হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এইই সুবাদে দ্বিতীয় দফা মেলানিয়া ট্রাম্প হয়েছেন আমেরিকান ফার্স্টলেডি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাই মেলানিয়াকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে কমবেশি সবার। তাছাড়া ৫৪ বছর বয়সি মেলানিয়ার তারুণ্য ধরে রাখা নিয়েও আলাদাভাবে আগ্রহ আছে অনেকের। মেলানিয়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে না চাইলেও তিনি যে নিজের ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে বেশ যত্নবান তাকে দেখলেই বুঝবেন যেকেউ। অথচ, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার উল্টো। ফিটনেস নিয়ে তিনি খুব বেশি সচেতন নন।
কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে থেকেও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের পথ বেছে নিয়েছেন মেলানিয়া। তার ডায়েট চার্টই বা কেমন। সে সম্পর্কে হেলথ ডাইজেস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানান, নিজেকে ফিট রাখতে দিনে অন্তত ১১.৫ কাপ পরিমাণ পানি পান করেন মেলানিয়া।
নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান মিরান্ডা হ্যামার টাইমকে বলেন, ‘আপনার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তার বিকল্প নেই। চর্বির ভালো উৎস হল লবণ এবং চিনি-মুক্ত বাদাম, মাখন, চিয়া, তিল, তিল বা শণের বীজ, শণের তেল, নারকেলের মাংস, নারকেল দুধ, বা সম্পূর্ণ – চর্বিযুক্ত জৈব দই।’
২০১২ সালে, মেলানিয়া ট্রাম্প তার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন সকালে, আমার কাছে কয়েকটি উপাদান এবং প্রচুর ভিটামিনসহ একটি নাস্তা থাকে। এটি খুব স্বাস্থ্যকর। তিনি ঠিক কি খান তা সে সময় তিনি জানাননি।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ফেসবুকে তিনি রেসিপি দিয়েছিলেন। তিনি যেখানে জানান, ‘আমার প্রতিদিনের সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টের রেসিপির জন্য আপনাদের কাছ থেকে অনেক অনুরোধ পেয়েছি। সমস্ত তাজা এবং জৈব মিশ্রিত করুন যেমন- পালং শাক, সেলারি, গাজর, ব্লুবেরি, আপেল, কমলার রস, লেবুর রস, চর্বিহীন দই, অলিভ অয়েল, শণের বীজ, ওমেগা -৩, ভিটামিন ডি।’
এর বাইরে মেলানিয়া ফলের রস উপভোগ করেন। ২০১২ সালে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি স্বাভাবিক জুসের বদলে ওটমিলের জুস খান। এছাড়াও আপেলের জুস নিজের খাবার তালিকায় রাখেন মেলানিয়া। এর বাইরে প্রতিদিন সাত টুকরো ফল খান তিনি। মেলানিয়ার এমন স্বাস্থ্য সচেতনতা স্ত্রীর কাছ থেকে ট্রাম্পেরও শেখা উচিত।
অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনায় জর্জরিত টিউলিপ সিদ্দিককে এবার বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। মূলত বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী ব্যাপক চাপে রয়েছেন। এমনকি দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে টিউলিপের ওপর। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেছেন, “কিয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।”ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, “টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।”
টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেন, “আমি কোনও ভুল করিনি।” এমন অবস্থায় সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ লক্ষ্যে টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শর্টলিস্টও করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন। সংবাদমাধ্যমটি ওই প্রতিবেদনে আরও জানায়, যদিও প্রদানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন- তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এনবিসি নিউজ গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে। নতুন প্রেসিডেন্টের সােথ এই তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠের প্রচেষ্টা হচ্ছে এটা তার নজির।
এনবিসি জানায়, ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় জড়িত একজন কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, এই তিনজনকে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনীত সদস্যদের সাথে বসানো হবে।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে এক্স-এর প্রধান মালিক। তিনি ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তার উপস্থিতি তাই অপ্রত্যাশিত নয়। মাস্ক ট্রাম্পের ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থক এবং তার প্রচারণায় মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে মাস্ককে একটি পরামর্শ কমিশনের সহ-নেতৃত্বে নিয়োগ করেছেন। এই কমিশনের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো এবং আমলাতন্ত্র হ্রাস করা। যদিও এটি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে ‘DOGE’ নামে পরিচিত, এটি কোনো সরকারি সংস্থা নয়।
আরও পড়ুন
৫২৪ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, ৩১ জানুয়ারির মধ্য আবেদন
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ততটা ঘনিষ্ঠ নয়। তবে নির্বাচনের পর এই দুই উদ্যোক্তা ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জাকারবার্গ সম্প্রতি মেটার নতুন নীতিমালায় পরিবর্তন এনে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি এটিকে সরকারের এবং ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের ‘নির্যাতনমূলক সেন্সরশিপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে, বেজোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। বেজোসের মালিকানাধীন ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে পত্রিকাটি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করেনি, যা মার্কিন গণমাধ্যমকে অবাক করেছে।
আরও পড়ুন
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হলো এমা রেনল্ডস
জাকারবার্গের ডানপন্থী অবস্থান ইতিমধ্যে মেটা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের পরে তিনি ট্রাম্পের অভিষেকোত্তর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক হবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বেজোসের প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কিছু প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, পত্রিকাটির বোর্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের পক্ষে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। তবে বেজোস নিজেই তা আটকে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যদিও পত্রিকার নেতৃত্ব এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে এ তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণ তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার স্পষ্ট ইঙ্গিত করে।
