চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।
আলোচনা সভা, কেক কাটা, মিলাদ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় মহিলা সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ১৭ মার্চ শুক্রবার হওয়ায় ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় মহিলা সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মিসেস মিনারা আলম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম, মাঠ সমন্বয়কারী আব্দুল মতিন মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাজমুন নাহার অপরূপা, সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাহফুজা বেগম, শ্রম সম্পাদিকা নাসিমা কাইয়ূম, নারীনেত্রী শিশির হাওলাদার, মনোয়ারা বেগম, জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণার্থী সাদিয়া সুলতানা, পাপিয়া সুলতানা পলাশী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মিসেস মিনারা আলম বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া শিশু খোকা ওরফে শেখ মুজিবুর রহমান শিশুকাল থেকেই মানুষের প্রতি দরদি ছিলেন। তিনি ছিলেন অসহায় মানুষের বন্ধু। রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পর সচেতন বাঙ্গালিরা তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে পশ্চিম পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশ নামে স্বাধীন হতোনা। এ দেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় দিতে পারছি। বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বুক ফুলিয়ে চলতে পারছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত রাষ্ট্র হতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় ঘটিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ দোয়া এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা কেক কাটা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক ইত্তেফাকের ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথিছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা,খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান, দীপক চৌধুরী, সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন বিপু, আশিকুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, ইত্তেফাকের সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি জুলকার নাইন ও ইত্তেফাকের বিজয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াদুল হক । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে দৈনিক ইত্তেফাকের ভূমিকা ছিল অপরিসিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা (সদস্য) কোনো দলীয় প্রার্থী ছিলেননা- এমন দাবি করে পরিষদ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে হওয়া এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সংস্থা (বাইসস) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইউপি সদস্য মোহাস্মদ রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ শাহীন, রাবিহার বেগম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা। আমরা দলীয় প্রার্থী ছিলাম না। ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করা হলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করবো জনভোগান্তি যেন না হয় সে চিন্তা করে ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৩৫) বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার দুপুরে মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বি-বাড়িয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (ইনচার্জ) এসআই মো. হাতেম আলী ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা দিকে ক্ষুদ্র বি-বাড়িয়া নামক এলাকার রেললাইনে অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করবে বলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া ফসলি জমির মাঠে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক হলেন মো. সবুজ মিয়া (আকরাম) (১৫)।
তিনি মাধবপুর উপজেলা ধর্মকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শিয়ালরি গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ইসলামাবাদ গোগদ এলাকার ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সবুজ। প্রতিদিনের মতো সোমবার উচালিয়াপাড়া ফসলি জমির মাঠে (মুইনার) এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার সময় পাড় ভেঙ্গে মাটি ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সবুজকে তারা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সরাইল থানা পরিদর্শক তদন্ত আ. স. ম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রেজারে মাটি চাপায় মৃত্যু হতে পারে। নিহত শ্রমিক সবুজের নানার বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।