চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশিষ্ট দানবীর স্বর্গীয় নিতাইপালের সহধর্মীনি স্বর্গীয় জোৎস্না রানী পাল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আনন্দময়ী নিতাইপাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (নিতাইপাল) প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন, শহরের বিশিষ্ট জাদু প্রদর্শক সেলিম, বিজয় সাহা, তপন পাল, অধ্যাপক খুসবু আলামান, ঈসা মোহসিন টিটু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, যারা সমাজের অগ্রগামীতায় নিঃস্বার্থ অবদান রেখেছে তাদেরকে স্মরণ না করলে মানবিক ও সৃষ্টিশীল মানুষ গড়ে উঠবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষাঙ্গণে ও সামাজিক উন্নয়নে স্বর্গীয় নিতাইপাল যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জেলাবাসী তার অবদানকে সর্বদা হৃদয়ে অমর করে রাখবে। পরে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের ২০জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও আটজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্মৃতিসবুর।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। আজ ৫ জুন সোমবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর পরামর্শে এ তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ জুন জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান প্যানেল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিলে ৪ জুন মনোনয়ন বিক্রয়ের শেষ তারিখ এবং ৫ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও বিউটি কানিজ মনোনয়ন জমা দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সকল জেলা পরিষদ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী শীঘ্রই নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল মিয়া জানান, আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জানতে পেরেছি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ছিল জমা দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরে বৃক্ষরোপন, বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম.পি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ছাদেকুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, উপদেষ্টা গুলশান আরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সদস্য গোলাম মোস্তফা, মাহবুবুর রহমান নসিম, পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা বৃক্ষ রোপন করেন এবং কৃষকের মাঝে এক হাজর ২০০ বনজ, ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণতান্ত্রিকতার বিকাশের স্বার্থে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সকলেরই অংশ নেয়া উচিত। সরকার ও ক্ষমতার পরিবর্তনের এই গণতান্ত্রিক চর্চায় কাউকে আমন্ত্রণ করে আনার বিষয় নয়, নির্বাচনে আসা ও অংশগ্রহণ প্রত্যেকের নাগরিক কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না হিসাবে আপনাদের আয়নায় দেখুন সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতোটা উৎসাহী। তিনি আরো বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করবার জন্য তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকা পালন করবার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এসময় আরো বলেন, দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি-জামাতের নাশকতার আন্দোলনে জনগণের কোনো প্রকার সাড়া নেই। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনমুখী কাজের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা আমাকে সহায়তা করছেন, আগামী নির্বাচনেও আমাকে তারা সহায়তা করবেন। নির্বাচনে কেউ জবরদস্তি করলে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি ৪র্থ বারের মতো মনোনয়ন পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ ও সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমি সাংবাদিকদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহায়তা চাই।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, শেখ মো. আনার, সৈয়দ মিজানুর রেজা, এহতেশামুল বারী চৌধুরী তানজিল, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়া হবে। আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সকালে সাবেরা সোবাহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গোপা পাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. শামছুল হাছান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ১৪৭৮ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আকস্মিক আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর তিনি প্রেসক্লাবে পৌঁছে আড্ডায় মেতে উঠেন।
তাকে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কালো টাকার আধিপত্য আগেও ছিলো এখনো আছে। ভবিষ্যতে সমাজ যতো উন্নত হবে কালো টাকার দাপট কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষ তাকেই তাদের প্রতিনিধি বানাবে যাদের সমাজের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা আছে। সেটা অবকাঠামোগতও হতে পাওে, বুদ্ধিভিত্তিকও হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জনগণের সহায়তায় আগামী দিনে নির্বাচিত হয়ে একবছরের মধ্যে সাংবাদিকদের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওবিজ্ঞ পিপি অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. মহসিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।