অনলাইন ডেস্ক :
বিগ ব্যাশের ফাইনালে মিচেল ওয়েনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সিডনি থান্ডার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। ৩৯ বলের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে হোবার্ট হারিকেন্সকে প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়ন বানালেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ হার্ড হিটার ব্যাটার। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার হোবার্টে ফাইনাল ম্যাচে সিডনি থান্ডার্সকে হোবার্ট ৭ উইকেটে হারিয়েছে। শুরুতে ব্যাট করে জেসন সাঙ্ঘা ও ডেভিড ওয়ার্নরের ব্যাটে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিডনি। জবাবে নেমে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হোবার্ট।
ফাইনাল ম্যাচে হোবার্টের জয়ের নায়ক মিচেল ওয়েন। ১১ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে ১০৮ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। ফাইনালে সেঞ্চুরি করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকেও। ৩৯ বলে তার করা সেঞ্চুরিটি বিগব্যাশের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম। ২০১৪ বিগ ব্যাশে তৃতীয় আসরে ৩৯ বলে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন ক্রেইগ সিমন্স।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়েন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৩ ওভারে হোবার্টের রান হয় ৬২। ১৬ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়েন। বিগ ব্যাশের ফাইনালে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
পাওয়ারপ্লের পরও চলতে থাকে ওয়েনের ঝোড়ো ব্যাটিং। ৭ ওভারে ১০৯ রান করে স্বাগতিক দল। ওয়েন এক পাশে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও অন্য পাশে সেলেব জোয়েল খেলেছেন তার স্বাভাবিক ক্রিকেট। তবে খুব বেশি রান করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। ১১ বলে ১৩ রান করে অষ্টম ওভারে আউট হন তানভীর সাঙ্ঘার বলে। একই ওভারে আউট হন নিখিল চৌধুরীও।
ওয়েনের বিধ্বংসী ব্যাটিং চলমান থাকায় তেমন চাপ বাড়াতে পারেনি সিডনি। ১০ ওভারে হোবার্টের স্কোরকে ১৩৮ রানে নিয়ে যান তিনি। ১০৮ রান করে এরপর ওয়েন আউট হলেও লড়াইয়ে ফেরার কোনো উপায় ছিল না সিডনির। ম্যাথু ওয়েড ৩২ এবং বেন ম্যাকডরমেট ১৮ রানে অপরাজিত থেকে শিরোপা নিশ্চিত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। আজিজুল হাকিম তামিমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হেসেখেলে জিতেছে টাইগার যুবারা। এই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে আকাশ ত্রিপাঠীর ব্যাট থেকে। এছাড়া, উত্তম মাগার ৬৯ বলে ২৯ রান করেন। আর ৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক তিওয়ারি। এই তিনজন বাদে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি কেউ।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট ঝুলিতে তোলেন আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন। এছাড়া, একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি, সাদ ইসলাম ও আজিজুল হাকিম।
জবাব দিতে নেমে জাওয়াদ আবরারের ব্যাটে ভর করে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নেন আবরার। দলীয় ৯১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে ৬৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর কিছুটা ধীরে এগোলেও সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। দলকেও নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে।
শেষ দিকে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তামিমের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ। ১২৮ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয় পায় টাইগার যুবারা। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৭১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম। বল হাতে নেপালের হয়ে চার উইকেট নেন যুবরাজ খত্রি।
আগামী মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।
অনলাইন ডেস্ক:
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো দুর্বার রাজশাহীকে। আজ এমনই রেকর্ড গড়া লক্ষ্য দিয়েছিল টানা ষষ্ঠ ম্যাচ হারা ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে ২৫৫ রানের লক্ষ্যটা পার করতে পারেনি রাজশাহী। উল্টো বিব্রতকর রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে রাজশাহী।
বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৪৯ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা। রেকর্ড জয়টি এবারের বিপিএলে ঢাকার প্রথম।
রেকর্ড ২৫৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধসে পড়ে রাজশাহী। দলীয় খাতা ৩৪ রান পার না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার ৪টি ভাগাভাগি করে নেন আবু জায়েদ রাহী ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। পরে অন্য বোলাররাও উইকেট উদযাপনে যুক্ত হন। দুই পেসারের মতো ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও ফারমানউল্লাহ।
রাজশাহী যেভাবে একের পর এক উইকেট হারায় তাতে ১০০ রান করতে পারবে কিনা সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১০৫ রান করতে পারে রায়ান বার্লের কল্যাণে। সাতে নামা বার্ল এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৯ চারে। ১১ ব্যাটারের ৭ জনই এক অঙ্কের ঘরে আউট হন।
এর আগে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ঢাকা। ১ উইকেটে রেকর্ড ২৫৪ রান করে তারা।
অনলাইন ডেস্ক
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের ঘটনার রেশ না কাটতে এবার বিকেএসপিতে ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে দায়িত্ব পালন করার সময় অস্বস্তি নিয়ে উঠে যান তিনি।
এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘মাঠে আসার পরই অসুস্থ অনুভব করছিলেন। পরে আর মাঠে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে রিজার্ভ আম্পায়ার এখন দায়িত্ব পালন করছে।’
আম্পায়ার্স কমিটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থ বোধ করায় বিকেএসপির হাসপাতালে গিয়েছেন গাজী সোহেল। এরপর সেখানে তার প্রেশার ও পালস চেক করা হয়। প্রেশার ঠিক থাকলেও পালস একটু বেড়ে যাওয়াতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এখন ভালো আছেন গাজী সোহেল।
আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিয়মিত আম্পায়ারিং করতে দেখা যায় গাজী সোহেলকে। এখন পর্যন্ত ৮ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগে গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন মোহামেডানের ওপেনার তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় রিং পরানো হয় তামিমকে। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে চেকআপের জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে দুই রানে হারাল দুর্বার রাজশাহী। ১১৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে রংপুর। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার বেতন ইস্যুতে রাজশাহীর কোনো বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। এজন্য শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলতে নামে দলটি। বিপিএলে এর আগে তিন বিদেশির জায়গায় দুই বিদেশি নিয়ে খেলার নজির থাকলেও বিদেশি ছাড়া খেলার ঘটনা এটাই প্রথম।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। বিশেষ করে রংপুরের খুশদিল শাহ, রাকিবুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজশাহীর ব্যাটাররা।
সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ২৯ বল। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আকবর আলী।
রংপুরের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল। এ ছাড়া রাকিবুল ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস জয়ের আশা দেখালেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ ৩ মে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।
ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।
পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।
এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।
জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই অধারাবাহিক ওপেনার লিটন দাস শুরুটা করেন বাজেভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড তিনি। গুড লেংথে ফেলা বলটি লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এতে ৩ বলে মাত্র ১ রানেই থামল সর্বশেষ ১৯ ইনিংস আগে ফিফটির দেখা পাওয়া লিটন। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্যও বড় চিন্তার কারণ!
শান্ত ভালো খেলতে থাকলেও কাটা পড়েছেন দলের ৫৭ রানের মাথায়। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনার দৃষ্টিনন্দন সব শটে হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
চারে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনে মিলে হতে দেননি কোনো বিপদ। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ-হৃদয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।