অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশগ্রহণ করছেন না। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান যোগ দেবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় তারেক রহমান মাকে রেখে কোথাও যেতে চাইছেন না।
এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি। তবে ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে জায়মা রহমানকে পাঠাচ্ছেন।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জায়মা রহমানের ভিসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এ ধরনের বৈশ্বিক কোনো আয়োজনে জায়মা রহমানের প্রথম অংশগ্রহণ।
এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী ও ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। অনুষ্ঠানটি একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার এবং একত্রে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম।
উক্ত ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
সৌদি আরবের মক্কায় ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশন এবং কোবা হজ এজেন্সির মালিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান ও তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের তিনটির এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রী রয়েছেন। এজেন্সি মালিকদের আটকের ফলে হজযাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ১৫ শতাংশ সৌদি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সৌদির একটি ব্যাংক থেকে এই এজেন্সির মালিকরা ৯ লাখ সৌদি মুদ্রা রিয়াল উত্তোলন করেন। এরপর পুলিশের জেরার মুখে কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়লে রিয়ালসহ তাদের আটক করা হয়।
এদিকে হজ ফ্লাইটের প্রথম দিন ভিসা জটিলতায় ও হজ এজেন্সির অবহেলায় ১৪০ জন হজযাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে পারেননি। এরপর তিন এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীর আগামী ১ জুন বিমানের টিকিট নিশ্চিত করা আছে। মালিকদের আটকের কারণে নির্ধারিত তারিখের ন্যূনতম ১০ দিন বিমানের টিকিট পিছিয়ে দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এই বিষয়ে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি হজ এজেন্সির মালিক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সৌদি আরবের পুলিশ তাদের আটক করেছে। তবে হজযাত্রীদের অনিশ্চিয়তার কোনো কারণ নেই। তাদের মালিকদের আটক করায় ১০ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। তাদের হজযাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠায়। ফলে হজযাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, যে কারণে এ আইন করা হয়েছে, তা কেউ বলে না। শুধু বলা হয়- বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়েছে; যা মোটেও সঠিক নয়।
আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক। কারণ, অপরাধীরা সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আইন প্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য সুমন আহমেদ সাবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম, আইসিটিবিষয়ক সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ‘ক্রেডেনশিয়াল হলে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩’ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। প্রতিটি ধর্মেই অনেক ভালো বিষয় আছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব সময় যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ এবং যা নিকৃষ্ট তা বর্জন করারও উপদেশ দেন। ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।’
শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা না করে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
মহামতি বুদ্ধকে মানবতা ও মুক্তির পথিক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ। এই অঞ্চল তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে মহামতি বুদ্ধের শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য।’
মো. সাহাবুদ্দিন একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে গৌতম বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হওয়া, ভালো কাজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে রাষ্ট্রপতি এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বিকাল চারটা থেকে করে প্রায় ঘণ্টাখানেক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় গান ও মিউজিকের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপসংঘরাজ শ্রীমৎ ধর্মপ্রিয় মহাথের, ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং ট্রাস্ট সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনের প্রধান এবং আট শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের রাজৈরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকেরেহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়। পরে রাজৈর উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে এসব দুয়ারী ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে অপূর্ব নামের প্রেরক টেকেরহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কার্তিক নামক প্রাপকের কাছে চায়না দুয়ারীর ২৪ টি প্যাকেট পাঠায়। যাতে ২৪০ পিচ দুয়ারী রয়েছে। যাদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পাবনা থেকে টেকেরহাট বন্দরে চায়না দুয়ারী আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক শুক্রবার দুপুরে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এই বিপুল পরিমাণ দুয়ারী জব্দ করেন্। পরে রাজৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দুয়ারী পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক জানান, এটাই রাজৈর উপজেলার চায়না দুয়ারীর সবচেয়ে বড় চালান ছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি। একইসঙ্গে হারিয়েছি আমার মা এবং ভাইদেরকে। আমার তো হারাবার কিছু নেই! পঁচাত্তর সালের পর; যে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যে বাংলাদেশে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে আমরা দেখেছি, ২০০১ এর পর বা তার আগেও বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমরা (আওয়ামী লীগ) সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি।’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি গোপীবাগে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, যখন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন—যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো, তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে, অস্ত্র তুলে নিয়েই আমাদের এই দেশ স্বাধীন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত উদার মনের। তারা সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। যে কারণেই আমাদের আজকের স্লোগান ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিক এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি। আজকে সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের উপর পূজামণ্ডপ। পূজা সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলবো, আমাদের যতটুকু করার আমরা করেছি। আপনাদের অনেকগুলো দাবি ছিল। আমি কিছু দিন আগেই আপনাদের সঙ্গে বসেছি। অনেক কিছু বিস্তারিত বক্তব্য দিয়েছি। আজকে যেহেতু একটা উৎসবের দিন কাজেই কী দিলাম বা কী করলাম, কী পেলাম, কী পেলাম না সে কথায় আমি যাব না। আমরা এই মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কাজেই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ থাকে, সেই অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা এটুকু চাইবো, আপনারাও আশীর্বাদ করেন বাংলাদেশের জন্য; আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা—এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি, সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। আর মানুষের কল্যাণ করাটাই আমরা মনে করি একমাত্র দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ এর নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, সেটা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ। ইন-শা-ল্লাহ আমরা সেটাও করতে পারব। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এমনকি আমাদের ইসলাম ধর্ম; সুরা কাফেরুনে বলা আছে স্পষ্ট, লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল-ইয়া দ্বীন। অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কাজেই কেউ কারও ওপর হস্তক্ষেপ করবে না। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের সব নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পাশে থাকবে। কোনো রকম অঘটন যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।’