চলারপথে রিপোর্ট :
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে নিয়াজ মুহাম্মদ হাই স্কুল সম্মেলন কক্ষে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলার উপজেলা স্কুলের ৯টি টিম। আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,কসবা খেউড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিজয়নগর মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (সদর) অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও চান্দপুর স্কুল এন্ত কলেজ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতি.) নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীন।
বিতর্কিত প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, মো. শরীফুল ইসলাম (সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট), আসমা বেগম সহকারী শিক্ষক নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, রূপক মিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কসবা খেউড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয় টিমকে হারিয়ে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় টিম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা বলেন, বিতর্কের বিষয় ছিল জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোয়ার অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলার আন্তঃস্কুল ৯টি টিম অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তারা বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলায় মো. জসিম মিয়া (৬২) নামের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম মিয়া ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক বাপন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জসিম মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ছিল। সেই মামলায় গত মে মাসে জসিম মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছর তিনমাস সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার সকালে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান মীর মুগ্ধ ও জাহিদুজ্জামান তানভীনসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফরোত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রগতিশীল সংগঠন আমরা ভোরের সাথীর আয়োজনে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার সকালে লোকনাথ দীঘিরপাড় (ট্যাংকের পাড়ে) এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আত্মত্যাগ কারীদরে শহীদ হওয়া ও আহত হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলনে, সবার জন্য সমান সুযোগ ও বৈষম্যহীন এক নতুন সম্ভাবনার রাষ্ট্র নির্মাণ করতে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন আমরা তাদরে আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদরে দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ কাশেম, নাসির উদ্দিন খন্দকার, রাহিম উদ্দিন রায়হান, এম এ নাছের বাহার, প্রবাসী স্বপন কুমার রায়, গৌরাঙ্গ সাহা, রাশেদ কবীর আখন্দ, আব্দুস সালাম, ইসকান্দর মির্জা, আরিফুল ইসলাম শামীম, আব্দুর রউফ, মোঃ নাসির হোসেন, হুমায়ুন কবীর, কাজী হাবিবুর রহমান, মাঈনুদ্দিন উদ্দিন খাজা ও মনির খানসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারা দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সময় তীব্র থকে তীব্র আকার ধারন করলে সারা দেশেরে ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ও অনেক কৃতি শিক্ষার্থী শহীদ হন এদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ছাত্র মীর মুগ্ধ, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইসাবজেক্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুজ্জামান তানভীনসহ বেশ কয়েকজন রয়েছে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরচিালনা করনে পাইকপাড়া জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সামাজিক এই সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদদূস এর কাব্যগন্থ মঞ্জুকেশিনী’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে একটি নান্দনিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬.০০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মডেল গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে-সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাঠশালা নির্ঝর এর উদ্যোগে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
এতে দেশবরেণ্য কবি-লেখকগণ অংশগ্রহন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। স্বাগত বক্তব্যে দেশবরেণ্য বাচিকশিল্পী কবি ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর বিগত দুই বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় তাঁর গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান. সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাবেক যুগ্ম সচিব মো. সানাউল হক, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ. কবি-লেখক, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস সাহিত্য সংগঠণের পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান পারভেজ ও শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফ ইকবাল খানের নেতৃত্বাধীন আনন্দলোক এর শিল্পীবৃন্দ।
শিশির স্নাত সন্ধ্যায়, হেমন্তের চাঁদনী রাতে খেজুর গুড়ের শীতের পিঠা, পায়েস আর চায়ের আড্ডার সাথে গান কথা কবিতার এই মিলনমেলা মনে রাখার মতো স্মৃতির সরোবরে স্থান করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের গতকাল ২৫ নভেম্বর ছিলো দুই বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে মোশরাফ হোসেন বেলাল ও মোজাম্মেল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকুরিচ্যুৎ বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর এর নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহী আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের দায় বিডিআর সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করার জন্য এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার সুবিধা দেয়াসহ গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।