অনলাইন ডেস্ক :
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসনে হোয়াইট হাউস মিডিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার থেকে প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি—যেমন পডকাস্টার, ব্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদেরও সংবাদ ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। গতকাল নিজের প্রথম সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ২৭ বছর বয়সী কনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ জনগোষ্ঠী এখন প্রচলিত টেলিভিশন এবং পত্রিকার পরিবর্তে পডকাস্ট, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ গ্রহণ করছে। এই পরিবর্তনকে বিবেচনায় রেখে হোয়াইট হাউসের বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
তিনি আরো জানান, ব্রিফিং রুমে ‘নিউ মিডিয়া আসন’ নামে একটি নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউসের প্রচলিত প্রেস স্টাফের আসন থাকত। এখন থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি এই আসনগুলোতে বসবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে বাতিল হওয়া ৪৪০টি প্রেস পাস পুনর্বহাল করবে বলে জানিয়েছে। একই সাথে, হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট (whitehouse.gov/newmedia) থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্রেস ক্রেডেনশিয়াল আবেদন করতে পারবেন।
ক্যারোলিন লেভিট আরো জানান, আমাদের লক্ষ্য, বৈধ সংবাদ তৈরির কাজ যারা করেন, তাদের জন্য মাধ্যম নির্বিশেষে সমান সুযোগ তৈরি করা। হোক সেটা টিকটকের ভিডিও, ব্লগ বা পডকাস্ট। যদি সংবাদবিষয়ক কনটেন্ট হয়, তবে সবাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রথম প্রশ্নটি তিনি কনজারভেটিভ সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একজন প্রতিনিধিকে করার সুযোগ দেন, যা প্রচলিত ধারা থেকে একটি নতুন পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে তাদের জায়গা পাবে।
লেভিট বলেন, আমরা প্রথম সংশোধনী (First Amendment) রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটি নিশ্চিত করা হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বৈধ সংবাদমাধ্যম হোয়াইট হাউসে প্রতিনিধিত্ব পায়।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান ডিজিটাল যুগের সংবাদ গ্রহণের ধরনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী এবং স্বাধীন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সুযোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বাইরেও নতুন মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার দ্বার খুলে দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে।
আজ ১৩ অক্টোবর রবিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। তাঁবু বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এ কারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে, যা হজযাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে।
সে কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
নথিপত্রহীন অভিবাসীদের আটকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ বাংলাদেশিকে। অভিবাসী ধরপাকড়ে সাঁড়াশি অভিযান স্কুল-গির্জা-হাসপাতালেও চালানো হবে। সংবেদনশীল এই স্থানগুলোতে অভিবাসী আটক কার্যক্রমের ওপর থেকে এক দশকের বেশি সময়ের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে এ সকল স্থানে ধরপাকড়ে আর কোনো বাধা নেই। অভিবাসীরা এ সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাল বিলম্ব করেননি। শপথ নিয়েই শক্ত হাতে অবৈধ অভিবাসী দমন শুরু করেছেন তিনি। ধরপাকড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যে। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এর মধ্যে চার বাংলাদেশি রয়েছে।
নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে ওই চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট-আইস। জানা গেছে, পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। এ ঘটনার পর বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁয় লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে। চরম আতঙ্কে বৈধ কাগজপত্র বিহীন অভিবাসীরা।
এদিকে এখন থেকে স্কুল, গির্জা এমনকি হাসপাতালগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের গ্রেফতার করতে পারবে। আইস এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থাগুলোর ওপর গেলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব স্থানে অভিযান পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করাসহ জারি করা হয় নতুন নির্দেশনা। এতে উল্লেখ করা হয় সংবেদনশীল স্থানগুলোতে যাতে কেউ লুকিয়ে না থাকতে পারে এ জন্য নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়। অপর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় হয়, বৈধ কাগজপত্র না থাকা কেউ গ্রেফতার হলে সেই ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্রে দু’বছরের বেশি সময় ধরে তার অবস্থান প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুতই দেশ থেকে বের করে দিতে পারবে।
এদিকে, সংবেদনশীল স্থানগুলোতে গ্রেফতারের অনুমতি দেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন আইনজীবীরা। সেন্টার ফর ল অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি এক বিবৃতিতে জানায়, এই পদক্ষেপের কারণে অভিবাসীদের পরিবার ও তাদের সন্তানের পাশাপাশি মার্কিন শিশুরাও মারাত্মক মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি।
কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মধ্যপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানে অনড়। তিনি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন। অন্য রক্ষণশীল নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকা থেকে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জয়পুর এলাকার মান্নান মিয়া ছেলে মুন্না মিয়া (২৪) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২১)। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসে। ব্যক্তিগত কাজে তারা বাংলাদেশে আসে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবন ধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি ও বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর পর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা, ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সব কিছু নয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এবং এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।