অনলাইন ডেস্ক :
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগের চেয়ে নৈতিক মূল্যবোধই প্রধান ভূমিকা রাখে’- এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার এ বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল এন্ড কলেজ ও আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মদ মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মডারেটর ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের মনোবল যাতে দুর্বল না হয় এবং দৃঢ়তার সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। মনোবল ঠিক থাকলে সামনের দিকে কোন বাধায় তোমাদেও প্রতিহত করতে পারবেনা। তোমরা একটি উপজেলার সম্মান বয়ে আনতে পারবে।
বিচারক মন্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শাহীনুর বেগম। প্রতিযোগীতা পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শওকত আকবর খান।
প্রতিযোগীতায় কালিয়াকৈর উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জাব্বার স্কুল এন্ড কলেজ ৫৪.২ পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ী হয় ও আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ৫৩.২ পয়েন্ট পেয়ে পরাজিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ৪২ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পরেছে। মাছটি ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর কাজীহাট এলাকায় মাছটি ধরা পরে। দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসলে মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে মোট ৭১ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয় করেন ঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
এ সময় বিশাল আকারের এই বাগাড় মাছটি এক নজর দেখতে স্থানীয় জনতা ভিড় জমায়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে সিলেট জেলায় একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পদ্মা ও যমুনা নদীতে জেলেরা অন্যান্য মাছের সাথে বাগাড় মাছও প্রকাশ্যে শিকার করছেন। বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে শিকার করা হয়, বিক্রি হলে আমাদের কিনতে দোষ কীসের?
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, রাজবাড়ী ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা ভাসান জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা মাছের পাশাপাশি বাগাড় শিকার করছেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. নাজমুল হুদা জানান, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ ধরা পরার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বাগাড় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২–এর আওতাভুক্ত হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারি না। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি উত্থাপিত হচ্ছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ ২জন আটক হয়েছে। আজ ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ভেড়ামারা-প্রাগপুর সড়কের হওখালী মাঠের মধ্যে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে চুরি করার সময় রজব আলী (৩৫) ও আকিবুল ইসলাম (৩০) নামে দু’জন কে স্থানীয় জনতা আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে তাদের ভেড়ামারা থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এরা দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদী সরকারপাড়া গোলামনবী ও ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়েছে বলে ভেড়ামারা থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করতে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার জেলার ১৩টি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল, মুরুং ও মনিপুরী সম্প্রদায়ের ৭৬০ জন অংশ নেন।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালকসহ জেলা কমান্ড্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সংস্কারমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে একজন সদস্যকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নতুন সিলেবাস ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাতে বাহিনীর সামাজিক উন্নয়নের সকল পদক্ষেপের সুফল হতে কোন জনগোষ্ঠী বাদ না পড়ে।
এতে আরো বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশিক্ষণের আওতাধীন সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন থেকে বাহিনীর অন্যান্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক কাজে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে।