হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি এক ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ সীমান্ত কর আরোপ করবেন। এবার তা বাস্তবায়ন হলো ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করেননি নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন তাঁর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কারণ ছিল বিপুল পরিমাণে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধ করা। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত পেরিয়ে আসা ফেন্টানাইল ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা।
কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সম্পর্কে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ কার্যকর করে তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন তিনি এখন চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে তিনি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বলেছিলেন চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছেন চীনা তৈরি পণ্যের ওপর তিনি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রশাসনকে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা এর কারণ হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত একাধিক পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছিলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনার উপযুক্ত সমাধান চায় এবং তাদের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।
শুল্ক হলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর একটি আমদানি কর। এটি আরোপ হলে কোনো দেশ থেকে আসা পণ্য কেনার সম্ভাবনা কমে যায় এবং কর আরোপিত পণ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক আরোপ হলে খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে। পেট্রোল থেকে শুরু করে সব ধরনের তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। কেননা, মার্কিন তেল আমদানিকারকরা যে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে তার প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।
স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১২৭ বছরের পুরনো পাইপলাইন ভেঙে বিখ্যাত টাইমস স্কয়ার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পাতাল রেল স্টেশন তলিয়ে যায়। খবর এবিসি নিউজের।
খবর অনুসারে, সোমবার ভোররাতের দিকে স্টেশনের পানি সরবরাহকারী ২০ ইঞ্চি (আধা মিটার) পাইপটি ভেঙে যায়। এরপর প্রবল বেগে জলধারা প্রবেশ করে সাবওয়েতে। ডুবে যায় ম্যানহাটনে শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। ব্যাহত হয় রেল যোগাযোগ। বেশ কিছু রুটে বাতিল করা হয় ট্রেন চলাচল।
এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। চাপ বাড়ে সড়কে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় পাইপলাইন সংস্কারে।
নিউইয়র্ক সিটির পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের কমিশনার রোহিত আগারওয়ালা বলেন, ডিইপি ক্রুদের পাইপলাইনের লিকের উৎস খুঁজে বের করে পানি বন্ধ করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। তবে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, ম্যানহাটনের মাটির নিচে পুরনো পানি, নর্দমা পাইপ, পাতাল রেলের টানেল ছাড়াও একটি বাষ্প শক্তি ব্যবস্থা এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ান। এটি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংসদে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, না নেই তা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাস একটি রাজনৈতিক দল, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করে গাজার ক্ষমতায় এসেছে।
এদিকে গাজার সবেচেয় বড় আল-সিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে রোগীদের পাশাপাশি আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রয়েছে।
হাসাপাতালটির এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অভিযানের ফলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড । ২৮ মে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশ তিনটি।
স্পেন ও আয়ারল্যান্ড বলেছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিংবা হামাসের পক্ষে নয়। শান্তির সমর্থনে তাদের এ সিদ্ধান্ত।
ইসরায়েল অবশ্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের অর্থ এ অঞ্চলে আরও অস্থিরতা।
ইসরায়েল তিন দেশে থাকা রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনছে। অন্যদিকে, দেশ তিনটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আজ ২২ মে বুধবার নরওয়ে প্রথম এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্তুরে এ নিয়ে বলেন, দুই রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিতে থাকতে পারবে।
এরপরই আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল মার্টিন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সমান অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, হামাস ফিলিস্তিনি নয়। তিনি বলেন, ফিলিস্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আজকের সিদ্ধান্ত শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তার জন্য নেওয়া হয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের কণ্ঠেও হ্যারিসের মন্তব্য প্রতিধ্বনিত হয়েছে। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়। এটি হামাসের পক্ষেও নয়। এ স্বীকৃতি কারো বিরুদ্ধে নয়, এটি শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইয়েল কাৎজ বলেন, তিনি পরামর্শের জন্য ওই তিন দেশে থাকা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল নীরব থাকবে না।
কাৎজ আরো বলেন, ইসরায়েলে নিযুক্ত ওই তিন দেশের দূতকেও তলব করা হবে।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং তারপর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এ দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানিদূষণ কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল; তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।