরিকান্দি এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্টে সিগন্যাল দিয়ে ফরিদপুরগামী একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ।
এ সময় মাগুরার দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী মুক্তা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে মোটরসাইকেলটি চাপা পড়ে।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, বাসচাপায় মোটরসাইকেল এর দুইজন আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরকারি গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে সাধারণ সভা শেষে কমিটি গঠন করা হয়। এতে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক মো. রুহুল আমিনকে সভাপতি ও বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাড়ি চালক মো. নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মো. শহীদ মিয়া। সমিতির বরিশালের সাবেক সভাপতি মো. মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ ও মো. জাকির হোসেন, সহ সধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী ও মো. সেকান্দার আলী কোষাধ্যক্ষ মো. কিবরিয়া এবং দপ্তর সম্পাদক মো. দরবেশ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।