হাকিকুল ইসলাম খোকন
‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে শুক্রবার রাতে শামসিয়া অডিটরিয়ামে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশা করেন আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এখন টেলিভিশনের সৌদি আরব প্রতিনিধি, রোটারিয়ান জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের সঞ্চালনায় সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সভাপতি, প্রবাস মেলা সৌদি আরব দর্শক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম বিলাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এনটিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রধান ফারুক আহমেদ চান।
রিয়াদ গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, নিউজ২৪ টেলিভিশনের রিয়াদ প্রতিনিধি রুস্তম খান, বর্ণ টিভির পরিচালক ফকির আল আমিন , মাইটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি সাদেক আহমেদ, এসএটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি ফকির হাকিম, বাংলা ৫২ টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, মোহনা টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, লাব্বাইক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ শাহজালাল ভুট্টু, দৈনিক স্বাধীন পত্রিকার সৌদি আরব প্রতিনিধি মো: ইমন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সায়েদ মো: তারেক, সরকারি মার্কেটিং ডিরেক্টর শওকত উল্লাহ রিপন, সিলেট কুলাউড়া প্রবাসী পরিষদের সভাপতি খালেদ সাহাব উদ্দিন, সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের উপদেষ্টা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া সহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০২৫-২৬ দুই বছরের জন্য আবদুল্লাহ আল মামুন কে সভাপতি ও সানাউল্লাহ আপন তাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সৌদি আরব প্রবাস মেলা দর্শক ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। সবশেষে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা সহ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া করেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাফেজ শামীম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন সৌদি আরবে একমাত্র বাংলাদেশী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সানসিটি পলি ক্লিনিক।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
পোশাক শিল্পের নতুনত্বে ফ্যাশন ডিজাইনারদের অবদান অনস্বীকার্য।পোশাকের মাধ্যমে মানুষের রুচিশীল মনোভাব ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধের প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর তাই ফ্যাশন নিয়ে অন্ত নেই গবেষণার। সময়ের সাথে ছুটে চলেছেন ফ্যাশন অনুসারীরা তাদের পছন্দের ডিজাইনারদের সৃষ্টি নিয়ে।ফ্যাশন এর প্রচলিত ধারা প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছেন ডিজাইনাররা তাদের মেধা দিয়ে।
আত্মবিশ্বাস ও পরিবর্তনশীল চিন্তাধারায় সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে ডিজাইনার রোজিনা আহামেদ রুনি রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত এই পোশাক শিল্পে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। যা তার নেশা এবং পেশা দুটোই বলা যেতে পারে।
তারই প্রেক্ষাপটে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার মান্নান সুপার মার্কেট সংলগ্ন ‘জাশন’ পার্টি সেন্টারে(১৬৫-২৩ হিলসাইড এভিনিউ) দেশি গার্লস বাই মিলিয়া লেনিন আয়োজন করেছেন ডিজাইনার রুনির একক পোশাক প্রদর্শনী। এ তথ্য জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নিসার জামিল শুড্ডু। দুপুর দুটো থেকে রাত এগারোটা অবদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে সকল প্রবাসীের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ডিজাইনার রুনি,তার এই প্রচেষ্টায় একাত্ম্য হওয়ার জন্য।
এবারে তার ফ্যাশন আয়োজনে রয়েছে ট্র্যাডিশনাল ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, আংরাখা, বক্স প্লিটেড সহ বৈচিত্র্যময় নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট।
শাড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনে থাকছে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন সহ আরো নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন। আপনাদের উপস্থিতি ডিজাইনার রুনি’র উৎসাহের উৎস হয়ে থাকবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ওজন পার্কের কোম্পানীগন্জ সমিতির ভবনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় ‘চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থিত ছিলেন জেএসএফ”র সংগঠক আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাঈন উদ্দিন নটু, নুর আলম সেলিম, তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যাক্তিবর্গ র মাঝে হুমায়ন বাংগালী,শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল মুরাদ, শিহাব বিন ওয়াছেক,আসিফ মাহবুব,শামছুর রহমান, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মো: মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম,নুর জালাল,ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু,মো নাঈম,আব্দুল কুদ্দুস বাবু,আল আমিন,সন্জয় শীল,সবুজ হোসেন,আবদুর রহমান,ওমর ফারুক শরীফ,আরিফ হোসেন,আমিন উল্লাহ,আবু বক্কার সিদ্দিক,ইব্রাহিম খলিল,নুর হোসাইন,সজীব আহমেদ,লিটন চৌধুরী,শামীম হোসেন,কিরন,মো জাবেদ,রবিউল হাসান সৈকত,বাদশা ফাহাদ,মোহাম্মাদ কাকন,সজীব,মিশু,রিয়াদ হোসেন,রফিকুল ইসলাম,ইয়াছিন আরাফাত রাফি,জহিরুল ইসলাম সোহাগ, মো জামসেদ মজুমদার,হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন,মোহাম্মদ ইয়াছিন,রমযান আলি রাশেদ,রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ সহ চাটখিলের বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের আলোচনায় অতিশীগ্রই চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এবং সোসাইটির আদর্শ উদ্দেশ্য গঠনতন্ত্র ও সংবিধান তৈরী করার জোর দাবী করা হয়। আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মরুর দেশ সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসহাক সায়েদ (২১) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় রাত ৩টার এবং বাংলাদেশ সময় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করত। সে কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্ট মাসে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানো তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেল যোগে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কান্না জড়িত গলায় সন্তান হারানো পিতা সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন, তার সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। সন্তানের লাশটা যেন নিজ হাতে দাফন করতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবরে আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে সৌদি আরবের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত প্রবাসী মো. মিজানুর রহমান (৪৮) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মৃত এরশাদ মিজির বড় ছেলে। মিজানের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই মানিক হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মানিক সৌদি আরবে নিহত মিজানের কাছেই থাকেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে আমার জেঠাতো ভাই মিজান মালামাল লোড করে গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে হঠাৎ একটি দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মানিক হোসেন আরো বলেন, খবর পেয়ে ভোরে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি ভাই আর বেঁচে নাই। এখন লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরো বলেন, মো. মিজানুর রহমান গত ২২ বছর ধরে সৌদি আরবের আবহা শহরে ছিলেন। তিনি নিজস্ব একটি পণ্যবাহী গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আড়ত থেকে সবজি সংগ্রহ করে খুচরা বাজারে সরবরাহ করতেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন তিনি।
মিজানুর রহমানের আরেক চাচাতো ভাই পারভেজ জানান, মিজান পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ২০২৩ সালের শেষ দিকে দেশে ছুটিতে এসেছিলেন।
মো. মিজানুর রহমানের মেয়ে জেরিন (২৩) বিবাহিত এবং ছেলে সামির (১৭) এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। লাশ দেশে আনতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।