ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

খেলাধুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 January 2025, 19 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:উপজেলা কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

চলারপথে রিপোর্ট : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাহমিনা আক্তার বলেছেন, আমাদের Read more

স্থলবন্দর দিয়ে এলো ৫ টন ভারতীয়…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো ৫ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : “অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, Read more

নাসিরনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র Read more

সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের…

অনলাইন ডেস্ক : জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে Read more

লুও ফুলির মস্তিষ্কেই ডিপসিকের রহস্য!

অনলাইন ডেস্ক : চীনের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ডিপসিক Read more

বিদেশি পিস্তলসহ একজন আটক

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে একটি বিদেশি Read more

নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণ

চলারপথে রিপোর্ট : খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে উৎসবমুখর Read more

নবীনগরে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে Read more

হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজবাড়ীতে ৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত Read more

বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি Read more

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শিব্বীর আহমেদ’র ৫টি বই

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 January 2023, 2165 Views,

॥ বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। এই ঘটনা এখন এখন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছে।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন কর্মসূচীর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা দুই বিচারকের অপসারন ও আদালতের নাজিরের বিচার দাবিতে নতুন করে তিন কার্যদিবসের কর্মসূচী ঘোষনা করে। আইনজীবীরা বলছেন স্বেচ্ছায় দুই বিচারক চলে গেলেই তারা আদালতে ফিরে যাবেন।
আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে একজন আইনজীবী বিলম্বে একটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেননি। তখন উপস্থিত আইনজীবীরা বিচারককে বলেন, মামলার বাদী আইনজীবীদের মতো আইন জানেন না। তাই দেরিতে আদালতে এসেছেন। এখন (১ ডিসেম্বর) মামলাটি না নিলে এক মাস পর মামলার আবেদন করতে হবে। এতে বাদীপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও মামলাটি নেয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি শুনেননি। সর্বশেষ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেয়ার অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাঁদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন শুরু করেন। পহেলা জানুয়ারি আদালত খোলার পর আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেয় বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। পরদিন ২ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে আইনজীবীদের বর্জন সত্ত্বে তিনি কেন এজলাসে বসেছেন তা নিয়ে বিচারকের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। ওই সময়ে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিচার বিভাগের কর্মচারিরা ক্ষুব্দ হয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ তুলে তারা গত চার জানুয়ারি বুধবার আদালতের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গত ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অপসারণ এবং জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে তিন কর্ম দিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালিগালাজ ও তার সাথে অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মোঃ আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বোববার আইনজীবীদের আদালত বর্জনের দ্বিতীয় দিন। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা।
বিজয়নগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী সেলিম চৌধুরী বলেন, আদালতে আমার একাধিক মামলা আছে। উকিল আর জজ সাবদের মধ্যে ঝামেলার কারণে কোর্ট হচ্ছেনা। গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে বিষয়টি দ্রুত সমাধান জরুরি।
কসবা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ভোগান্তিতে আছি। জজ সাব আর আইজীবীদের বিরোধের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের বিচার প্রার্থীদের। এভাবে আদালতে চলতে পারেনা।
আশুগঞ্জ থেকে আসা বিচার প্রার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, আদালতে কোন উকিল যাচ্ছে না। তাই মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছি।

এদিকে বর্জনের মধ্যেও বোববার সকালে অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী সিনিয়র সহাকারী জজ আদালত মোঃ শাহেদুল আলমের আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা পরিচালনায় অংশ নেন। বিষয়টি জানার পর আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহাকারী জজ আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী আপেল মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত নাজির মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মামলা পরিচালনায় অংশ গ্রহন করেছেন। ( মামলা নং- দেওয়ানী-০৩/২০২৩ এর একটি মামলায় বাদী পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।) এর প্রেক্ষিতে বিবাদী পক্ষকে আগামী ৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, জনগনকে জিম্মী করে এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মাধ্যমে বিচার প্রার্থীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমরা জেলা জজ শারমীন নিগার, নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ এর অপসারন ও নাজির মমিনুল ইসলামের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আদালতে ফিরে যাব না। আমাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন সোমবার আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
এদিকে বর্জনের মধ্যেও মামলা পরিচালনায় অংশ নেয়ায় অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলামকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মামলা পরিচালনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 December 2024, 170 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাউতলীস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জেসমিন সুলতানা, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোহাম্মদ রতন মিয়া বাহার চৌধুরি, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। স্মৃতিস্তম্ভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা, গণপূর্ত বিভাগগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমাজসেবা বিভাগ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

banner

আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নানা আয়োজনে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে তা শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জেসমিন সুলতানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী।

সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. রতন মিয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।

সভার প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা ক্বারী আল আমীন বিন রেনু। পবিত্র গীতা পাঠ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠানে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী।

৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই ইয়াবা কারবারী গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 May 2023, 1255 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ও রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

banner

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও একই উপজেলার কাছাইট গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদল মিয়া। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে তার কাছে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

অপর দিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ২৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানায় খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে এবং আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২১মে রবিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কুমিল্লায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ৬ জেলার ৫০ করদাতাকে রাজস্ব বোর্ডের সম্মাননা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 29 December 2022, 2342 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
২০২১-২২ করবর্ষে সর্বোচ্চ, দীর্ঘমেয়াদি, নারী ও তরুণ ক্যাটাগরিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৯ জন করদাতা এবং একজন ট্যাক্স কার্ডধারীসহ মোট ৫০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) কুমিল্লা করভবন প্রাঙ্গণে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার কমিশনার খালেদ মোহাম্মাদ আবু হোসেন। কর অঞ্চল কুমিল্লার কমিশনার খন্দকার খুরশীদ কামালের সভাপতিত্বে এ সময় কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা কর অঞ্চল অফিস সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, এ কে সামাদ সাগর, ডা. দিলীপ কুমার রায়। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান শাহ মো. আলমগীর খান, ডা. মো. বদরুল আলম। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে সম্মাননা পান নাছিমা আক্তার চৌধুরী এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. আবুল কাশেম পাটোয়ারী। এছাড়া কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. খোরশেদ আলম, মো. সরফরাজ হাসান। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান হাজি মো. জানু মিয়া, মো. আবদুস ছাত্তার। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে জেসমিন আক্তার এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন সাইফুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মো. খায়রুল হাসান, এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম। দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান অসিত কুমার বণিক, আবু জাহের মৃধা। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে ঝুমা সাহা এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন আওলাদ আলী।

ফেনী থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন শুসেন চন্দ্র শীল, বেলায়েত হোসেন, মো. ফারুক হারুন। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে দিল আফরোজ বেগম ও বিলাস চন্দ্র সাহা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা মোসা. আলেয়া আক্তার ঝুমুর এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন মো. হেলাল উদ্দিন। নোয়াখালী থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. আবু তাহের, আমিরুল হায়দার চৌধুরী ও মো. হুমায়ুন কবির। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে আরাধনা সাহা এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন মো. ফিরোজুজ্জামান।
লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. রিয়াসাত হোসেন, সঞ্জীব মজুমদার, খোরশেদ আলম। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে মিলন কান্তি পাল, ফজলুল কাদের দুলাল, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে সুলতানা রাবেয়া খানম এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেন মো. রাসেল রায়হান। চাঁদপুরে থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. সেলিম খান, মো. লতিফ তরফদার, ফারুক আহমদ আখন্দ। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে প্রদীপ কুমার সাহা, জীবন কৃষ্ণ সাহা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে পিংকী আক্তার এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেন শান্ত খান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবাধে চলছে পাওয়ার টিলার ট্রাক্টর, ঘটছে দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 September 2024, 215 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবৈধভাবে অবাধে চলছে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর সহ অন্যান্য ইঞ্জিন চালিত যানবাহন। এতে শহরে যানজট সহ দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়শ। কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান সড়ক পথে চালাচ্ছে প্রশিক্ষণ বিহীন চালকরা। এতে দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে মানুষ।

banner

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশী যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ সময়ে শহরে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার নির্মাণ সামগ্রী সহ মালবোঝাই করে চলতে দেখা গেছে। বিগত দিনে অবৈধভাবে টোকেন প্রথায় এসব যানবাহন চলতো একশ্রেণীর অসাধু প্রতিরোধকারীদের সহায়তায়।

সম্প্রতি জেলা পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে গিয়ে ফুটপাত হকার মুক্ত সহ বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে। এতে পথ চলাচলে শহরবাসী স্বস্তি পায়। কিন্তু সড়কে অবৈধযান প্রবেশে তেমন বাধা লক্ষ্য করা যায়নি। এতে বিভিন্ন স্থানে দীর্র্ঘ সময় যানজট হয়েছে। শহরের হাসপাতাল রোডে যানজটে পাওয়ার টিলারের পেছনে আটকে পড়েন ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক নিখিল জীবন চাকমা। এসময়ে অবৈধভাবে পাওয়ার টিলার শহরে চলতে পারে কিনা প্রশ্ন করলে, তিনি জানান, এই শহরে ইঞ্জিনচালিত রিকসা যদি চলতে পারে, তাহলে এসব চলতে দোষ কি? পরে বলেন, আমি নতুন এসেছি এসব বন্ধে আমাদের সময় প্রয়োজন।