অনলাইন ডেস্ক :
জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের স্বপ্ন ছায়া কমিউনিটি সেন্টারের মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জয়পুরহাট সদর শাখা আয়োজনে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে ২২ জন শিক্ষক অবসর নেন। এসব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তাদেরকে ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৃপ্তি কণা মন্ডল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিম উল ফারুক ডলার, আইন সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জয়পুরহাট সদর শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ গনি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ৯ মার্চ রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের মেইন গেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে একটার পর একটা ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পাইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষকের পরিপূর্ণ শাস্তি কার্যকর করতে পারেনি। এটা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, কেয়া সরকার, মেজবাহুল হক মেজবা, প্লাবনী সরকার, মোজাহিদ হোসেন মিথুন, আউয়াল সরকার রাব্বি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড চালু করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একাডেমিক কার্যক্রম চালুর পর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আগে কখনো শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিকভাবে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলা ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরাও।
২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৩৩টি বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ৭১ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ ২০ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও চেক বিতরণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে আজকের এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ তারা পরবর্তী জীবনে যেখানেই থাকুক, তাদের সিভিতে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়টা উল্লেখ করতে পারবে। যা তাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। ফলে সকল শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্যেও এটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ার ধুনটে জুয়ার আসর থেকে দু’জন প্রধান শিক্ষক ও একজন অ্যাডভোকেটসহ গ্রেফতার ১১ জনকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকালে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে জুয়ার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার জুয়াড়িরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামির উদ্দিন, গোপালপুর খাদুলী গ্রামের মৃত সামাদ মুন্সির ছেলে রান্ডিলা আতাউল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, খাদুলি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, একই গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম, কাশিয়াহাটা গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, পীরহাটি গ্রামের মৃত আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে তোতা মিয়া, ধেরুয়াহাটি গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আল আমিন, মনছের আলীর ছেলে রতন সরকার, অলোয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে সোহেল রানা, গোপালনগর ইউনিয়নের দেউরিয়া গ্রামের ডাক্তার শফিকুল ইসলামের ছেলে বগুড়া জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মোমিন ও বগুড়া সদর থানার নারুলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে বাবুল আক্তার।
ধুনট থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় খবর পাওয়া যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ইমন শেখের বাড়ির চৌচালা ঘরে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে দুইজন প্রধান শিক্ষক ও একজন আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার ১১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। আসর থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম তিন সেট তাস, কালো কাপড় ও নগদ ৪৪ হাজার ৫২০ টাকা জব্দ করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, গ্রেফতারকৃত জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় শারমিন বেগম (৫০) নামে এক নারীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আটক ফারহান রনি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শারমিন বেগম মেয়ে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি গ্রাস করতে চাওয়ায় হত্যা করেছে বলে দাবি রনির। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূইয়ার রহিমপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শারমিন বেগমের মাথাবিহীন আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিচ্ছিন্ন করা মাথা উদ্ধার করা হয় পাশের একটি পুকুরের কাছে জমি থেকে। মাথাটিও গর্তে পুঁতে রাখা হয়। ঘাতকের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
ওই দিনই শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে ফারহান রনি (৩০) কে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শারমিন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার ফারহান রনিকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শারমিন বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম গত ৪০ বছর ধরে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার হীরাপুর গ্রামের একটি জায়গায় মাটির ঘর করে বসবাস করতো। আগে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বাড়ির কাজকর্ম করতো। এখন ভিক্ষাবৃত্তি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করে। তাদের তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে সন্তান নাই। মঙ্গলবার রাতেও শারমিন বেগম ঘরেই ছিল। ভোরে পুলিশের হাতে আটক ফারহান রনি তার মা অসুস্থ বলে শারমিন বেগমকে ডেকে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ‘ফারহান মাদকাসক্ত। একই সাথে সে চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িত। পরিবারও তার জ্বালায় অতিষ্ঠ। গত কয়দিন ধরে ফারহানের পিতা যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূইয়া বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।’
নিহত শারমিন বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে গাঁও করতে (ভিক্ষা) যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী ঘরেই ছিল। বিকালে ফিরে শুনি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। কেন হত্যা করেছে কিছু বুঝতে পারছি না।’
এদিকে, মামলার বাদী রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘রনি হাঁস চুরি করে রান্না করে দিতে বলেছিল তার মাকে। হাঁস রান্না করে না দেওয়ায় মাকে হত্যা করেছে রনি।’
আজ বুধবার সকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আটক ফারহান রনি প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছে শারমিন বেগম তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।