অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অপরাধে গ্রেফতারের আশঙ্কায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি পরিকল্পিত সফর বাতিল করেছেন ইসরায়েলের প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলি। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
কান নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এতে উল্লেখ করেছে, প্যালেস্টাইনপন্থী ও ইসরায়েল-বিরোধী দলগুলি তার গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা চাইবে এমন আশঙ্কায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সফর বাতিল করেছেন অ্যামিচাই চিকলি।
প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ণ সতর্কতার আলোকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমিচাই চিকলির সফর বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন চিকলি দেশটিতে থাকাকালীন কূটনৈতিক নিরাপত্তা পাবেন না। কারণ তার এই সফর সরকারি সফর না। এরপরই চিকলির সফর বাতিল করা হয়।
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি সেনা ও সরকারি কর্মকর্তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে গ্রেফতারের আতঙ্কে রয়েছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের আশঙ্কায় গাজা উপত্যকায় অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রায় ৩০ জন সেনা ও কর্মকর্তাকে বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেশটি। শুধু তাই নয়, ব্রাজিল ও শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে গিয়ে পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল দুই ইসরায়েলি সেনাকে। সাইপ্রাস, স্লোভেনিয়া, নেদারল্যান্ডস ভ্রমণকালে আরো কিছু সেনাকে দেশে ফিরতে বলা হয়।
ডেস্ক :
যদি আপনার কাছে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেয়েরা কোন দেশের। তবে শেষ পর্যন্ত অল্প যে কয়টি দেশের মেয়েদের চেহারা ভেসে আসবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরবেন নিশ্চয়ই তুরস্কের মেয়েদের। হ্যাঁ, আসলেই তারা অনিন্দ্য সুন্দর। দেশটির মারিয়াম ওজরেলি, হান্দে আর্সেল ও হাজেল কায়ার মত অভিনেত্রীদের পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর নারী হিসেবে গণ্য করা হয়। শুধু দেশটির নায়িকাই নয়, সাধারণ মেয়েরাও একেকজন অনিন্দ্য সুন্দর। তাদের চুল, চোখ, ত্বক, বডি শেপ সবমিলিয়ে তারা এতই সুন্দর যে, যে কোনো অবস্থাতেই তারা আবেদনময়ী। তারা কি জন্মগতভাবেই এত সুন্দর নাকি এ পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য? তুরস্কের মেয়েরা এত সুন্দর হয় কেন? সৌন্দর্য ধরে রাখতে কি কি পন্থাই বা অবলম্বন করে- এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন এবি। তাদের সৌন্দর্যের রহস্য উদঘাটনও করেছে তারা। এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে ম্যাগজিনটিতে।
ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুর্কি মেয়েদের সাধারণ রূপচর্চার পাশাপাশি কিছু সিক্রেটও আছে যার বদৌলতে তারা এত সুন্দর। তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যে পরিস্কার ত্বকের মধ্যে রোদের মত সোনালী আভা দেখা যায়। দেশটির কৃষ্ণসাগর তীর অঞ্চলের মেয়েদের পরিস্কার ত্বকের পাশাপাশি সোনালী কিংবা বাদামী রঙের চুল দেখা যায় যা তাদেরকে অনিন্দ্য সুন্দর মেয়ে হিসেবে আলাদাভাবে দাঁড় করায়। তাছাড়া কালো চোখের পাশাপাশি সবুজ ও নীল রঙের চোখ সবার দৃষ্টি কাড়ে। অন্যদিকে, ইস্তাম্বুল ও ইজমীরের মেয়েদের মধ্যে বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য দেখা যায় এবং আনাতোলিয়া প্রদেশের মেয়েদের গায়ের রং থাকে কিছুটা ডার্ক তবে তাদের গড়ন ও চুলের সৌন্দর্য হয় নজরকাড়া।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মেয়েদের মত তুর্কি মেয়েরাও রূপচর্চা করে থাকে। নিজেদের ন্যাচারাল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপ করে থাকে তারা। তবে খুব ভারী মেকআপ করতে খুব একটা অভ্যন্ত নয় তারা। সাধারণত মিনিমাম ও ন্যাচারাল ত্বক ফুটিয়ে তুলতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তারা। এজন্য বেশিরভাগ অনুষ্ঠানের জন্য তুর্কি মেয়েরা সামান্য মাশকারা, আইলাইনার ও ব্রাশ ব্যবহার করে। তবে একমাত্র জন্মদিনের মত অনুষ্ঠানে অনেক সময় ভারী মেকআপ করে তারা।
তুরস্কের মেয়েরা চুলকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সুস্থ, সুন্দর ঢেউখেলানো চুলের জন্য তারা বিখ্যাত। অধিকাংশ মেয়ে চুলের যত্নে স্যালুনে যাতায়াত করে। পোশাক-পরিচ্ছেদের ব্যাপারে তার্কিশ মেয়েরা বেশ অভিজাত। সাধারণত ক্যাজুয়াল ও শালীন পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তারা। এছাড়া নেকলেস ও ইয়ারিংয়ের মত গয়নাও তাদের কাছে অনেক প্রিয়।
