চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত থেকে ভারতীয় উন্নতমানের মোবাইল ফোনের দুই হাজার ১২টি ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি। ধারণা করা হচ্ছে এর বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুরে অভিযান চালিয়ে এসব ডিভাইস জব্দ করে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দল।
বিজিবি জানায়, গোপন খবরে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে অভিযানটি চালানো হয়। এসময় ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের সিজার মূল্য এক কোটি ৬০ হাজার টাকা।
জব্দ করা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় বিজিবি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এক বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাচালানি মালামাল আটক করে। আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহলদল গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাইপাস এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার সিগারেট-৬৪৬ কার্টুন, ভারতীয় উন্নতমানের বিভিন্ন প্রকার চশমা- ১,৩৭০ পিস, ভারতীয় JHONSON BABY SOAP- ১,৭৫০ পিস, ভারতীয় KAVERI মেহেদী-২,৮৭০ পিস এবং ভারতীয় QUAKER OATS-৬৩ কেজি আটক করে।
আটককৃত ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানি মালামালের সিজার মূল্য তেতাল্লিশ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার চারশত টাকা। আটককৃত ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানি মালামাল আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে যে কোন প্রকার চোরাচালানি মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর এবং অবৈধ চোরাচালানি মালামাল আটকে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্বিত সন্তান।
তিনি আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়নগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক এ.এইচ.এম. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, বিগত সরকার গুলোর সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন। তাঁরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাননি।
বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে থাকার জন্য “বীর নিবাস” করে দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চান। তিনি বলেন, আমি আমৃত্যু মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সেবা ও সহযোগীতা করে যাব। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি অশুভ চক্র নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়। তিনি ওই ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া, দবিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ভিক্ষুক পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় একজন ভিক্ষুকের হাতে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা তুলে দেন প্রধান অতিথি।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলার সেজামুড়া গ্রামে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও বিশ্রামাগারের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সারোয়ার রহমান ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিকাল ৪টায় পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই মাস্টারের সভাপতিত্বে পৃথক দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমি আমার সংসদীয় এলাকা বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন ও দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
তবে কিছু ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য সময় মতো কাজ শেষ হচ্ছে না। সময় মতো উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় আপনাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বিজয়নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হবে। বিজয়নগরের সকল সমস্যার পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সালাহউদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায় হরষপুরের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জজ আদালতের পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ রাশেদুল কাউসার ভ‚ইয়া জীবন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভাগুলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১ মাস ধরে মেয়ের সন্ধানে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন গৃহবধূর বাবা- মা ও তার স্বজনরা। এতো খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর মা সুমি বেগম।
জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়না বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া মেয়ে। প্রায় ৭ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ রমজান মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ময়নার। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (০৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই গৃহবধূর।
ময়না নিখোঁজ হওয়ার পর সম্প্রতি একটি ভয়েস বার্তা প্রকাশ পাই। ভয়েস বার্তা প্রকাশের পর ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
ময়নার স্বামীর কাছে পাঠানো ভয়েস বার্তায় গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা।
স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পেয়ে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার কাছে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ময়নাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে জানান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়নার চাচা মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজি একজন সরল সহজ মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কি নিখোঁজ না কি গুম তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে শনিবার সকালে ময়নার শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গৃহবধু উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই যুবককে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজাপুরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার অলিপুর গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া, একই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া ও সেজামুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেজামুড়া এলাকায় মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উজ্জ্বল মিয়া ও আলমগীর মিয়াকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পরে সেজামুড়া এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।