অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাথে সংঘর্ষের পর ৬৪ জন আরোহী নিয়ে পোটোম্যাক নদীতে একটি যাত্রীবাহী বিধ্বস্ত জয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ আকাশে স্থানীয় সময় ২৯ জানুয়ারি বুধবার রাত ৯টার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা) দিকে একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরহেদ উদ্ধার করা হয়েছে। পিএসএ এয়ারলাইন্স নামের মার্কিন বিমান সংস্থার ফ্লাইটটিতে চার ক্রুসহ মোট ৬৪ জন আরোহী ছিলেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সিকোরস্কি ইউএইচ-৬০ মডেলের ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন মার্কিন সেনাসদস্য ছিলেন।
বিমানটি অবতরণের জন্য রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল এ সময় হেলিকপ্টারটির সাথে সংঘর্ষ হয় এবং পাশেই পোটোম্যাক নদীতে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণে রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। কোস্টগার্ডসহ এই অভিযানে যোগ দিয়েছে অন্যান্য জরুরি পরিষেবা সংস্থা। পোটোম্যাক নদীর পানিতে জীবিতদের অনুসন্ধানে ডুবুরি ও নৌকা নামানো হয়েছে। তবে হাড় হিম করা ঠান্ডার কারণে অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী।
আইন প্রয়োগকারী সূত্র জানিয়েছে, আরোহীদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকারীরা এখনও জীবিত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে কর্তৃপক্ষ পুরো পরিস্থিতি নিয়ে শিগগিরই আপডেট জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাথে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষের ঘটনাটি সরাসরি তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন। বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কিত আরো তথ্য পেলে পরবর্তীতে তা বিস্তারিতভাবে জানাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামের পবিত্রতম স্থান সৌদি আরবে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
দুই মসজিদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইড দ্য হারামাইন ২৯ মার্চ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। চাঁদ দেখা যাওয়ায় এবার দেশটির মানুষ ২৯টি রোজা রাখলেন।
সৌদি আরবের বড় দুই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুদাইর ও তুমাইরে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয়।
এর আগে সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সৌদির প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল-খুদাইরি বলেন, “সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আজ ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যাস্ত যাবে। এবং অর্ধচন্দ্র সূর্যাস্তের ৮ মিনিট পর অস্ত যাবে।
দৃশ্যমানতার সময় দীর্ঘ অথবা ছোট হোক, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে চাঁদ দেখা সম্ভব।”
পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ আল-আমার নামে অপর এক জ্যোতির্বিদ বলেন, “আমি প্রত্যাশা করছি সুদাইরে আজ আমরা চাঁদ দেখতে পাব।” শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ঠিক হয়।
এরআগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২৯ মার্চ আরব ও ইসলামিক বিশ্বে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
কারণ ওইদিন সূর্যাস্তের আগে চাঁদ অস্ত যাবে এবং চাঁদ সূর্যের সংযোগ ঘটবে সূর্যাস্তের পর।
খালি চোখে, টেলিস্কোপে অথবা অন্য কোনো উপায়ে আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা ‘সম্ভব নয়’ বলেও দাবি করেছিল সংস্থাটি।
যেসব দেশ শুধুমাত্র চাঁদ দেখে ঈদ ও রমজানের তারিখ নির্ধারণ করে সেসব দেশে এবারের রমজান মাসটি ৩০ দিনের হতে যাচ্ছে। যার অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি এবং ইসলামিক বিশ্বে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
গত ২০ মার্চ এমনই তথ্য জানিয়েছিল আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। কিন্তু তাদের এসব ধারণা আংশিক ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পঞ্চমবারের মতো বিয়ে করেছেন মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। এই বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের আঙুরবাগানে।
৯৩ বছর বয়সী মারডক গত শনিবার ৬৭ বছর বয়সী এলেনা জুকোভার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এলেনা একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ জীববিজ্ঞানী। চলতি বছরের মার্চে মারডকের সঙ্গে এলেনার বাগ্দান হয়। তখনই নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, জুনে দু’জনের বিয়ে।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চ্যাপলেইন (পুলিশের বিশেষ পরামর্শক) অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে মারডকের বাগ্দান হয়েছিল। তারা বিয়ের পরিকল্পপনাও করেছিলেন। কিন্তু বাগ্দানের পরের মাসে (গত বছরের এপ্রিল) হঠাৎ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। তখন থেকেই এলেনার সঙ্গে মারডকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যানের সঙ্গে মারডকের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে। পরিচয় পরে গড়ায় প্রণয়ে। অ্যানের সঙ্গে প্রেম ও বাগ্দানের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে মারডক বলেছিলেন, ‘প্রেমে পড়ার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে এটাই আমার শেষ প্রেম। এটা ভালো, আমি ভীষণ খুশি।’ শেষ পর্যন্ত অ্যানের সঙ্গে মারডকের আর ঘর বাঁধা হয়নি।অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া মারডকের ছয় সন্তান আছে। তিনি নিউজ করপোরেশনের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান। নিউজ করপোরেশনের মালিকানায় রয়েছে ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সান ও টাইমসের মতো গণমাধ্যম।
গত বছর ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন মারডক। তিনি তাঁর ছেলে লাচলান মারডককে উভয় সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব দেন।
