চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পাষন্ড স্বামীর হাতে শেখ তানিয়া বেগম-(৪০) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননী খুন হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। সোমবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নিহতের সন্তান ও স্বজনরা জানান, উজ্জ্বল বিভিন্ন সময় তানিয়ার উপর কোন কারন ছাড়াই মারধর করত। সোমবার রাতে উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে তানিয়ার উপর নির্যাতন চালায়। রাতভর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ।
এ সময় ছেলে- মেয়েরা বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে মঙ্গলবার তানিয়ার বড় মেয়ে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটের মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান।
মাইনুল হাসান গত বৃহস্পতিবার সরাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সহস্রাধিক অনুসারী-সমর্থক মোটর শোভাযাত্রাসহ উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া। আবুল হাসানাতের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা সদরের দুই বাসিন্দা; যারা আবুল হাসানাতে প্রার্থিতার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হয়েছেন। ধানের শীষের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই পুত্র বর্তমানে নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শাহজাহান আলম। এখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মোট ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আমিনপুরের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার লালবাগে। তিনি আগে ভোটার ছিলেন আমিনপুরের। তবে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ার বাসিন্দা হয়েছেন। তবে এখানে তাঁকে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
সদ্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দলত্যাগের আগপর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। ছয়বারের মধ্যে চারবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। পরে সাত্তার টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ৪৩ হাজার ২৬১ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি একাধিকবার এ আসন থেকে বটগাছ এবং ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাপার জিয়াউল হক মৃধার লাঙ্গল প্রতীকের কাছে ৪৯ হাজার ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ৫ নভেম্বর আবারও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে ২৪ হাজার ৪৬৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপজেলায় ইসলামী ঐক্যজোটের অবস্থান এখন খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এলাকার কওমি মাদ্রাসাপন্থী লোকজন একসময় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর অনুসারী ছিলেন। তাঁরাও এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। বড় অংশটি বর্তমান নির্বাচন বিরোধী। এ কারণে এখানে ভোটার টানতে হাসানাত আমিনীকে বেগ পেতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের সরাইল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাকিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে এখানে আমাদের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা আমাদের তুলে নেবেন (জয়ী করবে) বলেছেন।’ তিনি বলেন, সরাইল উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসা আছে। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ মাদ্রাসার লোকজন তাঁদের পক্ষে আছেন।
তবে ইসলামী ঐক্যজোটের পুরোনো কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে কওমি মাদ্রাসাপন্থীদের ৯০ শতাংশ এ নির্বাচনের বিরোধী। তাই এ নির্বাচনে ইসলামী কোনো দলই ভোট টানতে পারবে না।
বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন একসময় ধানের শীষের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যার কারণে ছয়বার সংসদ সদস্য হন বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তাঁর দল ত্যাগের পর ধানের শীষের সমর্থকেরা সাত্তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নে এখনো সাত্তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা এখন মাইনুলের অনুসারী। এ কারণে এ দুটি ইউনিয়নে শক্ত ঘাঁটি হতে পারে মাইনুল হাসানের। আবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের সাবেক দু-একজন নেতা-কর্মীকে মাইনুলের পক্ষে দেখা যায়।
মাইনুল হাসান বলেন, ‘আমি তৃণমূল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য। আমাদের দলের জেলা বা উপজেলা কমিটি নেই। তবে আমার আব্বু এখানে ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া আমার এলাকার দু-তিনটি ইউনিয়ন আছে, যেখানে আমি একচেটিয়া ভোট পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। বিএনপির প্রকৃত কর্মীরা বলছেন, তাঁরা উকিল সাত্তারের পরিবারে পাশে থাকবেন। তিনি আশা করছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। এমনকি আমাদের কোনো ভোটারও ভোট দিতে যাবে না। যাঁরা এখন তৃণমূলে যাচ্ছেন, তাঁরা বহিষ্কৃত।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস ‘শিশু বান্ধব শিক্ষা স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আজ ২৮ মে মঙ্গলবার আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ নৌসাদ মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদ, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন গুনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান রৌশনারা লাকী, অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম ঘোগ, সৈয়দটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যােগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি উপজেলা প্রধান সড়ক ঘুরে আবারো উপজেলা পরিষদে সামনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকতা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টার, উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বদর উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারমান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
দোয়া, সহযোগিতা ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কালেমা পাঠ ও অর্থকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে এক সময়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের হেমেন্দ্র দেবনাথ এখন মো. হিমেল তালুকদার নামে পরিচিত।
গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের শাহী জামে মসজিদে (হাটখোলা) হিমেল জুম’য়ার নামাজ আদায় করে উপস্থিত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল মুসল্লিদের সহায়তা চেয়েছেন।
এ সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কুতুব উদ্দিন, খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা, পেশ ইমাম মাওলানা শেখ মো. আমান উল্লাহ হিমেলকে গ্রহন করে নেন। আজ থেকে সকলকে হিমেলের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। হিমেল জানায়, সরাইল সদরের নাথপাড়ায় তার বাসা। পিতা রামধন দেবনাথ। শিশুকাল থেকে হিমেল ইসলাম ধর্মের লোকজনের সাথে চলাফেরা উঠাবসা করে আসছে। ইসলামের পারিবারিক, সামাজিকসহ সকল রীতিনীতিই শান্তি ও কল্যাণের। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের বাংলা কপি পাঠ করে বুঝতে ও উপলদ্বি করতে পেরেছি, ইহার বিধি বিধান ঠিক ভাবে পালন ইহকাল ও পরকালে শান্তি নিশ্চিত। আখেরাতের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি জান্নাতেও প্রবেশ করা যাবে। তাই ইসলাম ধর্মকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে একজন মুসলমান হওয়ার স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে জনৈক মাওলানা’র মাধ্যমে ইসলামের মূল বাণী “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” পাঠ ও অর্থ মনে প্রাণে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ ক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। নোটারী পাবলিক রেজি: নম্বর-১২৫, তারিখ-১২.০১.২০২৩ খ্রি.। ওইদিন থেকে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছি কিয়ামত, ফুলসেরাত, মিজান, হাসর, বেহেস্ত, দোযখ, ভালমন্দ সব কিছুই আল্লাহর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পূর্বের নাম বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে আমার নাম রেখেছি মো. হিমেল তালুকদার। আমি ইসলামের বিধি অনুসারে ধর্মকর্ম প্রতিপালন করব। এই কাজে কেউ বিঘ্নের বা বাঁধার সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় তাকে এক বছরেরও অধিক সময় আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছে। এখনও অনেক চাপে আছেন। বেশী সমস্যা হলে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইদের সহযোগিতা চাইবেন।