চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডাকাতি করাকালে দূর্ধূষ তিন সড়ক ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বাবলু, মাসুদ আহমেদ শিপন (২২) ও আনোয়ার হোসেন আনার (৩৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত গভীররাতে এস আই নুরুন্নবী সংগীয় ফোর্স সড়কের ফায়ার সার্ভিসে সামনে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ মাসুদ ও আনোয়ার নামের দুই ডাকাতকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
মাসুদ কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। আনোয়ার একই ইউনিয়নের লস্কর পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি রামদা সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত আনোয়ারের কাছ থেকে সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে ইফাজ উদ্দিন আহমেদের ডাকাতি হওয়া ১২ শত টাকা ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে ডাকাত বাবলুকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরাইল ও পার্শ্ববর্তী থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাত মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর রবিবার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী সরাঞ্জাম বিতরণ।
এসময় সরাইল উপজেলার ৮৪টি কেন্দ্র ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। দুই উপজেলার উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেন দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তারা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, সুষ্ঠু ও স্বতস্ফূর্তভাবে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইলে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা এনজিও বিষয়ক মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোছা: নাজমা বেগম, উপলদ্ধি’র মো. শরীফ উদ্দিন, কমিউনিটি ডেভেল্পমেন্ট এসোসিয়েশন সিডিএ’ র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, মিতালী’র মোহাম্মদ মাহবুব খান, সুকের প্রতিনিধি মো. সাদেকুর রহমান, ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ। বর্তমানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে ‘জিরো হোম ডেলিভারি’ নিশ্চিতকরণ। সঠিক সময়ে জন্মনিবন্ধনকরণ, কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রয়, বাল্যবিয়ে ও মাদক প্রতিরোধ বিষয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম আপনাদেরকে (এনজিওদেরকে) জোরদার করতে হবে। আর এই কাজটির সফল বাস্তবায়ন করে সরকারকে সহযোগিতা করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৫) ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১২) এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭)।
তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে।
তারা ঢাকার মগবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সৈয়দ মোবারক হোসেন ইতালির সাবুনা শহরে ব্যবসা করতেন। সেখানে ৪টি কসমেটিক দোকান পরিচালনা করতেন। তার বড় মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর ইস্পাহানী স্কুলে এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ মগবাজারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার তাদের গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা লাশ হয়ে একে একে এ্যাম্বুলেন্স করে গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে ফিরলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মগবাজারে থাকতেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে বেইলী রোডে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়া ভবনটিতে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আসার পর বাদ আসর খন্দকার মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। তাদের মৃত্যুর খবরে শাহবাজপুর ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার। পরিবারের সবাই ভিসাও হয়েছিল। চলতি মাসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুরো পরিবার আর ইতালিতে পাড়ি জমানো হলো না। সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
নিহত মোবারকের খালাতো ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মোবারক প্রথমে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইতালি পাড়ি দেন। তার দেশে আসা যাওয়া ছিল। গত দেড় মাস আগে প্রায় দুই বছর পর ইতালি থেকে দেশে ফিরেন মোবারক। স্ত্রী-সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন। আগামী ২০ মার্চ ইতালিতে যাওয়ার দিন নির্ধারিত করেছি।
নিহত মোবারের স্বজন মো. ফয়সাল বলেন, ইতালিতে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। ভিসাও হয়েছিল। পরিবারের সকলে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন অপূরণীয় রয়ে গেলো। ওই পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
নিহত সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের শ্বশুর একই গ্রামের মুন্সী বাহার উদ্দিন জানান, তার মেয়ের জামাই মোবারক ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। তার মেয়ে স্বপ্না আক্তার, দুই নাতনি সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর এবং একমাত্র নাতি সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রাতের খাবার খেতে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সবাই পুড়ে মারা গেছেন। পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধে বিভিন্ন ধরনের ৯৯টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১২টি পল, ৮টি চল, ৪টি বর্শা, ৩৪টি বাঁশের কঞ্চি (মাথা সুচালো) ও ৪১টি লাঠি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, উপজেলায় মাঝে মধ্যে ছোট-খাটো ঝগড়া হয়। অনেক সময় সামান্য মারামারির ঘটনা দাঙ্গায় রূপ নেয়।
দাঙ্গা-ফ্যাসাদে কোন মানুষ যাতে হতাহত না হয়, উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে ভালো থাকে সেজন্য পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ৯৯ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনস্বার্থে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।