আল আমিন, ভালুকা (ময়মনসিংহ):
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তোফাজ্জল হোসেন হত্যার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোন মামলা না হওয়ায় তোফাজ্জলকে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ০৪ আগস্ট উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তোফাজ্জলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ সময় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে ও রফিকুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজ্বী আব্দর রউফ, খলিলুর রহমান বিএসএস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদল নেতা এমদাদুল হক খসরু, মোকলেছুর রহমান, রাসেল ঢালী, শাহজাহান প্রধান, তোফায়েল আহমেদ রানা, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিয়াজ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, আকরাম মোল্লা, সাকিব খান, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেডে পুনঃবহালসহ ১১ দফা দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আশুগঞ্জের সর্বস্তরের লোকজন।
২৬ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেল স্টেশন চত্বরে “ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ”-এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম হোসেন ইপ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা জামায়াত ইসলামির আমির শাহজাহান ভূইয়া, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল খান, চর চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকার, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সহ আশুগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আশুগঞ্জ রেলওয়েস্টেশনটি বি-গ্রেড থেকে ডি গ্রেটে নামিয়ে নিয়ে আসায়, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা না থাকাই যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই ১১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে স্টেশনটিতে বি-গ্রেডের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। যদি অচিরেই দাবি না মানা হয় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানাতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জে প্রায় ডজনখানেক ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল মিয়া (৪০) কে ৬০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের অন্তর্গত গন্ধরাবপুর-আহমদপুর হাই স্কুল এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার সাথে থাকা অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বদেন ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসআই মাহমুদুল হাসান জানান- জুয়েল মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। সকালে সেসহ তার সহযোগীরা ওই এলাকায় দিয়ে মাদক পাচার করছিল। এসময় গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন- মাদক কারবারি জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক সন্তানের জননী ডলি রানী দেবনাথ (২৬) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক চ্যাটিংয়ের জের ধরে ডলির স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতেই এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাই পিন্টু দেবনাথ বাদী হয়ে স্বামী ঝন্টুসহ চার জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার বাঙ্গরা থানায় মামলা করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান দুপুরে কাছে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে ওই গৃহবধূর স্বামী ঝন্টু দেবনাথ (৩২)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামের অবনী দেবনাথের একমাত্র মেয়ে ডলি রানী দেবনাথের সঙ্গে ২০১৭ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা হাটাশ গ্রামের দুলাল দেব নাথের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী ঝন্টু দেবনাথের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর ডলি ও ঝন্টুর মথ্যে সুন্দর দাম্পত্য জীবন চললেও, ডলির সাথে অন্য কারো ফেসবুকে চ্যাট করাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফেসবুকের চ্যাটিংযের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।
ডলির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, ঘরের জানালার শিকে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ডলি।
গৃহবধূ ডলির বড় ভাই ও মামলার বাদী ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেসবুকে চ্যাটিং হলো একটি অপপ্রচার। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, পারিবারিক কলহ নিয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই আমার বোনকে মারধর করত। আমার বোন প্রায়ই আমাকে টেলিফোনে বলত, তার স্বামী ঝন্টু ও শ্বশুর দুলাল নাকি তাকে ছোটখাটো ভুলের জন্যও প্রচণ্ড মারধর করে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত আমার আদরের একমাত্র বোনটাকে সত্যি সত্যিই পাষণ্ড ঝন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেরেই ফেলল।
কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূর মরদেহ ঝুলন্ত নয়, মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি।
তবে মরদেহের গলায় আঘাতের কালো চিহ্ন রয়েছে। গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে স্বামী ঝন্টুসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ঝন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় ব্যবহার করা দুইটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ দুইজনকে গ্রেফতার কর হয়৷ ১৩ জানুয়ারি সোমবার মধ্যরাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে নগরীর অশোকতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের আটক করে।
আটক করা হয় কুমিল্লা নগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের জাকির ও লিটনকে। সূত্র জানায়, তারা দু’জনই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সাথে জড়িত। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো জুলাই-আগস্টে কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যবহার করা হয়।
১৩ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লা নগরীর স্টেশন রোডে বিআরটি ট্রেনিং ডিপো অফিসে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ২৩ বীরের ক্যাপ্টেন সাদমান।
তিনি জানান, রবিবার দিবাগত রাতব্যাপী নগরীর অশোকতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে জাকিরকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যে লিটন নামে আরেকজনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭.৬৫ বোরের দুইটি বিদেশি পিস্তল, ১১ রাউন্ড গুলি, ২ টি ম্যাগাজি, চাপাতি ছুরিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যবহার করা হয়েছিলো ।আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।