এসব সাধারণ অভ্যাসের পাশাপাশি তুরস্কের মেয়েদের সৌন্দর্যের আরও কিছু গোপন রহস্য আছে। এর মাঝে গোলাপজল অন্যতম। তুর্কি মেয়েরা ক্লিনজার হিসেবে গোলাপজল ব্যবহার করে থাকে। প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বক থেকে ময়লা ও তেল দূর করার পাশাপাশি পিচ ভারসাম্য ফিরে আনে। একই সঙ্গে ত্বক রাখে সতেজ ও সজীব। গোলাপজল সাধারণত দোকানে পাওয়া যায়। তবে অনেক তার্কিশ মেয়েরা তাদের নিজস্ব রেসিপিতে বাসায় গোলাপজল তৈরি করে থাকে।
তুর্কি মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি গোপন রহস্য হচ্ছে সুগারিং। এটি মূলত প্রাচীন মিসরের রূপচর্চার একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা মূলত শরীরের অবাঞ্চিত লোম দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি খুব সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই তৈরি করা যায়। তুরস্কের মেয়েরা নিয়মিতই এই রিমুভাল সুগারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
দেশটির মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি কারণ হচ্ছে হাম্মাম বা তার্কিশ বাথ। বিশেষ পদ্ধতির এই গোসল তুরস্কে অনেক জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে দেহ ও মনের সজীবতা পায় তুর্কি মেয়েরা।
তুরস্কের মেয়েদের অন্যতম একটি সৌন্দর্য চর্চার উপায় হচ্ছে হ্যাজাল নাট অয়েল। এটি একধরণে বাদাম তেল, যা মূলত তুরস্কেই উৎপন্ন হয় বেশি। ভিটামিন ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এই তেল নিজেদের রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকে তুর্কি মেয়েরা।
তুরস্কের মেয়েদের ডায়েট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে সুস্থ থাকার পাশাপাশি সৌন্দর্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তারা। সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
নিকট ভবিষ্যতে পাসপোর্ট ছাড়াই সৌদি আরবে যাওয়া যাবে। পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে এরই মধ্য ডিজিটাল নথি তৈরি করেছে দেশটি।
খবর অনুসারে, সৌদি আরবের পাসপোর্ট বিভাগের জেনারেল ডাইরেক্টরেট রিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ ২০২৪ সম্মেলনে সৌদি আরবে আগত দর্শনার্থীদের সামনে ডিজিটাল নথিটি প্রদর্শন করছেন। এই ডিজিটাল ডকুমেন্ট সার্ভিস সৌদি নাগরিক, বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীসহ সুবিধাভোগীদের দেওয়া ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিগত সমাধানগুলোর একটি। এর আওতায় থাকা ব্যক্তিরা সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ পরিষেবাগুলো পাবেন।
মূলত পরিষেবাটির লক্ষ্য হলো- একটি ইউনিফাইড নম্বর দেওয়ার মাধ্যমে দর্শনার্থীদের সৌদি আরবে আগমন প্রক্রিয়া সহজতর করা। দর্শনার্থী বা ভ্রমণকারীরা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অ্যাবশার’ ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা নিজেদের ডিজিটাল পরিচয় বা ইউনিফাইড নম্বর বের করার সুযোগ পাবেন।
এই ডিজিটাল পাসপোর্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে থাকবে। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারী দেশটির কোথায় অবস্থান করছেন তাও জানা যাবে। ফলে কোনো কাগুজে পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না।
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সম্মেলন লিপ ইয়ার ২০২৪-এ সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) গুরুত্ব তুলে ধরে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা, ভিড় ব্যবস্থাপনা, মানব ও পরিবেশগত নিরাপত্তা, বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানগুলোকে উন্নত করার পাশাপাশি সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ পূরণ করা।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য আনোয়ারুল হক কাকারকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের (এনএন) বিদায়ী বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বেলুচিস্তান প্রদেশের সিনেটর কাকারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করার পর বহুল প্রত্যাশিত এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আনোয়ারুল হক কাকারকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শনিবার শেহবাজ শরিফের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন রাজা রিয়াজ।
রাজা রিয়াজ বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, ছোট কোনও প্রদেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। বেলুচিস্তানের সিনেটের আনোয়ারুল হক কাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির বিরোধী দলীয় এই নেতা বলেন, ‘আমি তার নাম দিয়েছিলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন… আমি এবং প্রধানমন্ত্রী সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছি।’
আগামীকাল ১৩ আগস্ট রবিবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকার শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন রাজা রিয়াজ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে গত ৯ আগস্ট রাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ভেঙে দেওয়ার দিন থেকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। তবে জাতীয় পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সাধারণ নির্বাচন ৬০ দিনের মধ্যে করার বিধান আছে।
এর আগে, দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজকে ১২ আগস্ট শনিবার এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ‘যোগ্য ব্যক্তির’ নাম সুপারিশ করার পরামর্শ দেন।
প্রেসিডেন্টের এই চিঠি পাওয়ার পর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে কাকারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এবং রিয়াজের কাছে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট জানান, সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করার বিধান রয়েছে।
সূত্র: ডন, জিও নিউজ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ২৯ মে হঠাৎ করেই ট্রাম্প প্রশাসনে দায়িত্ব পালনের ইতি টানেন মাস্ক। বিদায় বেলায় তাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইলন মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে থাকা অবস্থায় নিয়মিতভাবে কেটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুম সেবন করতেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাস্কের মাদক গ্রহণের মাত্রা এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, সেটি তার মূত্রথলির সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জানা যায়, তিনি প্রায় প্রতিদিনই কেটামিন সেবন করতেন এবং প্রায় ২০টি ওষুধের একটি বাক্স সব সময় সাথে রাখতেন। ওই বাক্সে অ্যাডেরলের মতো উত্তেজক ওষুধের অস্তিত্বও ছিল।
একটি ছবিতে দেখা যায়, ওষুধের বাক্সটিতে অ্যাডেরল চিহ্নিত বড়ি ছিল। মাস্ক অবশ্য দাবি করেন, তার কেটামিন সেবন চিকিৎসকের পরামর্শে হতাশা দূর করার জন্য এবং সেটি তিনি প্রতি দুই সপ্তাহে একবার গ্রহণ করতেন।
২০২৩ সালের বসন্ত নাগাদ তার কেটামিন সেবনের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মাস্ক তখন ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেন এবং প্রচারণায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার দান করেন। একই সময় তিনি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)’ নামে একটি বিশেষ প্রশাসনিক ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব পান।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মাস্ক হোয়াইট হাউসে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। বাজেট ও আমলাতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসে তার ভূমিকা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস তার মাদক সেবনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কিংবা তাকে ড্রাগ টেস্টে অংশ নিতে বলেছে কি না, তাও জানা যায়নি।
মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সেখানে কর্মীদের জন্য মাদকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। কর্মীদের ওপর ড্রাগ টেস্ট চালালেও মাস্ক আগেভাগেই সে বিষয়ে সতর্কবার্তা পেয়ে যেতেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে মাস্কের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনও উঠে এসেছে। বলা হয়, তিনি একাধিক নারী সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক এবং সন্তানদের নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন। তার প্রাক্তন সঙ্গিনী গায়িকা গ্রাইমস তাদের সন্তানকে নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, শিশুটিকে জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়া তাদের চুক্তিভিত্তিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে এবং শিশুটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
এক নারী লেখক অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ারও দাবি করেছেন, মাস্কের সাথে গোপন সম্পর্কে তার একটি সন্তান হয়েছে এবং মাস্ক চাইছিলেন বিষয়টি গোপন রাখতে। পরে মাস্ক তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলা বন্ধ করতে আদালতে গ্যাগ অর্ডার চেয়ে আবেদন করেন।
মাস্কের আচরণ নিয়ে দীর্ঘদিনের কিছু বন্ধু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিউরোসায়েন্টিস্ট এবং এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফিলিপ লো বলেন, ইলন তার খারাপ আচরণের সীমা ক্রমাগত অতিক্রম করে চলেছে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। আজ ৫ জুলাই শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে ভোটে লড়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। এদিকে আরেক বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপসানার সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।