অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনটি দোকানও পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কদমতলী নয়াপাড়া (ভান্ডারিপুল) এলাকায় মনিরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে ভোর সাড়ে ৫টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া।
জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৫টার সময়ে ভান্ডারিপুল এলাকার বাসিন্দা মনিরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে হঠাৎ আগুন ধরে ৫টি ঘর পুড়ে যায়। এরপর সেই আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে গিয়ে বাড়ির সামনের অংশের থাকা আরো ৩টি দোকানেও আগুন লাগে। এতে ভাড়াটিয়াদের ঘরের আসবাবপত্র ও দোকানের মালামাল পুড়ে যায়।
আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন, আমরা আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের দুইটি ইউনিটের প্রায় ঘণ্টা খানিকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করছি।
অনলাইন ডেস্ক :
জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের একটি গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বুধাইরহাট বাজারের সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ তাজুল গ্রুপ ও স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির বেপারী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এ সময় বুধাইরহাট বাজার এলাকায় দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে দুজন পথচারী আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সৈয়দ তাজুল ইসলামের বাড়ির গরুর খামার থেকে একটি বালতিতে লুকিয়ে রাখা সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নাসির বেপারী জানান, আমি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। পরে এসে জানতে পারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ছোটভাই সাব্বির লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির দিকে হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পেছনে গরুর খামারের কাজ চলছে। সেখানে কারা বোমা রেখেছে আমার জানা নেই। তদন্ত করলেই এটা বেরিয়ে আসবে।
জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমরা উদ্ধারকৃত বোমার বিষয়ে তদন্ত করছি। যারা এরসাথে জড়িত তাদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে রুনা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১মে শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা আক্তার একই ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামের শিক্ষক শেখ নাছির উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই শেখ জসিম উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রামের সাইদুর রহমানের সাথে পারিবারিকভাবে রুনার বিয়ে হয়। তাদের ১০ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় সেলুনে কাজ করেন সাইদুর। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নেন সাইদুর। এরপর আবার টাকা নেয়ার জন্য রুনাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এ বিষয় নিয়েই রুনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্ত কুমার ভক্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ভিকটিম মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভিকটিমর বুকে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রাণঘাতি ছিল।
হাসপাতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মোছা: শিরিন আক্তার। তিনি জানান, ভিকটিমের বাম বুকের উপরে গলার নিচে সাড়ে সাত ইঞ্চি গভীর ও ২ ইঞ্চি প্রস্থের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার অনামিকায় কাটা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ভিকটিমের স্বামী সাইদুর রহমানকে বাড়ি থেকে এবং তার শ্বশুর আব্দুস সালামকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানার হাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামে টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় ৫৪ জন কিশোরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন পেয়েছেন বাই সাইকেল। বাকিদের দেওয়া হয়েছে স্কুল ব্যাগ। আকছিনা সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শনিবার বিকালে আকছিনা পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই ৫৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবক আলী আজগর ডিলার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ব্রাহ্মাণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) থেকে মনোনীত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকার।
পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোক্তা আবদুস ছাত্তার বলেন, কিশোরদের মসজিদমুখী করতেই এ উদ্যোগ। আমি বিশ্বাস করি, তারা নিয়মিত নামাজে অভ্যস্ত হলে ভবিষতেও এ আমল ধরে রাখবে। এতে আমিও সাওয়াবের অংশীদার হতে পারবো। সকলের উচিত ভালো কাজে এগিয়ে আসা। আলোচনা শেষে ১৭ জনকে বাই সাইকেল ও ৩৫ জনকে স্কুল ব্যাগ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২২ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার ছেলেটি হারিয়ে গিয়েছে। ছেলেটির নাম রানা মিয়া, বয়স-৩২, গায়ের রং ফর্সা, মুখের আকৃতি : গোলাকার, গায়ের রং : শ্যামলা। অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয় (যাহার নং- ১০২১) । যদি কোন সু-হৃদবান ব্যক্তি ছেলেটির খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে মেহেরবানী করে নিম্ন ঠিকানায় পৌছে দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে ।
সন্ধানপ্রার্থীঃ
মোছাঃ বিউটি আক্তার
দেওড়া শাহবাজপুর
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মোবাইলঃ ০১৭৪১৫৮৫৮৯৩ ।
অনলাইন ডেস্ক :
সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে আহরিত ৮৫০ কেজি কাঁকড়া জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুনতাসির ইবনে মুহসীন আজ ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট বিকেলে সুন্দরবনের কপোতাক্ষ নদীর ঘড়িলাল বাজার সংলগ্ন ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড। এসময় অভিযানকারীরা একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটে তল্লাশি চালিয়ে ৮৫০ কেজি অবৈধ কাঁকড়া জব্দ করে। জব্দকৃত কাঁকড়ার বাজারমূল্য ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরো জানান, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে কাঁকড়া পাচারকারীরা বোট ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত কাঁকড়া ও বোট বনবিভাগের কোবাদক ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের বন ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।