চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলারর নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে বাপ-ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বড়িকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত খলিল মিয়া (৫৫) নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে, খলিল মিয়ার ছেলে মো. আসিফ (২০), অলি মিয়া ও হাসিনা আক্তার।
আহতদের মধ্যে আব্দুল খলিল মিয়া ও তার ছেলে আসিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি এলাকায় খলিল মিয়ার ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সকালের দিকে পূর্ব বিরোধ ও ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে মনেক মিয়া ও তার ছেলেদের সাথে অলি মিয়ার লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মনেক মিয়ার লোকজনের পিস্তল ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এতে খলিল মিয়া তার ছেলে আসিফ, তাদের স্বজন অলি মিয়া ও হাসিনা আক্তার আহত হন। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে খলিল মিয়া ও তার ছেলে আসিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অপর আহত দু’জন অলি মিয়া ও হাসিনা আক্তারকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত খলিল মিয়ার ভাগ্নি শিউলি আক্তার বলেন, মামাকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে মামার চিকিৎসা চলছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাঁদেরকে জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
নবীনগর প্রতিনিধি :
জনপ্রতি ২ শতাংশ জমি ও প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে সুবিধাভোগীরা সে ঘর বিক্রি করে দিচ্ছেন মাত্র ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। নবীনগরে ভূমিহীনদের জন্য দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এভাবে বেচাকেনা চলছে। বরাদ্দের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৫টি ঘরের মধ্যে ছয়টি বিক্রি হয়ে গেছে। অন্তত ৩০টিতে ঝুঁলছে তালা। কিনে নেওয়া ব্যক্তিরা ঘরে বসবাস করছেন। গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের ২ নম্বর গলির ৩ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান মৃত আফছার উদ্দিনের স্ত্রী সাধনের নেছা। তাঁর ছেলে রুবেল মিয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকায় শাহনাজ বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন। রুবেল মিয়া বলেন, টাকার প্রয়োজনে ঘরটি বিক্রি করেছেন তাঁরা।
গলির ২ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান গাজী মদনের স্ত্রী জুলেখা বেগম। ৩৫ হাজার টাকায় ইমন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ঘরটি কিনেছেন। ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মৃত ফজলুল মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম। তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনে ঘরে বসবাস করছেন মৃত হামিদ মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম। ১৭ নম্বর ঘর বরাদ্দ পাওয়া ধরাভাঙা গ্রামের হাবিব মিয়া ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন থোল্লাকান্দি গ্রামের নার্গিস বেগমের কাছে। বড়িকান্দি গ্রামের ইকবাল হোসেন ১ নম্বর গলির ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি ৩৫ হাজার টাকায় একই গ্রামের কালন মিয়ার ছেলে মো. মোক্তার হোসেনের কাছে বিক্রি করেছেন।
২ নম্বর গলির বাম পাশের ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন জমেলা বেগম। এ ঘর ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন হক মিয়া ও তাঁর পরিবার। এদিন প্রকল্পের প্রায় ৩০টি ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য বাসিন্দারা জানান, বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা ঘরে থাকেন না, আসেনও না। আর বসবাসকারী ব্যক্তিরা টাকা দিয়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁদের কোনো বাড়িঘর নেই। আবেদন করেও ঘর বরাদ্দ পাননি। এ জন্য স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘর কিনে বসবাস করছেন।
২ নম্বর গলির ১৭ নম্বর ঘর কিনে মালিক হওয়া অসহায় নারগিস বেগম বলেন, তাঁর ঘরবাড়ি নেই। কষ্ট করে ২২ হাজার টাকা জোগাড় করে তিনি হাবিব মিয়ার কাছ থেকে ঘর কেনেন। তাঁর নামে দলিল করে দেবে বলে জানিয়েছে। ২ নম্বর গলির ২ নম্বর ঘর কেনা মালিক রহিমা বেগম বলেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন করেও ঘর না পেয়ে কিনেছেন।
এ ছাড়া মোক্তার হোসেন, নাজমা বেগম, হক মিয়া ও শাহনাজ বেগমও ঘর কেনার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ঘর বিক্রি করা সুবিধাভোগী কাউকে না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. লাল মিয়ার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিলেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আক্তার হোসেন বলেন, ঘরগুলো বিক্রি হয়েছে। অনেকে আবার থাকেন না। অনেকের বাড়িঘর আছে। অথচ ভূমি ও ঘরহীন অনেকে বরাদ্দ পাননি। ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও আমলে নেননি।
এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রোকসানা বেগম পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এটি ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাজ। এ বিষয়ে তাঁরাই ভালো জানেন। তিনি তালিকা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন। বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চাকার সঙ্গে গলায় থাকা উড়নার প্যাচ লেগে সাইমা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সাইমা উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের শেমন্তঘর গ্রামের শহিদুল আলমের মেয়ে। সে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শিবপুর আফতাব উদ্দিন খাঁ মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইমা ও তার সহপাঠি চাচাতো বোন মারিয়া টিফিন পিরিয়ডে ঝালমুড়ি কিনে স্কুল থেকে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অজান্তেই তার গলায় থাকা উড়না ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে প্যাচ লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইজিবাইক চালক আশিক দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার এসআই আবুল কাসেম জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাহোর ফতেপুর গ্রামে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম ব্যারিস্টার জাকির হোসেন একাদশের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে এই খেলা উপভোগ করেন উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামে কয়েক হাজার দর্শক।
খেলা শুরুর আগে পুরো মাঠ ঘুরে বেড়ান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দূর-দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান।
খেলা দেখতে আসা শিহাব মাহমুদ (৩১) নামে এক যুবক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের অনেক কার্যক্রম দেখেছি। আজ মূলত সরাসরি তাকে দেখার জন্যই মাঠে এসেছি।
থানাকান্দি গ্রাম থেকে আসা তরুণ শিতাব (১৯) বলেন, ছোটবেলায় আমাদের মাঠে এই বর্ষার সময়ে অনেক বড় বড় ফুটবল খেলার আয়োজন হতো। এখন আর তেমনটা হয় না। সরাসরি এতবড় আয়োজনে ফুটবল খেলা অনেক বছর পর দেখলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতো দর্শক উপস্থিতিই প্রমাণ করে ফুটবল খেলা এদেশে এখনো কত জনপ্রিয়। মাদক থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে দূরে রাখতে এসব আয়োজন ভূমিকা রাখে। এজন্য এসব আয়োজন করতে আমাদের সমাজের কর্তাদের ভাবতে হবে।
খেলা শুরু হয় বিকেল ৪টায়। ম্যাচে প্রথমার্ধে কারো পক্ষে কোনো গোল হয়নি। এতে টান টান উত্তেজনা ছিল খেলাটিতে। রেফারির বাঁশি বাজার ১ মিনিট পূর্বে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির জালে বল ঢুকিয়ে দেয় ব্যারিস্টার জাকির হোসেন একাদশ। এই গোলে দর্শকদের উল্লাসে পুরো মাঠ কেঁপে ওঠে। দীর্ঘ সময় গোল না হওয়ায় শেষ মুহূর্তের গোলটি যেন দর্শকদের মনে আনন্দ এনে দিয়েছে। খেলার সমাপ্তি ঘটে ১-০ গোলে। পরাজিত হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বিলের মাইর শেষ রাতে। শেষ মিনিটে গোল দিয়ে নবীনগরের জাকির হোসেন জয় লাভ করেছে। গোলটি যে দিয়েছে সাইজে তেমন বড় না, কিন্তু যে গোল রক্ষক ছিল সে বিশাল দেহের অধিকারী। নবীনগরের ছোট ছেলেটি কিন্তু হবিগঞ্জের বিশাল দেহের খেলোয়াড়কে দেখে ভয় পায়নি। নির্ভয়ে জালে বল ঢুকিয়ে দিয়েছে। এর মানে বড় দেখেই ভয় পেতে হবে বিষয়টি এমন না। নবীনগরের ছেলেদের দেখলেই পুরো বাংলাদেশ সস্মান করবে।
তিনি আরও বলেন, ভক্ত ও ফুটবল প্রেমীদের দোয়া থাকলে এক দিন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির দূর করতে সক্ষম হবো। এ সময় যুব সমাজকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মাদক থেকে দূরে এসে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার সুমন।
সৌদি আরব প্রবাসী নজরুল ইসলাম নজুর সভাপতিত্বে খেলাটি উদ্বোধন করেন গণপূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের উপসচিব আতিকুল ইসলাম, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, ওসি মাহাবুব আলম, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক মিয়া মো. শিপন, সিনিয়র সাংবাদিক এম কে জসিম উদ্দিন, গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিলুফা আক্তার (২১) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি একই গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সজল কান্তি দাশ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক দিন ধরে কলহ চলে আসছিল। এরই জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।