হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
চতুর্থবারের মত গ্র্যামি জয় করলেন জনপ্রিয় কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পী শাকিরা। ‘লাস মুজেরেস ইয়ো না লোরান’ অ্যালবামের জন্য সংগীতশিল্পী শাকিরা এই পুরস্কার পেয়েছেন। আর এর সাথেই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিলেন গায়িকা! জানালেন, তার এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছেন অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে প্রতিবারের মতো এবারও বসে গ্র্যামির আসর। ৬৭ তম আয়োজনে বিশ্বখ্যাত তারকাদের দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই অনুষ্ঠান। এদিন সংগীতশিল্পী শাকিরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন তারকা জেনিফার লোপেজ। সে সময় দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর দুই সন্তান মিলান এবং সাশা।
পুরস্কার হাতে নিয়ে রীতিমতো আবেগি হয়ে পড়েন গায়িকা। এরপর বক্তব্যের শুরুতে আমেরিকার ভয়াবহ দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর তার পাওয়া পুরস্কার ‘অভিবাসী ভাইবোন’দের উৎসর্গ করেন শাকিরা। বলেন, আমি আমার পুরস্কার অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি। তারা ভালোবাসার যোগ্য। তাদেরই এটা প্রাপ্য। আমি সবসময় তাদের লড়াইয়ের পাশে আছি।
এ সময় বিশ্বের প্রতিটি কর্মজীবী নারীর পরিশ্রমকেও কুর্নিশ জানান শাকিরা।
শাকিরার এই অর্জনে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লাস্যময়ী গায়িকা। পুরস্কার নেয়ার পর সংগীতশিল্পী শাকিরা পারফর্মও করেন। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বাকরুদ্ধ দর্শকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটির অনুমোদন দেন। এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
ইসরাইলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে গত বছরের জুনে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর ইসরাইলিদের মালদ্বীপ ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক:
ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নেভেনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল। ফায়ার কর্মীরা চেষ্টা করেও করতে পারছেন না কূলকিনারা। আরো নতুন এলাকায় ছড়াচ্ছে আগুন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। এর মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর দিয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাসের গতি আরো বাড়তে পারে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ফলে দাবানল আরো বিস্তৃত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার থেকে আলাদা ছয়টি দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে। আগেই এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের আগুন নেভাবে ক্যালিফোর্নিয়াসহ আশপাশের সাত অঙ্গরাজ্যের ফায়ার কর্মীদের আনা হয়েছে। সহায়তা করছে কানাডা ও মেক্সিকো।
এমন দুর্যোগের মাঝেও থেমে নেই অপরাধ। ফায়ার সার্ভিস কর্মী সেজে লুটপাট চলছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের ক্যাপ্টেন মাইক লরেঞ্জ বলেছে, বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট করছিলেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে গতকাল বুধবার তিনি সই করেন।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা
শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প আরো বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে, যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।
ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা তিনি জানেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নীলফামারীর সৈয়দপুরের জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এলে বাইরে অবস্থানরত বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ও দর্শনার্থীরা স্বাগত জানান। অনেকেই তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। বেবী নাজনীন হাত নেড়ে সংবর্ধনার জবাব দেন।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দেশ আমাদের সকলের। আমাদের দেশের প্রতি ভালবাসা চিরন্তন।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। বিএনপির কথা উল্লেখ না করে বলেন, দলের সাথে ছিলাম, দলের সাথে আছি। অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো ছাত্র-জনতার পাশে থাকবো।
পরে তিনি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাঙ্গালীপুরের বাসায় যান এবং কিছু সময় কাটান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাড. ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। পুটয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম এই যুগলের বিয়ে পড়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন নিকি। এরপর আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওনা হন।
দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।
পরে গত সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ওই তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন নিকি।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মা মোসাম্মাদ বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।