চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে মসুর ডাল আমদানি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ভারত থেকে মসুর ডাল বোঝাই একটি ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই ট্রাকে ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে বলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই ডাল আমদানীর সিএন্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো: আক্তার হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে ২টায় প্রথমবারের মত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মসুর ডাল আমদানী হয়েছে। ভারতের এমটিই নামে এক রফতানী কারক প্রতিষ্ঠান এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ডাল রফতানী করেছে। আমদানী করেছে রাজধানী ঢাকার এশিয়ান ট্রেড ইন্টান্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, প্রতি টন মসুর ডালের আমদানী মূল্য ধরা হয়েছে ৯০০ ডলার।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ভারত থেকে ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মসুর ডাল আমদানির বিষয়ের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সড়ক বাজারের আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিক্রি হয়েছে আড়াই কেজি ওজনের মুলা। সাদা রঙের এই মুলাটির উচ্চতা আড়াইফুট, ব্যস চার ইঞ্চি।
দুপুরে সড়ক বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবুল সাহার কাছ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে ৯০ টাকায় মুলাটি কিনেন আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের বাসিন্দা মোঃ ইয়াছিন চৌধুরী। তার বাসায় মুলাটা আনার পর অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ইয়াছিন চৌধুরীর বাসায় যান মুলাটি দেখতে।
অতোবড় মুলা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক হয়েছেন। বাসায় আনার পর ইয়াছিন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও অবাক হন। এর আগে কখনো এত বড় মুলা দেখেননি তারা।
মোঃ ইয়াছিন চৌধুরী জানান, শনিবার দুপুরে তিনি সড়ক বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবুল সাহার কাছ থেকে মুলাটি কিনেছেন। এতো বড় মুলা দেখে তিনি লোভ সামলাতে পারেননি। তাই ৩৫ টাকা কেজি দরে আড়াই কেজি ওজনের মুলাটি ৯০ টাকা দিয়ে মুলাটি কিনে আনেন।
সবজি ব্যবসায়ি বাবুল সাহা জানান, তাহের মিয়া নামে একজন আড়ৎদারের কাছ থেকে তিনি বেশ কয়েকটি বড় মুলা আনেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই দেড় ও দুই কেজি ওজনের। সবচেয়ে বড় মুলাটি ছিলো আড়াই কেজির বেশি। এত বড় মুলা দেখে অনেকেই তার দোকানে আসেন ও খোঁজ নেন কোথা থেকে আনা। তিনি জানান, মূলত নরসিংদী জেলা থেকে এসব মুলা আখাউড়ার বাজারে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতি বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষ সব ক্ষমতার উৎস।
গণতান্ত্রিক ধারায় তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি তাদের সময়ে নির্বাচন করত ভোটারবিহীন হ্যাঁ-না ভোটে। বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার চানপুর খেলার মাঠে নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, তারা দেশকে কতটা ভালোবাসে। পরে তিনি সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দুইজনকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আটককৃতরা হলেন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি ইসলাম (২৮) ও একই এলাকার মৃত শহীদুল ইসলামের মেয়ে মোছা. সুমী বেগম (৩৩)। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন বলে জানা গেছে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ফকিরমোড়া বিওপির হীরাপুর এলাকা থেকে বাংলাদেশি দুই নাগরিককে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ভারতের দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য যেতে চাচ্ছিলেন।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালী-ঢাকা পথে চলাচলকারী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়ায় আসার পর একটি যন্ত্র (কাপলিং) ভেঙে যায়। মেরামত শেষে প্রায় ২০ মিনিট পর ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবামূলক ফেসবুক গ্রুপ ও এর সাথে জড়িত একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এসময় সংশ্লিষ্টরা ‘ঠ’ ও ‘ড’ বগির মাঝের কাপলিং ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে যান্ত্রিক বিভাগের লোকজন এসে এটি মেরামত করেন। পরে ৯টা ৪৩ মিনিটে আখাউড়া ছেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ট্রেনটি এক ঘণ্টা পর যাত্রা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দিনব্যাপী স্কুল প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পিড়িতের তাবিজ লাগবে গো তাবিজ’, বেদের মেয়ের সাজে এক শিক্ষার্থীর এমন হাঁক শুনে হাসিতে ভেঙ্গে পড়েন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহিসহ অতিথিরা। দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে লজ্জায় ইউএনও ‘না’ বোধক ইঙ্গিত করেন তিনি। তবে, এসময় পাশে দাঁড়ানো উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু হাসতে হাসতে বলেন- লাগবে লাগবে। সাথে সাথে আরেক দফা হাসির রুল উঠে। পরে হাত বাড়িয়ে বেদের মেয়ের কাছ থেকে তাবিজ (!) নেন ইউএনও।
আখাউড়া উজেলার অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। রং বেরংয়ের পোষাক ও বাহারি সাজ আর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে পিড়িতের তাবিজ ফেরি করে সবাইকে চমকে দেয় ওই শিক্ষার্থী। সকালে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুল মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বিভিন্ন খেলাধুলা, যেমন মানায় তেমন সাজোসহ শিক্ষা ও সচেতনতামূলক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, মিউজিকেল চেয়ার, রশি লাফ খেলাধুলায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ ও ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় অভিনয় করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ এবং ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শেষে এক শিক্ষার্থীর গানের সাথে গলা মেলান ইউএনও গাজালা পারভিন রুহি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খোরশেদ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফকরুল আলম হানিফ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ বোরহান উদ্দিন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, বিএনপি নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ খান, আবুল ফারুক বকুল, জালাল উদ্দিন জালাল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।