জানা যায়, মারডক ও এলেনার দেখা হয়েছিল একটি পার্টিতে। এই পার্টির আয়োজক ছিলেন চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেং। তিনি মারডকের সাবেক স্ত্রী। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বিচ্ছেদ ২০১৩ সালে।
মারডকের অন্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মান ও মার্কিন মডেল-অভিনেত্রী জেরি হল।
মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, প্যাট্রিসিয়াকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। একই বছর আন্নাকে বিয়ে করেন মারডক। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ২০১৬ সালে জেরিকে বিয়ে করেন মারডক। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়।
পঞ্চম স্ত্রী এলেনার আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সাবেক স্বামী রুশ তেল ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জুকোভা।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন মারডক। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও সান সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদপত্র কেনেন।
১৯৯৬ সালে ফক্স নিউজ চালু করেন মারডক। এটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় টিভি নিউজ চ্যানেল। নানা কারণে মারডক আলোচিত-সমালোচিত।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। তার স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন।
এদিকে, স্বামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের একদিন আগে একটি নতুন ডিজিটাল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেছেন মেলানিয়া। নতুন এই ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম $ MELANIA।
সংবাদমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার একদিন পর তার স্ত্রী মেলানিয়াও নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দেন।
রবিবার মেলানিয়া নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লেখেন, “অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম লাইভ! এখন আপনি $ MELANIA কিনতে পারবেন।”
‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম’-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় ডিজিটাল মুদ্রা ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তবে লেনদেনে (ট্রেডিং) রয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার এবং $MELANIA এর বাজারমূল্য প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘ধোঁকাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদ তৈরি করবেন এবং ডিজিটাল সম্পদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন- এমন আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবেন।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেস অনুসারে, ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের মূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে লেনদেন হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, ডিক্রিপ্ট
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে আবার সুর চড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। এর আগেই হামাসকে নিশ্চিহ্ণ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাসকে নিজের শপথগ্রহণের তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প।
তিনি জানান, ২০ জানুয়ারির মধ্যে হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে পশ্চিম এশিয়ায় ‘ধ্বংসলীলা’ চলবে।
স্থানীয় সময় ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে জিম্মিদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরেই ট্রাম্প হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যে যদি তারা (হামাসের হাতে জিম্মি আমেরিকার নাগগিক) ফিরে না আসেন, তবে পশ্চিম এশিয়ায় ধ্বংসলীলা চলবে। যা হামাসের জন্য তো বটেই, কারও জন্যই ভালো হবে না।
অর্থাৎ, হামাসের সাথে সম্মুখসমরে নামতে পারে আমেরিকার সেনাবাহিনী। বিভিন্ন দিক থেকে হামাসকে আক্রমণ করা হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি শহরে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এই হামলার জেরে নিহত হয়েছিল প্রায় ১২০০ জন। ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে গাজায় ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস। শুধু ইসরায়েলি নাগরিক নন, হামাসের হাতে জিম্মি অনেক আমেরিকার বাসিন্দাও।
এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে।
ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকার বাসিন্দাদের বন্দি করে ঠিক কাজ করেনি হামাস। জো বাইডেনের জমানায় হামাসের কবল থেকে আমেরিকার বাসিন্দাদের মুক্তির জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসে হামাস। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় রাজি হয়নি ইসরায়েলও। ফলে আলোচনা ব্যর্থ হয়।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আমেরিকা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সব রকম সাহায্য করে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ মাস কেটে গেলেও যুদ্ধ থামেনি এখনও।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৮৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৫৫৩ জন।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে তারা সিরিয়ার উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে টানা ১০৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, এরপর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়া জীবিত আর কেউ নেই বলে বিশ্বাস তাদের।
সিএনএন জানিয়েছে, তুরস্কের জরুরি বিভাগের কর্মীরা এখনও জীবিতদের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর বেশি কিছু সাফল্য পেয়েছেন তারা, যদিও সেসব অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, ‘বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।’
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সূত্র : বিবিসি