অনলাইন ডেস্ক :
পরিবারের সুখশান্তি ও উন্নত জীবণের আশায় স্ত্রী সন্তান ও মা-বাবাকে ছেড়ে মাত্র ৫ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামের মাসুক মিয়া। প্রবাসে চাকরি করে ভালই কাটছিল তার জীবণ পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ করে দিল মাসুকের। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ২০ দিন পর গতকাল সোমবার বিকালে মাসুক মিয়া লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলো । লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তানসহ আত্বীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নিহত মাসুক মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। নিহত মাসুকের স্ত্রী ও আফনান নামে দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, মাসুক মিয়া মাত্র ৫ মাস পুর্বে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যান। ভালই চলছিল তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবাস জীবণ। গত ৭ জানুয়ারী সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুক। মাসুকের মৃত্যুর পর সন্তানের লাশ দেখতে পাবেন কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় পড়েন অসহায় পিতা-মাতা।
অবশেষে মৃত্যুর ২০দিন পর প্রবাসে তার সহকর্মী একই গ্রামের মাহমুদুর রহমান রুবেল সৌদির দূতাবাসের সহযোগিতায় লাশ নিয়ে দেশে আসেন। সোমবার ভোর রাতে লাশ পৌছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখান থেকে অসহায় পরিবারের পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামাল হোসেন লাশ গ্রহন করে বাড়ি নিয়ে আসেন। বিকেলে লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা ও আত্বীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ আতাস ভারি হয়ে উঠে।
কামাল হোসেন জানান, অসহায় পিতা-মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে মাসুক মারা যান।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েতে রবিবার ,১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পেশাল মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডে যোগ দেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি, পাশাপাশি স্পেশাল মার্শাল হিসেবে পুরো প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্যারেড উদ্বোধনকালে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বাংলাদেশ সোসাইটি ও এর নেতাদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি এই পুরো আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এ ছাড়া ছিল হিউম্যানিটি এম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস। প্যারেডে ফ্লোট লাইনআপে ছিল ফুল ট্রাক, পিকআপ ট্রাক ও এক্সোটিক কার। প্যারেডে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকেই পরেন বাঙালি পোশাক শাড়ি আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি। নারীদের অনেকেই সাজেন বাহারি সাজে, মাথায় ছিল ফুল, অনেকে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে পট্টি বাঁধেন, পতাকা হাতে ছিল অনেকেরই। খুবই বড় পতাকা ছিল তিন থেকে চারটি। মাঝারি ও বড় পতাকাও নিয়ে আসেন অনেকেই। প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গান, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রাকে বাজতে থাকে বাংলাদেশের গান, বৈশাখের গান। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জ্যাকসন হাইটসে তৈরি হয় বাংলাদেশের পুরো পরিবেশ।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৮৭ স্ট্রিট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ৬৯ স্ট্রিটের মঞ্চে আয়োজকেরা বক্তৃতা করেন। প্যারেড শেষে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সব জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বাজে তাকদুম তাকদুম বাজে, আজ এলরে এল বৈশাখ। বাংলাদেশ ডে প্যারেড করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা অনেক খুশি। আয়োজকেরাও এ ধরনের অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারায় খুশি ও সন্তুষ্ট।
প্যারেডের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পী নওশীন, রিচি সোলায়মান, এহসান মিলন, নাদিয়া লিখন, জায়েদ খান, প্রতীক হাসান, নোভা, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ প্রবাসের অনেক খ্যাতনামা শিল্পী। প্যারেডে ৬৫টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়। এ ছাড়া প্যারেডে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের স্টাফদের একাংশ মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশারের নেতৃত্বে অংশ নেন। তারা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানান। ছিল নিউইয়র্ক সিটির অশ্বারোহী বাহিনীর সদস্য, পুলিশের গাড়ি, এনওয়াইপিডির ব্যান্ড দল, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাপা, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ফায়ার, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন, নিউইয়র্ক সিটির পোস্ট অফিসে কর্মরত সংগঠনসহ নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্যারেডে আরও অংশ নেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেনিফার রাজকুমার,জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনিটির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ প্যারেডে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন জেলা ও কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন অংশ নেয়। এতে মুলধারার দ্যা ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার মানিক,সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,সদস্য ফাহাদ সোলাইমান ও সদস্য সিমন মানিকসহ অনেকেই অংশ নিয়েছে । অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্যারেডে অংশ নেওয়া মানুষেরা প্যারেড শুরুর মঞ্চে আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে র্যালি শুরু হয়। শেষ হয় দুইটার দিকে। ৩৭ অ্যাভিনিউ ৬৯ থেকে প্যারেড শুরু হয় আর শেষ হয় ৮৭ স্ট্রিটে। প্রথমে প্যারেড করে সবাই ৮৭ স্ট্রিটে পৌঁছান। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত। প্যারেড শুরুর আগে ৬৯ স্ট্রিটকে সমাবেশস্থল ধরা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বাজানো হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গান। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, মেয়র অফিসের প্রধান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গ্র্যান্ড মার্শাল শাহ নেওয়াজ, রানো নেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, আজিমুর রহমান বুরহান, জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলি জোহরান মামদানি, জেসিকা গঞ্জালেস, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ড, ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমদ, মুশরাত শাহীন অনুভা, নুরুল আজিম, শাহ জে চৌধুরী, শাহজাদী পারভিন সারাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সোসাইটির সূত্র জানায়, প্যারেডে অংশ নেয় ৬৫টিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন। বাংলাদেশ ডে প্যারেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান সেলিম, চিফ অ্যাডভাইজর গিয়াস আহমেদ, কনভেনর মোহাম্মদ আলী, মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এফইএমডি রকি, চিফ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জে মোল্লা সানি, চিফ কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিব, চিফ ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্যারেডের কো-চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কাজী আজম, নুরুল আজিম, হারুন ভুঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, শাহ শহীদুল হক, তরিকুল ইসলাম বাদল, কো-কনভেনর শাকিল মিয়া, শাহ জে. চৌধুরী, তারেক হোসেন খান, নুর আমিন ও আখতার হোসেন।
এদিকে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য আমি আয়োজকদেরকে ধনবাদ জানাচ্ছি। মেয়রকে স্পেশাল মার্শালের উত্তরীয় পরিয়ে দেন গিয়াস আহমেদ।
প্যারেডে আরও অংশ নেয় বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, এস্টোরিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি, প্রবাসী নরসিংদী জেলা অ্যাসোসিয়েশন, পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী মতলব জেলা অ্যাসোসিয়শন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি, সেফ, এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন ও প্যারেডকে সফল করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মেয়র এরিক অ্যাডামস, মীর বাশারসহ সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৬৫টি সংগঠনের নেতারা এসেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মাদার সংগঠন। এই সংগঠনকে সবার সহায়তা করা উচিত ।
আরিফুর রহমান আরিফ ২০ জানুয়ারি সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ শুরু। আরিফুর রহমান আরিফ আশা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বের সকল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করবেন। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপর সকল ভ্যাট ও টাক্স পরিহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য এক মাইলফলক স্থাপন করবেন। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণের এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিশ্বে মানবতার কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল আল্লাহর/ স্রষ্ঠার সৃষ্টি সকল মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি লক্ষ্যে সকলে একসাথে কাজ করলে আল্লাহ রহমতে বিশ্ব শান্তি বয়ে আনবে। পরিশেষে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ব নেতাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Brahmanbaria2usa.com এর সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুর রহমান আরিফ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি