অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ ১১ বছর বয়সী কিশোরী আরাবি ইসলাম সুবার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সুবা নওগাঁর এক কিশোরের সাথে পালিয়েছেন। সেখানেই অবস্থান করছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মায়ের চিকিৎসা করাতে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন সুবা। আরাবি ইসলাম সুবা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ সুবার সন্ধার পাওয়া গেছে। নওগাঁ জেলার এলাকায় তিনি আছেন। ছেলেটিও সঙ্গে আছেন। তবে তারা ভালো আছেন। যতোটুকু জানা গেছে, প্রেমের টানে সুবা ঘর ছেড়েছেন।
এদিকে, সুবার নিখোঁজের ঘটনায় আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তাকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ দেখতে পায়, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির টোকিও স্কয়ারে সুবা একটি ছেলের হাত ধরে হাঁটাহাঁটি করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ১১ বছরের সুবা। আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলেন। ওই বাসা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বেরিয়ে নিখোঁজ হন সুবা। তার সন্ধান চেয়ে বাবা ইমরান রাজিব সোমবার সন্ধ্যায় আদাবর থানায় জিডি করেন
পুলিশ বলছে, নিখোঁজ হওয়ার আগে সুবার সাথে তার এক আত্মীয় ছিলেন। তাকে (ওই আত্মীয়কে) পরে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
একসাথে তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রসূতি মা। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মা বেদেনা আক্তার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেশিয়া) ডা. খোকন দেবনাথ সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া নবজাতকেরা ও মা সুস্থ আছে।
প্রসূতি মরিয়ম আক্তার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার প্রীয়ম গ্রামের প্রবাসী নূর উদ্দিনের স্ত্রী।
গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল জানান, প্রথম দিকে স্থানীয় হাসপাতালে মরিয়ম চিকিৎসা নিতো। গত একমাস আগে প্রসূতি আমার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। তখন আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে তিনটি শিশু রয়েছে জানা যায়। পরে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার পর পেটে শিশুগুলোর নড়াচড়া কম ছিল ও পানি ভেঙে গিয়েছিল। তার শরীরে রক্তের পরিমাণও কম ছিল। তাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে দ্রুত তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে ২টি ফুটফুটে মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, শিশু তিনটি যথাক্রমে ছেলে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ও মেয়ে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ও ২ কেজি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। ভূমিষ্ঠ তিনটি শিশু ও মা ভালো আছেন। ওই দম্পতির ঘরে আগে আরো ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো My Road, My Responsibility নামক কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্যরা।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলীতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সড়কে নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহীদের ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা যানবাহন চালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করা হাইওয়ে পুলিশকে থ্যাংকইউ কার্ড এবং ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন, ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি সাদিয়া চৌধুরী, মানব সম্পদ কর্মকতা জসিম মিয়া, প্রকল্প কর্মকর্তা বায়েজিদ বিন বাশার, ভিবিডির সাকেব সহ-সভাপতি ও বর্তমান কমিটি মেম্বার টি.এম. একরাম, সাধারণ সদস্য ইমান হুসাইন, জয়নব আক্তার স্নেহা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানীসহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
সিলেটে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের মধ্যে আজ ২৪ জুলাই সোমবার জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে সিলেট বিভাগের সব জেলায় প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বেলা ১টা ১০ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় ঘটে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির। তিনি জানান, গ্রিড ফেইল করে আশুগঞ্জ থেকে ১৩২ কেভি সার্কিট-২ বন্ধ থাকায় সমগ্র সিলেট বিভাগে বিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কমপক্ষে ৬-৭ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে বলে গ্রাহকরা জানিয়েছেন।
সিলেটে লোডশেডিং বন্ধ এবং বিদ্যুতের অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে রবিবার গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সংগঠনের সদস্য সচিব মকসুদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিদিন নগরীতে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে শুধু বাসাবাড়ির লোকজন নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করছেন, তারাও দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। এর আগে সিলেট কল্যাণ সংস্থা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ করে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে সিলেটে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৩৫০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে পিডিবি পাচ্ছে ১৩৮ মেগাওয়াট ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাচ্ছে ২১১ মেগাওয়াট। কোনোদিন এর চেয়ে আরো কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব হারিয়ে এখন শোক সাগরে নিমজ্জিত। তারা এখন সরকার বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর বাংলাদেশে তারা বিষয়টিকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। তারা মনে করছে আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর শিশিরবিন্দু, সহজেই পড়ে যাবে। সেটা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। বিএনপির রাজনীতির ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। তারা যত সরকারের পতনের কথা বলবে, সরকারের তত উত্থান হবে। বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতো, তাহলে হঠাৎ করে তাদের এমন পতন হতো না। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে নিজেরাই খাদে পড়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধীদল। স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই আছেন। দল যদি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টি। উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) অতি-আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে সাজিয়ে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না। কোস্ট গার্ড বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ’
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে ‘২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং কোস্ট গার্ড দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ছয়টি স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রতুগতিসম্পন্ন বোট।
পাশাপাশি সমুদ্র নির্ভর পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের ও নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি যা কোস্ট গার্ডকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর যোগাযোগ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি দুটি হেলিকপ্টার উইংসহ এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছি, যা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে ৪টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেলসহ বিভিন্ন আকারের ১৬টি জাহাজ ও ১৩৮টি বোট কোস্ট গার্ড বহরে সংযোজিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১’ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আজ কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট সিস্টেম ও ঢাকা জোন, পূর্ব জোন এবং দক্ষিণ জোনের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৯ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের আনীত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন আকারের জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্ট গার্ড-এর জোনসমূহে কর্মরত সদস্যগণের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ড-এর জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন, ট্যাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ও সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি এ বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বাহিনীর অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।