অনলাইন ডেস্ক :
রুপা, সুন্দরী, স্মার্ট, ভদ্র সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারীনি। তার স্বপ্ন ছিল বিমানবালা হবার, হয়েছেনও তাই। তিনি নিজেকে মানুষের সেবাই নিয়োজিত করেন। সুনামের সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে তার ওপর অনেক খারাপ মানুষের নজর পড়ে। যারা একজন ছিলো সে যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বসবাস করতো সেই ভবনের এক ঝাড়ুদার। যুবক বয়সের সে ঝাড়ুদারকে রূপা বিভিন্ন সময় নিজের কাজের জন্য ডাকতেন। কথামত কাজ করে দিতেন। আর এই সুযোগটা নিয়েছে সেই ঝাড়ুদার।
জানা যায়, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় বিমানবালাকে গলাকেটে হত্যা করে তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে কাজ করা এক ঝাড়ুদার যুবক। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই তাকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। এর আগে গত রোববার মুম্বাইয়ের শহরতলীর আন্ধেরিতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাট থেকে রুপাল ওগ্রে নামের ওই বিমানবালার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নিহত বিমানবালা রুপাল ওগ্রে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বাসিন্দা এবং এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি পাওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি মুম্বাই চলে যান। সেখানে তার বোন ও তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
সম্প্রতি তার বোন এবং প্রেমিক— দু’জনেই মুম্বাইয়ের বাইরে যান। আর এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনায় সন্দেভাজন হিসেবে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম বিক্রম অটওয়াল এবং তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঝাড়ুদার হিসাবে কাজ করতেন।
ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ২৪ বছর বয়সী এয়ার হোস্টেস রুপাল ওগ্রেকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৪০ বছর বয়সী এই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আন্ধেরির স্থানীয় আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় পেশায় ঝাড়ুদার বিক্রম স্বীকার করেন, তিনি রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগীর বাধায় তিনি ব্যর্থ হন এবং একপর্যায়ে গলাকেটে হত্যা করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামিকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, অনেকবার ফোন করেও রুপালের কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধুদের খোঁজ নিতে বলেছিলেন তারা। বন্ধুরা এসে ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে তালাবন্ধ দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে গত রোববার রাত ১১টার দিকে ভেতরে প্রবেশ করলে ফ্ল্যাটের বাথরুমের কাছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এরপরই সন্দেভাজন হিসেবে বিক্রমকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত এই ব্যক্তি একটি পরিচ্ছন্নতা সংস্থার হয়ে কাজ করেন এবং গ্রেপ্তারের পরপরই তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন। যদিও অপরাধ স্বীকার করার আগেই গ্রেপ্তার করার সময় তার কাপড়ে রক্তের দাগ খুঁজে পায় পুলিশ।
বেশ কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর বিক্রম অটওয়াল স্বীকার করে, হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে গত শুক্রবার রুপাল ওগ্রের সঙ্গে তার ‘ঝগড়া’ হয়েছিল। মূলত পরিচ্ছন্নতার কাজ সঠিকভাবে না করার জন্য তাকে ‘বকাঝকা’ করেছিলেন রুপাল। আর এটিই অভিযুক্তকে ক্ষুব্ধ করে।
ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ‘বিমানবালা রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধারালো বস্তু নিয়ে ওই নারীর ফ্ল্যাটে যায় বিক্রম। ভিকটিমকে ধর্ষণের জন্য সে প্রথমে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়, কিন্তু ওই নারী নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করায় ব্যর্থ হয় সে। নিজেকে বাঁচাতে ওই নারী অভিযুক্তকে ধাক্কা দেয়, হাত দিয়ে আঘাত করে এবং লাথিও মারে। অভিযুক্তের সারা শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে, এতে সেখানে ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘একপর্যায়ে ওই নারী ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে অভিযুক্ত বিক্রম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুক্তভোগীকে গলাকেটে হত্যা করেন।’
অবশ্য পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বিক্রমের মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের ধারণা, রুপালকে আক্রমণ করার পর তিনি হয়তো প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। আর তাতেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন বিক্রম।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি বাজারে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে অন্ত নয়জন মারা গেছে। এতে আহত হয়েছেন ১১৫ জনেরও বেশি। মালয়েশিয়ার সীমান্তে সুঙ্গাই কোলোকে স্থানীয় সময় ৩টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি
স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, বাজারের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণাধীন ভবনে ইস্পাত ঢালাইয়ের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণে অনেক দোকান, বাড়ি এবং যানবাহন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলে শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত ৮জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
নিহতরা আরব ইসরাইলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি অধ্যুষিত।
অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সি এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানায়,মধ্য ইসরাইলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অপরদিকে, রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের এ হামলার আগে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী। এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইসরাইলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই।